আসসালামু আলাইকুম আপুরা
আজকাল কম-বেশি সবারই চুল পড়ে। কারো বেশি আবার কারো কম। কিন্তু আমরা কেউই চাই না আমাদের চুল পড়ুক, আমরা সবাই চাই স্বাস্থ্যজ্জ্বল চুল পেতে ।
আজ তোমাদের জন্য নিয়ে এসেছি ঘরোয়া পদ্ধতিতে সহজ উপায়ে কীভাবে চুল পড়া বন্ধ + নতুন চুল গজানো + চুল লম্বা করা যায়
আর তারজন্য লাগবে শুধু মাএ তিনটি উপাদান
১. পেঁয়াজ ( চুল ছোট হলে ১ টা এবং বড় হলে ২/৩ টা)
২. আলু ( মাঝারি সাইজ ১/২ টা)
৩. আদা ( ২ বা ৩ টুকরো)
এবার এই তিনটি উপাদান কেটে ছোটো ছোটো করে ব্লেন্ডার এ পেস্ট করে একটা ছাঁকনি বা পরিষ্কার কাপড়ের মাধ্যমে পেস্ট থেকে রস ছেঁকে একটা বাটিতে নিতে হবে।
এবার এই রস চুলের গোড়াতে ভালোভাবে লাগিয়ে ৫/১০ মিনিট আলতো হাতে ম্যাসাজ করতে হবে এবং ২ ঘন্টা পর চুল শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলতে হবে।
এবার জানা যাক এই তিনটি উপাদানে কি এমন আছে যার মাধ্যমে চুল পড়া বন্ধ + নতুন চুল গজানো + চুল লম্বা হয়
পেঁয়াজ –
পেঁয়াজ এমনই একটি প্রাকৃতিক উপাদান যা চুলের জন্য দারুণ ফলদায়ক ।পেঁয়াজ ত্বক ও চুলের টনিক হিসেবে কাজ করে ।কারন এতে রয়েছে বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান যেগুলো ত্বক ও চুলকে রোগের সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে।
পেঁয়াজে থাকা এন্টি -বায়োটিক চুলে থাকা বিভিন্ন সংক্রমণ দূর করে।তাছাড়া পেঁয়াজে রয়েছে ভিটামিন ,মিনারেল ,সালফার, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম ইত্যাদি ।
গবেষণায় দেখা যায় যে , পেঁয়াজ চুলের যত্নে বেশ গুরুত্বপূর্ণ ও কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।
এতে রয়েছে সালফার যা নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে ,চুল পড়া বন্ধ করে এবং মাথার ত্বকে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করে।
আলু –
আলুর রসে থাকে এসেনশিয়াল ভিটামিন যা অক্সিজেনের মাএা বাড়ায় ও কোলোজেন তৈরি করে। আলুর রস চুল লম্বা করতে সাহায্য করে ।অতিরিক্ত তৈলাক্ত চুলের গোড়া থেকে শুষে নেয় ।স্ক্যাল্প শুকিয়ে গেলে খুশকি হয় ।আলুও লেবুর রস একসঙ্গে মিশিয়ে চুলের গোড়াতে ম্যাসেজ করলে খুশকির সমস্যা কমে।চুলের গোড়ার দুর্বলতা কাটাতে আলুর রস গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে ।
আদা –
আদায় রয়েছে ম্যাগনেসিয়াম ,ফসফরাস, পটাশিয়াম ও ভিটামিন যা চুলকে স্বাস্থ্যজ্জ্ব করে তোলে ।চুলের গোড়া মজবুত করে। চুলের গোড়ায় রক্ত সঞ্চালন বাড়ায় যার ফলে চুল দ্রুত বাড়ে ।
আপুরা তোমরা এই পদ্ধতিটা একবার ব্যবহার করলেই বুঝতে পারবে এর ফলাফল। সপ্তাহে ২-৩ বার ব্যবহার করলে কিছুদিনের মধ্যে তোমরা নিজেরাই দেখতে পারবে তোমাদের চুলের পরিবর্তন। তবে হা ৬ মাস আগে একবার দিয়ে ৬ মাস পর একবার দিলে কিন্তু ভালো রেজাল্ট পাবা না