আমরা বাঙালি কোন না কোন জেলায় ত অবশ্যই বাস করি, তাই না?নিজের জেলা নিয়ে আমরা গর্ব বোধ করি।কোন। নকন কারণে আমাদের জন্মভূমি খুব স্পেশাল।এই যেমন ধরুন খাবারদাবার,আবার ধরুন কোন ঐতিহাসিক নিদর্শন এইসব। আসলে যে বিষয় টার উপর কেন্দ্র করে মানুষ বিভিন্ন জেলা চিনে থাকে টা হল সেই এলাকার ঐতিহ্যবাহী খাবার দাবার।আজ আমরা জানবো সেই দেশের কিছু ঐতিহ্যবাহী জিনিস তার মাধ্যমে দেশের মানুষ সেই জেলা কে চিনে থাকে!
মুন্সীগঞ্জ -ভাগ্যকুলের মিষ্টি – এখানে এই মিষ্টির খুব প্রচলন রয়েছে।
সিলেট – সাতকড়ার আচার, কমলালেবু, পাঁলেয়ার চা এসবেরই প্রচলন রয়েছে।
সিরাজগঞ্জ – পানিতোয়া, ধানসিড়িঁর দই এর জন্যে বিখ্যাত
সাতক্ষীরা – সন্দেশ – সাতক্ষীরা নামই হতে বোধ এই জন্যে।
হেরপুর – মিষ্টি সাবিত্রি, রসকদম্ব
মৌলভীবাজার – ম্যানেজার স্টোরের চ্যাপ্টা রসগোল্লা খুব জনপ্রিয়।
যশোর – খই, খেজুর গুড়, জামতলার মিষ্টি ।
রংপুর – আখ (ইক্ষু) উৎপাদনের জন্য খ্যাতি রয়েছে।
– আম, তিলের খাজা, বিরেন’দার সিংগারা নিয়ে বলার কিছু নাই।
মেহেরপুর – মিষ্টি সাবিত্রি, রসকদম্ব এর জন্যে বিখ্যাত সেটা আমরা সবাই জানি।
মাগুরার রসমালাই।সাকিব আল হাসানের হোম ফুড।
ময়মনসিংহ – মুক্তা গাছার মন্ডা, আমৃতি তো বলার মত কিছুই নেই।সকলেই জানেন।এটা আবার মাহমাদুল্লাহ র হোম ফুড।
বরিশাল – আমড়া !সেজন্যই বলে বরিশালের মানুষ এক একটা আমড়া কাঠের ঢেকি।
বান্দরবন – হিল জুস- এটা বন্দর বনে খুব প্রচলিত একটি খাবার,বিশেষ করে অধিবাসীদের মধ্যে।
মাদারীপুর – খেজুর গুড়, রসগোল্লা খাবার জন্যে এখানে অনেক অঞ্চল থেকে মানুষ ছুটে আসে।
মানিকগঞ্জ – খেজুর গুড় ও খেজুরের রস খুব বিখ্যাত।
নেত্রকোনা – বালিশ মিষ্টি।এটার ফর্মুলা কিছুটা কালো জনের মত,কিন্তু মুখে দিলে একেবারে গোলে যাবে।
নীলফামারী – ডোমারের সন্দেশ।অদ্ভুত হলেও এটা ঐতিহাসিক খাবার।
নোয়াখালী – নারকেল নাড়ু়, ম্যাড়া পিঠা এইসব। ম্যাড়া শব্দ মানে ঢিল।
পাবনা – প্যারডাইসের প্যারা, সন্দেশ, ঘি।প্যারা মনে অনেকে বুঝেন নাই।এটা এক প্রকার মিষ্টি।
ফরিদপুর – খেজুরের গুড়,খেজুরের পায়েস এইসবের জন্যে বিখ্যাত।
ফেনী – মহিশের দুধের ঘি, খন্ডলের মিষ্টি এইসব মিষ্টির প্রচলন রয়েছে খুব।
পিরোজপুর – পেয়ারা, ডাব, আমড়া এইসব ফল খুব প্রিয় পিরোজপুর বাসীদের কাছে।
কক্সবাজার – মিষ্টিপান ছাড়াও বিভিন্ন ধরনের সামুদ্রিক মাছ তো আছেই।
কিশোরগঞ্জ – বালিশ মিষ্টি, নকশি, পিঠা,ফুল পিঠা এই বানাতে এক্সপার্ট এই এলাকার মানুষ।
কুমিল্লা – রসমালাই, খদ্দর (খাদী) এইসব খুব স্পেশাল আইটেম কুমিল্লা জেলার মানুষদের কাছে।
