খাবার হোটেলে গিয়ে সকলে মিলে সমুদ্রের রুপচাঁদা মাছ দিয়ে সেরে নিলাম মধ্যার্ণ ভোজন।
তারপর বেরিয়ে পরলাম কুয়াকাটার এক বিক্ষ্যাত কুয়া দেখতে। এই কুয়া টিই এখনকার প্রথম কুয়া। তারপর আরো অনেক কুয়া কাটা হয়, এখানে সমুদ্রের নুনা পানি পানের অযোগ্য তাই খাওয়া ও নিত্য প্রয়জনীয় কাজের জন্য এখানে অসংখ্য কুয়া কাটা হয়। আর এর ই জন্য এই অঞ্চলের নাম হয় কুয়াকাটা। আমরা যে কুয়াটি দেখতে এসেছি সেটা এই অঞ্চলের প্রথম কুয়া হলেও এখন তা আর ব্যবহৃত হয় না। তবে এই কুয়ার পাশেই গড়ে উঠেছিল একটা বৌধ মন্দির, যা আজও রয়েছে। আর এই মন্দির এর পাশ দিয়ে একটি বাজার তৈরী হয়েছে, যেখানে পাওয়া যায় এখনকার ঐতিহ্যবাহী চাদর, সমুদের শামুক, ঝিনুক , সংক্ষ সহ আরও অনেক বাহারি রকমের জিনিসপত্র। আমি একটা চাদর কিনলাম। আর আমার বন্ধুরা ও কিছু কেনা কাটা করল। তারপর সোজা চলে এলাম সমুদ্র তীরে সূর্যাস্ত দেখতে।
গধুলি বেলার সূর্য এমন এক আভা ছাড়ায় যা দেখে যেন মন ভরে যায়, চোখ জুড়িয়ে যায়।
সূর্যাস্ত শেষে সমুদ্র তীর যেন আরও জাকজমক হয়ে ওঠে। সব মাছের দোকান গুলোতে জমে ওঠে বেচাকেনা। সন্ধ্যায় এখানে মাছের দোকান গুলোতে বিক্রি হয় ভাজা মাছ। যার সুন্দর ঘ্রাণে মুখরিত হয়ে ওঠে চারিদিক। এখানে গিয়ে এই সকল দোকানের ভাজা মাছ না খেয়ে কেউ থাকতেই পারবে না। তাই আমি ও বসে গেলাম ভাজা মাছ খেতে। আহা কি সাদ তা বলে বোঝানো যাবে না।
তারপর মাছ খাওয়া শেষ করে আমরা চলে গেলাম ফানুস উড়াতে। সকলে নয়টার সময় এক সঙ্গে ফানুস উড়িয়ে ফিরে এলাম আমাদের আবাসিক হোটেলে। রুমে ফিরে যেন শরীর আর চলে না, সকল ক্লান্তি যেন ঘিরে ধরেছে। ঘড়ির কাটায় দেখি কখন যেন এগারোটা বেজে গেছে, আবার খুব সকালে উঠে সূর্যদয় দেখতে হবে, তাই আর দেরি না করে ঘুমের দেশে চলে গেলাম। ঠিক সকাল চারটার সময় এর্লাম এর শব্দে ঘুম ভাংল আমাদের। ঘুম থেকে উঠে খুব তাড়াতাড়ি করে রেডি হয়ে চলে গেলাম সূর্যদয় দেখতে। কারণ এই কুয়াকাটার মুল আকর্ষণ যে সূর্যদয়-সূর্যাস্ত। সকলে মিল হাটতে শুরু করলাম পূর্ব দিকে। কিন্তু পথ যেন আর শেষ হয় না। অবশেষে চলে এলাম গন্তব্য স্থানে যেখানে দাড়িয়ে সবাই সূর্যদয় দেখে। সূর্য টাকে দেখে মনে হচ্ছে যেন সমুদ্রের পাশ ঘেশে উঠলো। এখন থেকে মনে হচ্ছে সূর্যটা যেন খুব কাছে। আর সূর্যদয় এর সঙ্গে সঙ্গে যেন এক রক্তিম আভা ছড়িয়ে গেল চারদিকে। এই মনোরম দৃশ্য দেখার জন্যই তো ছুটে আসা সেই সুদূর রাজশাহী থেকে। হাজার হাজার পর্যটক ভির জমায় শুধু মাত্র প্রকৃতির এই অপার সৌন্দর্য দেখার জন্য।
আমার এই ভ্রমণ কাহিনী যদি কারো ভালো লাগে কমেন্ট করে জানাবেন অবশ্যই। আপনাদের ভালো লাগাই আমাকে লেখার প্রেরনা যোগাবে