আউটসোর্সিং=আউট+সোর্সিং
মানে কোম্পানির বাইরে যে উৎস ব্যবহার করে অর্থ ইনকাম করা যায় তা হল আউটসোর্সিং। আউটসোর্সিং বর্তমান সময়ের একটি সেরা পেশা। খুব কম সময়ে বেশি আয় করাই হচ্ছে আউটসোর্সিং এর লক্ষ্য। আউটসোর্সিং কে অন্য নামে ফ্রিল্যান্সিংয়ে বলা যায়। এখানে স্বাধীনভাবে কাজ করা যায়। ইন্টারনেট বা বিভিন্ন ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে বিভিন্ন কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন কাজ করিয়ে নেয়। যারা আউটসোর্সিংয়ের কাজ করে তাদের ফ্রিল্যান্সার বলা হয়।
- আউটসোর্সিং এ ক্যারিয়ার
- আউটসোর্সিং এর প্রকারভেদ
- কিভাবে আউটসোর্সিং করা হয়।
- আউটসোর্সিং করে কিভাবে অর্থ উপার্জন করা যায়।
- ফ্রিল্যান্সিং এ বাংলাদেশের অবস্থান
চাকরি এবং ব্যবসার ছাড়াই এখনকার সবচেয়ে জনপ্রিয় ক্যারিয়ার আউটসোর্সিং ক্যারিয়ার। ভালো চাকরি না পেলে আউটসোর্সিং শুরু করতে পারেন। এজন্য কিছু দক্ষতা বিশেষ জ্ঞান এবং অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
আউটসোর্সিংকে বিভিন্ন ভাগে ভাগ করা যায়।যথা:
- সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট
- লেখা ও অনুবাদ
- নেটওয়ার্কিং তথ্য ব্যবস্থা
- ডিজাইন ও মাল্টিমিডিয়া
- গ্রাহক সেবা
- বিক্রয় ও বিপণন
- ব্যবসায় সেবা ইত্যাদি
যেকোনো একটি মার্কেটপ্লেসে একাউন্ট খুলুন। ল্যাপটপ বা কম্পিউটার বা মোবাইল অ্যান্ড্রয়েড এর সাথে লাগবে ইন্টারনেট কানেকশন ও কাজ করার দক্ষতা। একটু সময় দিতে পারলে আউটসোর্সিং একটা ভালো প্ল্যাটফর্ম। এক্ষেত্রে একাউন্ট খুলতে ব্যক্তিগত ঠিকানায় ,ইমেইল ,ফোন নম্বর ইত্যাদি সঠিকভাবে পূরণ করতে হবে। আপনি কোন কাজে দক্ষ এবং আপনার চাহিদা কেমন ক্ষেত্রবিশেষ ওয়েবসাইট লিংও দিতে পারেন।
আউটসোর্সিং থেকে কিভাবে টাকা আয় করবেন:
প্রথমেই নিজেকে যে কোনো একটি বিষয়ে দক্ষ করে গড়ে তুলতে হবে। সেটা ওয়েব ডিজাইনিং বা ডিজিটাল মার্কেটিং অথবা বিক্রয় ও বিপণন সেবা হতে পারে। Upwork,fiverrএবংGuru এই ওয়েবসাইটগুলোতে অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে হবে। একাউন্ট তৈরির পর নিজের পোর্টফোলিও তৈরি করতে হবে। আপনি যে কাজ করতে পারেন তা খুঁজে টাকা ইনকাম করা শুরু করুন।
এখনকার ডিজিটাল যুগে আপনার কাছে একটি স্মার্টফোন ও একটি ইন্টারনেট কানেকশন এই দুটি জিনিস থাকলেই বর্তমানে অনলাইনে একাধিক অ্যাপের সাহায্যে ঘরে বসে খুব সহজে ইনকাম করা যায়। বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং-আউটসোর্সিং শব্দ দুটি অনেকের কাছেই বেশ পরিচিত। দেশে প্রচুর ওয়েব সাইট ডেভলপার ,রাইটার ,গ্রাফিক্স ডিজাইনার বিভিন্ন অনলাইন মার্কেটপ্লেসে কাজ করছেন। আবার অনেকে নতুন ফ্রিল্যান্সার হিসেবে মার্কেটপ্লেসে জায়গা করে নিচ্ছে। অত্যন্ত আনন্দের বিষয় যে বাংলাদেশ আউটসোর্সিংয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে।এদের মধ্যে অনেকেই আউটসোর্সিং এর মাধ্যমে মাসিক ইনকাম করে নিচ্ছে।
অনলাইন বাংলাদেশের অবস্থান বিশ্বে দ্বিতীয়। বর্তমানে নিবন্ধিত ফ্রিল্যান্সার রয়েছে 650000। এদের মধ্যে 5 লক্ষ নিয়মিত কাজ করছে।ICT দিভিশন এ তথ্য অনুযায়ী তারা বার্ষিক 10 কোটি ডলার আয় করছে। অনলাইনে শ্রমিক সরবরাহে বিশ্বের শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে ভারত। ভারত ফ্রিল্যান্সার প্রযুক্তি ও সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্টে কাজ করে অন্যদিকে বাংলাদেশ বিক্রয়বাজার আউটসোর্সিং এর নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে। ফ্রিল্যান্সিংয়ে 27 শতাংশ প্রবৃদ্ধি নিয়ে বাংলাদেশ অষ্টম অবস্থানে রয়েছে। অন্যদিকে 29 শতাংশ প্রবৃদ্ধি নিয়ে ভারত সপ্তম অবস্থানে রয়েছে। উল্লেখ্য যুক্তরাষ্ট্র-কানাডা সহ অন্যান্য অনেক উন্নত দেশের চেয়ে বাংলাদেশ অনেক এগিয়ে।
বাংলাদেশের প্রায় চার কোটি ৪০লাখ তরুণের পতি 10 জনের একজন বেকার রয়েছে। এদেরকে যদি যথাযথভাবে আউটসোর্সিংয়ে উপযুক্ত করে তোলা যায় তবে বাংলাদেশে বেকার সমস্যা অনেকটাই দূর হবে। বিশেষ করে নারীরা ঘরে বসে অর্থ উপার্জনের একটি প্ল্যাটফর্ম খুঁজে পাবে। আর এই ক্ষেত্রে নারীরা অনেক বেশি ধৈর্যশীল। আউটসোর্সিংয়ে নারীরা এখন অনেক এগিয়ে এসেছে। আউটসোর্সিংয়ে নারীরা পুরুষের চেয়ে অনেক বেশি নির্ভরযোগ্য। ফ্রিল্যান্সার হিসেবে নারীরা এখন অনেক বেশি প্রতিষ্ষ্ঠিত। তারপরও দেশে এখনো নানা ধরনের প্রতিবন্ধকতা রয়েছে। বিশেষ করে বিদ্যুৎ সমস্যা এবং অবাধ ইন্টারনেট সমস্যা এক্ষেত্রে বিরাট প্রতিকূলতা। সরকার যদি এদিকে দৃষ্টি দেয় তাহলে বাংলাদেশে আরো অনেক দূর এগিয়ে যেতে সক্ষম হবে।
সবশেষ কথা নিজের দক্ষতা এবং চাহিদা কাজ করার অভিজ্ঞতা কথা ভাবতে হবে। সঠিকভাবে অগ্রসর হলে এখানে সততা ১০০%।