বর্তমানে তরুণদের জনপ্রিয় মুখ জিয়াউল হক পলাশ ওরফে কাবিলা। তিনি খুব অল্প সময়ে তরুণদের মনে জায়গা করে নিয়েছে। বর্তমানে শ্রেষ্ঠ ৫ অভিনেতা মধ্যে তিনি অন্যতম। তার নাম পলাশ হলেও সবাই থাকে কাবিলা বলে তাকে। কেননা জনপ্রিয় নাটক ব্যাচেলর পয়েন্ট এর জন্য কাবিলা নামে পরিচয় লাভ করেন।
পলাশের জীবনের গল্প: জিয়াউল হক পলাশ পড়ালেখায় খুব একটা ভালো ছিল না। কিন্তু সবার সাথে হাসিমুখে মেলামেশা ছিল তার জন্মগত স্বভাব। ছোটবেলা থেকেই তিনি মানুষের সাথে হাসিমুখে কথা বলতেন।
২০০৯ সালে গভমেন্ট ল্যাবরেটরি স্কুল থেকে এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছিলেন পলাশ। কিন্তু তার বন্ধু-বান্ধবীরা পাশ করলেও পলাশ পরীক্ষায় পাশ করতে পারেনি। তার মা বাবা সেদিন বেদনা, দুঃখ ভরা মনে স্কুল থেকে ফিরে আসে। পলাশের মা সেদিন অঝোরে কাঁদেছিলেন। পলাশ সেদিন জীবনের প্রথম ধাক্কাটা খায়। তার পরের বছর ২০১০ সালে এসএসসি পাস করে।
এইচএসসিতে পলাশ আবারো ফেল করে। একচান্সে পাশ করতে পারেনি। অবশেষে ২০১৩ সালে তিনি এইচএসসি পাস করেন। এইচএসসি পাস করার পর তার প্রিয় বান্ধবীর সাথে সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পলাশ ইঞ্জিনিয়ার বিভাগে পড়তে ইচ্ছুক আর তার বান্ধবী মেডিক্যালে।
কিন্তু পলাশের ইঞ্জিনিয়ারিং শেখা হয়ে ওঠেনি। ধারণা করা হয়, এজন্য তার বান্ধবী তাকে ফেলে চলে যায়। তখন নেমে আসে পলাশের জীবনের মন খারাপের দিন। তবুও পুলিশ নিজেকে একটু ঘষে তিতুমীর কলেজ থেকে ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং বিষয়ে অনার্স পাস করেন।
এই মন খারাপ নিয়ে তিনি বেরিয়ে পড়েন নাটকে। কাবিলাখ্যাত পলাশ ছোটবেলা থেকেই প্রচুর নাটক এবং সিনেমা দেখতেন। সেই ছোটবেলা থেকেই তার মনে নির্মাতা, অভিনেতা হওয়ার ইচ্ছা জাগে। সেই ইচ্ছা শক্তি পলাশকে আজকে এই পর্যায়ে নিয়ে এসেছে।
কোন এক নির্মাতা তাকে অভিনয় করার জন্য প্রস্তাব দেয়, পলাশ সে সুযোগটি হাতছাড়া করেনি বরং সেই নাটকটি অভিনয় করে পলাশ প্রচুর মানুষের মন জয় করেছিলেন। আর সেই নাটকটি টিভিতে প্রচার হওয়ার পর দারুন সাড়া পেতে থাকে। পলাশের প্রথম অভিনীত নাটকের নাম হল ট্যাটু। সেই নাটকের চাপাবাজি চরিত্রে অভিনয় করে দর্শকের কাছে পরিচিত লাভ করে এই অভিনেতা।
নাটকে অভিনয়ের পাশাপাশি তিনি নিজেই নাটক বানানো। সম্প্রতি তিনি ঘরে ফেরা নামে একটি নাটক তৈরি করেছেন। সেখানে অভিনয় করেন দুই জনপ্রিয় তারকা আফরান নিশো এবং মেহজাবিন চৌধুরী। পলাশ নোয়াখালীর আঞ্চলিক ভাষা দিয়ে মানুষের আকর্ষণ সৃষ্টি করে। নোয়াখালীর সোনাইমুড়ি উপজেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা একজন ইঞ্জিনিয়ার। বর্তমানে পলাশের দুটি বাড়ি আসে। একটি গ্রামের বাড়ি নোয়াখালীতে আরেকটি ঢাকায়। তার মাসিক আয় প্রায় ৫০ থেকে ১ লক্ষ টাকা।