ওহে তরুণ, ওহে নব্য, ওহে নও যোয়ান!
তারুণ্যের জোয়ারে পূর্ণ তুমি, তবে হা-ঘরে কেন তোমার ভূবণ ?
বর্ণালী আলোই শোভিত তুমি, তবে আলস্য কাট কেন জীব ?
আলস্য নহে জীবন সেতো নির্জীব প্রতি সমান ।
আছে কি তাহার ক্ষমতা করার, কে দেবে তাকে সম্মা ?
স্ব-হস্তদয় সচল যখন, কে বলে তবে বৃদ্ধ তোমায় ?
তুমিইতো আসল বীর্যবান, তবে কেন করেছে জীবন মাধুকরীময় ?
মাধুকরী নহে বৃত্তি, সেতো দণ্ডহীন কেঁচোরও সমান ।
সাধ্য কি আছে তাহার শীর উঁচু করিবার ?
জীবন সেতো বেঁচেও সামিল না বাঁচা !
জীবন সেতো সর্ষেরও সামিল, যেন সৃষ্টি তাহার প্রতি পাকে চূর্ণ হইবার ।
নব্য আলোই আলোকিত তুমি, তবে কুঁয়াশাছন্ন কেন তব মন ?
ভাবিবে যাহা বলিবে তাহা, করিবে তাহাই প্রাণপন ।
কি হবে গালি দিয়ে ভাগ্য ও বিধাতারে ।
বিধাতা দেয় সাফল্য কর্মেরওপড়ে ।
কর্ম যেন না হয় তব অকর্ম মুঠো চেপে পানি ধরা,
নইলে তুমি রয়ে যাবে চির ঘাটের মরা ।
সংসয় তব কেন হিয়া, নয়তো তোমার জরাগ্রস্ত দেহ-কায় ?
তবে আছ কেন আধার নির্জীব এ নিরালা ?
নব্য দিনের কান্ডারী তুমি, গাও তারুণ্য জাগরনের জয়োগান,
আছে কি ভেদ তোমারঃ বর্ণ, গোত্র হিন্দু কি মুসলমান ?
সকলেরে তুমি বাস ভালো, ছাড়ে গরিবি যেজন;
গরিব তো সেজন, যেজন নিকৃষ্ট ও কলুষিত করেছে মন, জীবন ও যৌবন !
ওরে সবুজ, ওরে অবুঝ তবে আজি উঁচু কর অমরের (রঃ) মত তব শীর;
রাসেলের (সাঃ) চেতনায় ধর হাল, বীর্দপের তোল পাল,
দেখাও তুমি সে সাফল্যের স্বর্ন তীর।