কুষ্টিয়া – তিলের খাজা, কুলফি, আইসক্রিম।আপনি নিশ্চই বাসে কুষ্টিয়ার তিলের খাজা খেয়ে থাকবেন ।
গড়াছড়ি – হলুদ চাষের খুব উপযোগী একটা জায়গা।এখানে খুব ভালো হলুদ চাষ হয়।
খুলনা – সন্দেশ, নারিকেল, গলদা, চিংড়ি এইসবের জন্যে বিখ্যাত।
গাইবান্ধা – রসমঞ্জরীর কথা অবশ্যই শুনে থাকবেন।
গাজীপুর – কাঁঠাল, পেয়ারা সারা বাংলাদেশে রপ্তানি হয়।
গোপালগঞ্জ -বাদাম ও কিকমিসের জন্যে বিখ্যাত।
চট্রগ্রাম – মেজবান, শুটকি এইসব এর জন্যে খুব খাতির সম্পন্ন।পারলে একবার অবশ্যই টেস্ট করবেন।
চাঁদপুর – ইলিশ – উহহ এখন যেন চোখে ঝলসাচ্ছে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ – আম তো মার্ভলাস।
টাঙ্গাইল- চমচম, কলাইয়ের রুটি এসো এর জন্যে খুব বিখ্যাত।একবার পারলে খেতে আসতাম।
চুয়াডাঙ্গা – পান, ভুট্টা ,খই এইগুলোর জন্ন বিখ্যাত।
জামালপুর – ছানার পোলাও, ছানার পায়েস
ঝালকাঠী – লবন, আটা এইসব।তাই বলে ভাববেন না। জিমি মেকআপের কথা বলছি।এটা খাবার আটা।
ঝিনাইদাহ – হরি ও ম্যানেজারের ধান এইসব ধান উৎপাদনে সবার দিক দিয়ে এগিয়ে ঝিনাইদহ।
ঠাকুরগাঁও – সূর্য্যপুরী আম তো এখন থেকে রপ্তানি হয়।
দিনাজপুর – লিচু, পাপড়, চিড়া, শীদল, কাটারিভোগ চাল এর জন্যে বিখ্যাত।
ঢাকা – বাকরখানি, হাজীর/নান্নার, বিরিয়ানী এর নাম তো অবশ্যই শুনে থাকবেন।
– প্যারা সন্দেশ, চাল,ডাল এইসব এর জন্যে বিখ্যাত।
নরসিংদী – সাগর কলা এবং আরও সব কলা উৎপাদনের জন্যে বিখ্যাত।
নড়াইল – পেড়ো সন্দেশ, খেজুর গুড়, খেজুর রস।এটা আমাদের মাশরাফি বসের হোম ফুড।
বগুড়া – দই, কটকটি,মরিজের জন্যে বেশ নাম রয়েছে।এটা মুশফিকের হোম ফুড।
বাগেরহাট – চিংড়ি, সুপারি , ডাবের জন্যে বিখ্যাত।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া – তালের বড়া, ছানামুখী, রসমালাই এইসবের জন্যে।
ভোলা – মহিষের দুধের দই, নারিকেল এই সব উৎপাদনে বিখ্যাত।
নাটোর – কাঁচাগোল্লা
নাটোরের কাচাগোল্লার কথা সবার পরে বললাম,কারণ উপরে আপনারা যেসব খাদ্যের নাম পড়লেন সবই ঐতিহ্যের খাতিরে বা জলবায়ু গত কারণে হয়েছে।কিন্তু নাটোরের কাঁচাগোল্লা এসেছে হটাৎ করে।কোন এক সময় কর এক জমিদারের ছেলের মাঝ রাতে আবদার হল যে সে মিষ্টি খাবে।এদিকে চারপাশে তেমন কোন মিষ্টি নেই।রান্না ঘরে মিষ্টি হয় না বললেই চলে।কিন্তু জমিদারের ছেলের আবদার সামলায় কে।একসময় বাবুর্চি কাচা দুধের ছানা তৈরি করে জমিদারের ছেলে কে দিলেন।সে খেয়ে এত খুশি হল যে তার পর থেকে এই মিষ্টি বানিজ্যিকভাবে বানানো হল।এবং এর নাম দেওয়া হল কাঁচাগোল্লা।
ভালো লাগলে অবশ্যই শেয়ার করবেন।
ধন্যবাদ।