অনিকের এসে বলে মায়া সুমন চলে গেছে |হ্যা মা চলে ও চলে গেছে |এই বলে মায়া কেঁদে দিলো | কিরে মায়া কাঁদছিস কেন |মায়া না মা কাঁদছিনা |এ যে সুখের কান্না |এই বলে মায়া চলে গেলে |অনিকের মা ভাবছে, কি ব্যাপার মায়া এবাবে কাঁদছিল কেন, কিছুই বুঝি না |যাক, আমি বরং অনিককে একটা ফোন করি |
সুমন তুমি আসতে এত দেরি করলে কেন, তুমি জানোনা এই কখন থেকে আমি তোমার জন্য এখানে অপেক্ষা করছি |
সুমি তুমি রাগ করেছে |তোমায় রাগলে কিন্তু অনেক সুন্দর লাগে |
তুমি মজা করছো সুমন |কতদিন পরে আমি আজ এতটা খুশি হয়েছি |তুমি বুঝোনা, না বুঝার বান করছো |
সুমি আজ আমি এই খুলা আকাশের নিচে তুমায় বলতে চায় আমার প্রাণের অভিভাধন সেই কথাটি, যেই কথাটি এই নীল আকাশের সুরে ভেসে যাবে | তোমার আমার এই হৃদয়ে প্রাণ খুলে হেসে যাবে |
সুমি আমি ভালোবাসি, আমি শুধু তুমায় ভালোবাসি প্রিয়া, প্রিয়া তুমি আমার, আমি শুধু তোমার|
সুমন আমিও অনেক ভালোবাসি তুমায়, তোমার জন্য শত প্রহর অপেক্ষা আমার, হৃদয় যন্ত্রণার আজ তুমি ফুল ফুটিয়েছ আমার, আমি তোমার আমার ভালোবাসাকে জানাই সম্মান, এই পবিত্র ভালবাসা থাকবে ছায়া হয়ে আমাদের হৃদয়য়ের মনিকোঠায় |
সুমি জানো, আজ খুব খুব করে অনিককে মনে পড়ছে |অনিক ছোট থেকেই আমার ছায়া হয়ে বন্ধুতের মর্যাদা অন্তরে রেখেছে |
সুমন তুমি সত্যিই বলছো, অনিককের মত এত ভালো মানুষ আমি দেখিনি |অনিকের মন অনেক বড়, ওর মহৎ হৃদয়য়ে তোমার বন্ধুত্ব বড় যত্ন করে রেখেছে |
পরেরদিন সকালে, দরজায় করা করা নাড়ছে, সুমি দরজা খুলে দেখে মায়া, আরে মায়া তুমি এত সকালে, সবকিছু ঠিক আছে তো, আন্টি ভালো আছে |
ভালো আছে, আমি কি ভিতরে আসব| একি বলছো মায়া, তুমি না আমার বোন, আসো ভিতরে আসো |
মায়া বলো, তুমি কি খাবে আমি জন্য আমি তোমার জন্য আমি নিজের হাতে খাবার তৈরি করবো |বল কি খাবে?
না সুমি আপু , আমি কিছু খাবনা, আমি তোমার সাথে কিছু কথা বলবো, আমার তোমার সাথে জরুরি কথা আছে |
আচ্ছা, আমি তোমার সব কথা শোনব |তার আগে দুজনেই নাস্তা করে নেই |
আবার দরজায় করা নারে, আবার কে এসেছে, সুমি দরজা খুলে দেখে, সুমন তুমি |
কেন, আসা যায়না বুঝি|
সুমন তুমি দুষ্টমি করছো, আসো, দেখো কে এসেছে |
আরে মায়া তুমি এত সকালে এসেছো, খালাম্মা কি ভালো আছে | সুমন ভাই, মা ভালো আছে |