আসসালামুয়ালাইকুম বন্ধুরা, কেমন আছেন আপনারা? আশা করি সবাই অনেক ভালোই আছেন। টাইটেল পড়ে নিশ্চই বুঝে গিয়েছেন আজকে আমরা কোন বিষয়ে আলোচনা করতে চলেছি। আজকে আমরা মোবাইল রিচার্জ ব্যবসা সম্পর্কে বিস্তারিত জানার চেষ্টা করবো। কিভাবে মোবাইল রিচার্জ ব্যবসা শুরু করা যেতে পারে সে বিষয়ে আপনাদের ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করবো। সল্প পুঁজি বিনিয়োগ করে যারা লাভজনক ব্যবসা করার কথা ভাবছেন তাদের জন্য সবচেয়ে ভালো উপায় হচ্ছে মোবাইল রিচার্জ বা ফ্লেক্সিলোড এর ব্যবসায় শুরু করা।
কিভাবে করবেন ফ্লেক্সিলোড/মোবাইল রিচার্জ ব্যবসা?
এমনিতে যেকোনো বিজনেস শুরু করার পূর্বে বেশ কয়েকটি বিষয় সম্পর্কে ধ্যান দিতে হয়। এক্ষেত্রে রিচার্জ ব্যবসা শুরু করার আগেও একইভাবে আমাদের কিছু বিষয় মাথায় রাখতে হবে। অর্থাৎ কয়েকটি ধাপে আমাদের ব্যবসা শুরু করতে হবে। তাহলে চলুন একে একে ধাপগুলো সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
মোবাইল রিচার্জ ব্যবসা শুরুর পদ্ধতিঃ
১। সঠিক জায়গা নির্ধারণ
সব ধরনের Business আরম্ভ করার আগে সঠিক জায়গা নির্ধারণ করতে হয়। জায়গা নির্বাচন করার ক্ষেত্রে বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিতে পারলেই ব্যবসায় দ্রুত সময়ে সফলতা অর্জন করা সম্ভব হতে পারে। এমন একটি জায়গা বেছে নিন, যেখানে লোকসমাগম, ভিড় বেশি থাকে। শপিং মল, স্কুল কলেজ, যেকোনো প্রতিষ্ঠান এর পার্শ্ববর্তী জায়গা বেছে নিতে পারেন। আগে থেকে অনেক রিচার্জ এর দোকান আছে এমন জায়গায় দোকান না দেওয়াটা ভালো হবে।
২। দোকান দেওয়ার কাজ শুরু করুন
জায়গা নির্ধারণ করার পর আপনার কাজ দোকান দেওয়া। আপনার বেছে নেওয়া জায়গাতে একটি দোকান দিন, এবং দোকানটি সুন্দর মত সাজিয়ে নিন।
৩। প্রচার করুন
যেকোনো বিজনেস বড় করতে হলে প্রচারণা কার্যক্রম চালাতে হয়। অফলাইন প্রচারের ক্ষেত্রে আপনি আপনার দোকানের একটি সাইনবোর্ড, দোকানের দুই কোনে বাহির সাইটে সাইনবোর্ড দিতে পারেন। এছাড়াও বিভিন্ন জায়গাতে পোস্টার লাগিয়ে ব্যবসার প্রচার চালাতে পারবেন।
৪। বাজেট ঠিক করুন।
বাজেট বা মূলধন ব্যবসার গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। আপনি যে বিজনেস করতে চান না কেন, পূর্বে আপনাকে পরিকল্পনা করে ব্যবসায়ের পুঁজি ঠিক রাখতে হবে। সব কিছু বিবেচনা করে আপনার বিজনেস শুরু করতে কত টাকার প্রয়োজন সে অনুসারে টাকা যোগাড় করে নিন, যাতে আপনাকে পরবর্তীতে আর সমস্যায় না পড়তে হয়।
৫। ডিস্ট্রিবিউটর এর খোঁজ নিন
রিচার্জ এর ব্যবসা করতে হলে আপনার প্রয়োজন হবে বিভিন্ন সিম কোম্পানির ডলার বা ডিস্ট্রিবিউটরদের। তাই প্রথমে তাদের খুঁজে বের করুন। আপনার আশেপাশের ফ্লেক্সিলোড ব্যবসায়ীদের থেকে ডিলার দের খোঁজ নিতে পারবেন।
ফ্লেক্সিলোড/ রিচার্জ ব্যবসা শুরু করতে কি কি লাগবে?
১. সিম অনুযায়ী মোবাইল। আপনি যদি বেশি প্রচলিত ৫ টি সিমে (গ্রামীণ, বাংলালিংক, রবি, টেলিটক, এয়ারটেল) ফ্লেক্সিলোড করতে চান তবে দুই সিমের মোবাইল আপনার দুটি কিনতে হবে এবং এক সিমের একটি। আপনি চাইলে দুই সিমের মোবাইল তিনটি কিনতে পারেন সুবিদার্থে। প্রতিটি মোবাইল আপনি ৮০০-১২০০ টাকার মধ্যে কিনতে পারবেন। ফ্লেক্সিলোড এর জন্য খুব একটা ভালো মোবাইলের প্রয়োজন পরে না।
২. যতটি সিমে ফ্লেক্সিলোড করতে চান ততটি সিম প্রয়োজন হবে।
৩. ট্রেড লাইসেন্স এবং যাবতীয় কাগজপত্র। ( এ বিষয়ে পুরাতন ব্যবসায়ীদের থেকে পরামর্শ নিতে পারবেন)।
এসব কিছু ঠিক থাকলে আপনি শুরু করে দিতে পারেন ফোন রিচার্জ করার ব্যবসা। পরামর্শ থাকবে সরাসরি রিচার্জের ব্যবসা না করে অন্য কোনো ব্যবসার সাথে এই ব্যবসাটি করুন। বর্তমান দিনে শুধু ফ্লেক্সিলোড এর ব্যবসায় করে সংসার চালানো সম্ভব নয়। এই ছিল মূলত আজকের আর্টিকেল, ভালো থাকবেন সবাই, আল্লাহ হাফেজ।