বিয়ে নিয়ে ইসলামিক উক্তি, বিবাহ বার্ষিকী ইসলামিক শুভেচ্ছা

আসসালামু আলাইকুম সুপ্রিয় পাঠক এবং পাঠিকাগন।কেমন আছেন আপনারা সবাই ?আশা করি আপনারা সকলে যে যার অবস্থানে ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। আপনারা সকলে নিজ নিজ অবস্থানে ভালো থাকুন এবং সুস্থ থাকুন সেই কামনায় ব্যক্ত করি সবসময়। বিবাহ বার্ষিকী ইসলামিক শুভেচ্ছা

বিয়ে একটি সর্বস্বীকৃত ,সামাজিক এবং একটি পারিবারিক বন্ধন। বিয়ের মাধ্যমে দুইজন প্রাপ্তবয়স্ক নরনারী একটি সমাজস্বীকৃত বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে থাকে। দুইজন প্রাপ্তবয়স্ক নর নারী তাদের এলাকার এবং পরিবারের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতির আলোকে নানান ধরণের সামাজিক রীতিনীতি এবং পারিবারিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা। আমাদের শান্তির ধর্ম ইসলাম।ইসলামের মধ্যে কোন পুত্র/কন্যাকে প্রাপ্ত বয়স্ক হলেই বিয়ের জন্য উৎসাহিত করতে বলা হয়েছে। সেই সাথে বিয়ের মাধ্যমে জিনা থেকে যে মুক্তি পাওয়া যায় সেই সম্পর্কে দৃষ্টিপাত করা হয়েছে।তাই বিয়ে নিয়ে নানান ধরণের ইসলামিক উক্তি প্রচলিত রয়েছে। চলুন জেনে নেওয়া যাক বিয়ে নিয়ে কিছু ইসলামিক উক্তি সম্পর্কে-

বিয়ে নিয়ে ইসলামিক উক্তি , বিবাহ বার্ষিকী ইসলামিক শুভেচ্ছা

বিয়ে নিয়ে প্রচলিত কিছু ইসলামিক উক্তিসমূহ তুলে ধরা হল আপনাদের সামনে। 

  • ১.বিয়ে নিয়ে আমাদের প্রিয়নবী হজরত মোহাম্মদ (সা:) বলেছেন  “যে বিয়ে খরচ কম হয় ,সে বিয়ে বেশি বরকতময় হয়ে থাকে “.
  • ২.মহানবী হজরত  মোহাম্মদ (সা:) বলেন যে , ‘বিয়ে হল তার সুন্নাহ। যে ব্যক্তি বিশেষ তার সুন্নাহ থেকে বঞ্চিত হবে সে ”ব্যক্তি তার দলভুক্ত নয়। ‘
  • ৩.একটি হাদিসে আমাদের প্রিয়নবী ইরশাদ করেছেন ‘বিয়ে হল দৃষ্টি নিয়ন্ত্রণকারী। তোমাদের মধ্যে যারা বিয়ে করার সামর্থ্য রাখে তাদের বিয়ে করা কর্তব্য। 
  • ৪.বুখারী হাদিসে বলা হয়েছে যে মুমিন বিয়ে করার সামর্থ নেই সেই মুমিনের উচিত রোজা পালন করা। 
  • ৫.তিরমিজি হাদিস শরীফে উল্লেখ করা হয়েছে যে কোন মুমিন যদি তার অভিবাবক ব্যতীত বিয়ে করে তাহলে তার বিয়ে বাতিল বলে গণ্য হয়। 
  • ৬.হাদিসের মতে  “বিয়েতে অনেক  বেশি অর্থ অপচয় করা এবং সেই সাথে অতটুক বেপর্দাহীন চলাফেরা করা বিয়ের সুন্নাহ নয়। 
  • ৭.রাসূলুল্লাহ (সা:) বলেন বিয়েতে অভিবাবক এবং দুইজন সাক্ষী ছাড়া কোন ধরণের বিবাহ গ্রহণযোগ্য নয় “
  • ৮.হাদিস শরীফে বলা হয় ‘জুমার দিনে বিয়ে করা সুন্নাহ। 
  • ৯.দাউদ ও তিরমিজি শরীফে বলা হয় যে  ‘ পুরুষের আয়ের উপর নির্ধারণ করে দেনমোহ নির্ধারণ করা সুন্নাহ। 
  • ১০.বিয়ের সময় পাত্রী দেখা মুস্তাহাব। 

আজ এই পর্যন্তই। নতুন কোন বিষয় সম্পর্কে জানতে চাইলে জানাতে পারেন আমাদের কমেন্ট বক্সে।আজকের পোস্ট নিয়ে আপনাদের গুরুত্বপূর্ণ মহামূল্যবান মতামত শেয়ার করতে পারেন আমাদের সামনে।আপনাদের জন্য সামনে নতুন কোন ধরণের টপিক নিয়ে হাজির হব আপনাদের সামনে। ধন্যবাদ সবাইকে। 

মাস্ক পড়ুন 

সুস্থ থাকুন

Related Posts