একসময়কার দুর্দান্ত ক্রিকেটার তাপস বৈশ্য এর কথা হয়তোবা আমাদের কারোরই মনে নেই বাংলাদেশের এক সময়কার সেরা ফাস্ট বোলার ছিলেন তিনি। ফাস্ট বোলিং এর পাশাপাশি ব্যাট হাতেও দলের জয় খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতেন। ভারতের বিপক্ষে যেদিন বাংলাদেশে সর্বপ্রথম ওয়ানডে ম্যাচ জিতেছিল, সেই ম্যাচে দুর্দান্ত ফিফটি করেছিলেন তিনি। আজ আমরা তাপস বৈশ্যের ক্রিকেট ক্যারিয়ার এবং বর্তমান অবস্থা নিয়ে আলোচনা করব।
তো চলুন শুরু করা যাকঃ
1982 সালের সিলেটে জন্মগ্রহণ করেন তাপস বৈশ্য। তার পুরো নাম তাপস কুমার বৈশ্য। তাপসের উচ্চতা 5 ফিট 9 ইঞ্চি। 2002 সালে সর্বপ্রথম কলম্বোতে শ্রীলংকার বিপক্ষে তার ওয়ানডে ক্যারিয়ারের অভিষেক ঘটে। তিনি সর্ব শেষ ওয়ানডে খেলেছেন 2007 সালের 31 মার্চ। 2002 সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্ট অভিষেক ঘটে সেই ম্যাচের প্রথম ইনিংসে শ্রীলঙ্কা মাত্র 373 রানে গুটিয়ে যায় কিন্তু এরপরেও ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ শুভর সূচনা করতে অক্ষম হয়। মাত্র 87 রানে 7 উইকেট পড়েছে বাংলাদেশের। এরপর সেই ম্যাচে অভিষেক ঘটে আরেক ক্রিকেটার অলক কাপালির,
তার সাথে 37 রানের একটি জুটি গড়েন। সেই ম্যাচে 52 রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি। সেটি ছিল তার জীবনের প্রথম টেস্ট হাফ সেঞ্চুরি তবে এর পরও তার একটি টেস্ট সেঞ্চুরি হয়েছে চট্টগ্রামে। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশ যখন হারে তখন তার ব্যাট যেন কথা বলছিল।
মাত্র 47 বলে 366 রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন কিন্তু তার একজন বোলার হিসেবে অভিষেক ঘটল শ্রীলংকার বিপক্ষে অভিষেক ম্যাচে তিনি তেমন সাফল্য দেখাতে পারেনি মাত্র একটি উইকেট শিকার করেছিলেন তবে তখনকার বাংলাদেশ দলের পরিপ্রেক্ষিতে সেটি যথেষ্ট তখনকার কথা স্মরণ করলেও তাপস বলেন যে সেই ম্যাচে আমরা গরমে কাহিল হয়ে গেছিলাম, সবাই শক্তি হারিয়ে ফেলেছিলাম, সেই ম্যাচটি এখনো আমার মনকে ব্যথিত করে। তবে এখন যখন দেখি যে বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কার ঘরের মাটিতে শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে আসছে তখন বুক গর্বে ফুলে যায়। ভারতীয় এবং পাকিস্তানি ক্রিকেটার আমাকে বলে, ” তোমাদের দেশ এখন অনেক শক্তিশালী হয়েছে ” , তখন আমার বুকটা গর্বে ফুলে ওঠে
তবে 2008 সালে নিষিদ্ধ ভারতীয় ক্রিকেট আইসিএল খেলার জন্য এই ছেলেটি ক্রিকেট থেকে 10 বছরের জন্য বরখাস্ত হন। এরপরে তিনি অবশ্য ক্রিকেট খেলা চালিয়ে যেতে পারেননি।
2016 সালে সপরিবারে তিনি নিউইয়র্কের অধিবাসী হন। বর্তমানে তিনি সেখানকার ভারত এবং পাকিস্তানের অধিবাসী ছেলে মেয়েদের ক্রিকেট কোচ হিসেবে কাজ করেন। তবে তিনি তার প্রতিভাকে নিজের দেশের জন্য কাজে লাগাতে চান।
আর্টিকেলটি ভালো লেগে থাকলে আমাদের ওয়েবসাইটের সাথে থাকার জন্য আপনার আমন্ত্রণ রইল এবং আর্টিকেলটি শেয়ার করতে ভুলবেন না।
ধন্যবাদ।।