উত্তরঃউদ্দীপকে বর্নিত ক সাহেবের মধ্যে আখলাকে হামিদাহ এর শালিনতার গূনটি বিদ্যমান।
শালীনতার আরবি প্রতিশব্দ হলো ‘তাহবির’। যার অর্থ হলো ভদ্রতা,নম্রতা,লজ্জাশীলতা।আচার আচরণে, কথা বার্তায়, বেশ ভুষায়, চালচলনে মার্জিত পন্থা অবলম্বন করাকে শালীনতা বলে।শালীনতা মানুষের একটি মহৎ গুণ।
এটির গুরুত্ব অপরিসীম। শালীনতাবোধ মানুষকে অন্যায় ও অশ্লীল কাজ থেকে বিরত রাখে।শালীলতা মানুষকে অনুঘাত বান্দা হতে সাহায্য করে। আচার আচরণে শালীন ব্যক্তিকে সবাই পছন্দ করে। শালীন পরিচ্ছন্দ পোশাক আশাক সৌন্দর্যের প্রতীক।শালীন ও ভদ্র আচরণের মানুষ হিদ্দতা এবং ভদ্রতার অধিকারী হয়।সমাজকে ভদ্র ও সুশৃঙ্খল রাখতে শালীনতা গুনটি খুব প্রয়োজন।
শালীনতা পূর্ণ আচরণের মাধ্যমে বন্ধুত্ত গড়ে ঊঠে।পক্ষান্তরে অভদ্র এবং অশালীন আচরণ বন্ধুকেও দূরে ঠেলে দেয়।মানুষ অশালীন ব্যক্তিকে পছন্দ করেনা।তার সাহচার্য পরিত্যাগ করে।মহানবী (সঃ) বলেছে” মানুষের মাঝে সেই ব্যক্তিই সবচেয়ে নিকৃষ্ট যার অশ্লীলতা থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য মানুষ তাকে পরিত্যাগ করে। অশালীন ব্যক্তিকে আল্লাহ তা’য়ালা কখনো পছন্দ করে না না। বরং আশালীন ব্যক্তিকে আল্লাহ তা’য়ালা ঘৃণা করেন। এ সম্পর্কে মহানবী (সঃ) বলেন “নিশ্চয়ই আল্লাহ তা’য়ালা অশালীন ও দুশ্চরিত্র ব্যক্তিকে অপছন্দ করেন।
শালীনতা মানুষের জীবনের অপরিহার্য বিষয়। মহান আল্লাহ আমাদেরকে শালীনতা নিয়ে শিক্ষা দিয়েছেন।
জনাব ক অফিসে নিয়মিত মার্জিত বেশভূষা আশা যাওয়া করেন। অফিসের সকলের সাথে ভালো ব্যবহার করেন। তার সহকর্মী এবং সেবাগ্রহীতা তার আচরণে মুগ্ধ। অতএব উদ্দীপকে বর্নিত ক এর মধ্যে আখলাকে হামিদাহ এর শালীনতা গুণটি বিদ্যমান।