বিসমিল্লাহি রহমানের রাহিম
সকল প্রশংসা মহান আল্লাহতালার
আসসালামু আলাইকুম
আমার শ্রদ্ধেয় বড় ভাই ও বোনেরা
সবাই কেমন আছেন আশা করি আপনারা সবাই ভাল আছেন আল্লাহ তায়ালার রহমতে আলহামদুলিল্লাহ আমিও ভাল আছি
ডায়রিয়া ( Diarrhoea ) :
যদি দিনে অন্তত তিনবার পাতলা পায়খানা হয় , তবে তার ডায়রিয়া হয়েছে বলে মনে করতে হবে । সব বয়সী মানুষের ডায়রিয়া হতে পারে , তবে সাধারণত শিশুরা এতে দ্রুত কাহিল হয়ে পড়ে । ডায়রিয়া হলে রােগীর দেহ থেকে পানি এবং লবণ বেরিয়ে যায় , দেহের পানি কমে যায় , রােগী দুর্বল হয়ে পড়ে । ফলে দেহে পানি এবং লবণের স্বল্পতা দেখা দেয় । এ সময় যথাযথ চিকিৎসা করা না হলে রােগী মারাও যেতে পারে । ঘন ঘন পাতলা পায়খানা হওয়া , বারবার বমি হওয়া , খুব পিপাসা লাগা , মুখ ও জিহ্বা শুকিয়ে যাওয়া , দেহের চামড়া , কুঁচকে যাওয়া , চোখ বসে যাওয়া ইত্যাদি ডায়রিয়ার উপসর্গ । এ সময় রােগী খাবার বা পানীয় ঠিকমতাে খেতে চায় না , শিশুর মাথার চাঁদি বা তালু বসে যায় । আস্তে আস্তে রােগী নিস্তেজ হয়ে পড়ে । দূষিত পানি পান করলে , বাসি – পচা , নােংরা খাবার খেলে , অপরিচ্ছন্ন থালা – বাসন ব্যবহার করলে , অপরিষ্কার হাতে খাবার খেলে এ রােগ বিস্তার লাভের আশঙ্কা বেশি থাকে । ডায়রিয়া রােগের লক্ষণ দেখা দিলে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব রােগীকে খাবার স্যালাইন খাওয়ানাে শুরু করতে হবে । আজকাল খাবার সালাইনের প্যাকেট বাজারে পাওয়া যায় , প্যাকেটের গায়ে স্যালাইন বানানাের নিয়ম লেখা থাকে । ঐ নিয়ম অনুযায়ী স্যালাইন বানাতে হয় । বিশেষ প্রয়ােজনে বাড়িতেও স্যালাইন । বানানাে যায় । তােমরা ইতােপূর্বে বাড়িতে কীভাবে খাবার স্যালাইন তৈরি করা যায় তা জেনেছ । সম্প্রতি শস্য স্যালাইন নামে আর একটি স্যালাইন উদ্ভাবিত হয়েছে । এক লিটার পানি , 50 গ্রাম চালের
গুঁড়া , এক চিমটি লবণ মিশিয়ে বাড়িতে এ স্যালাইন তৈরি করা যায় । স্যালাইন ব্যবহারের সময় যে | বিষয়গুলাে মনে রাখা দরকার তা হলাে : পাতলা পায়খানা বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত রােগীকে স্যালাইন | খাওয়াতে হবে , রােগীর বমি হলেও স্যালাইন খাওয়া বন্ধ করা যাবে না , শিশু রােগীকে বুকের দুধ খাওয়াতে হবে । রােগীকে নিয়মিত অন্যান্য খাবারও খেতে হবে । ডায়রিয়া সেরে যাওয়ার পরও অন্তত এক সপ্তাহ রােগীকে বাড়তি খাবার দিতে হবে । ভাইরাস , ব্যাকটেরিয়া , প্রােটোজোয়া প্রভৃতি জীবাণু দ্বারা ডায়রিয়া হতে পারে । রােটা ভাইরাস , ডায়রিয়ার জন্য দায়ী জীবাণুগুলাের মধ্যে অন্যতম । বিশ্বব্যাপী রােটা ভাইরাসজনিত মােট মৃত্যুর 82 শতাংশ হয় হতদরিদ্র দেশগুলােতেই । উন্নত দেশগুলােতে এ রােগের বিস্তার আছে । তবে মৃত্যুর হার তুলনামূলকভাবে অনেক কম ।
আজকের পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ
আল্লাহ হাফেজ