একদিন বৃষ্টি হচ্ছিল আমি ছাতা নিয়ে রাস্তা দিয়ে যাচ্ছি ।এমন সময় এক লোক পিছন থেকে বললো ও দাদা ও দাদা এদিকে কথা যাচ্ছো।আমি বললাম oo তুমি।এইতো বাড়ির দিকে যাচ্ছি।লোকটি বললো তো এইদিক দিয়ে কেনো যাচ্ছেন।বড়ো রাস্তা দিয়ে যান।সন্ধার পরে এই রাস্তা দিয়ে কেও যায়না।আমি বললাম ধুর কিযে বলো আমি ওইসব ভয় টই পাইনা।লোকেরা শুধু শুধু রটায় এখানে ভয় আছে ওখানে ভয় আছে।কখনো কারো মুখে শুনেছে যে কারোর কোনো ক্ষতি হইছে।
ওসব ফালতু কথা আমি চললাম গো বলে আমি ওখান থেকে চলে আসলাম ওখান থেকে আমার বাড়িটা একটু দূরে আর বড়ো রাস্তা দিয়ে যেতে গেলে অনেক দূর হতো।আমি যদি তেপান্তরের মাঠের রাস্তা দিয়ে যায় তাহলে আমার বাড়ি যাওয়ার রাস্তা টা অনেক দুরত্ব কমে যাবে। তেপান্তরের মাঠের মধ্যে দিয়ে একটা রাস্তা চলে গেছে।দিনের বেলা সবাই যাতায়াত করলেও সন্ধের পরে আর কেউ যায়না । লোকমুখে শুনেছি যে সন্ধের পরে নাকি এই রাস্তায় ভুত দের আনাগোনা শুরু হয়।কিন্তু কখনো কারোর ক্ষতি হয়েছে বলে আমি শুনি নি।
তাই আমি ওসব বিশ্বাস করিনা তেপান্তরের মাঠ দিয়ে হেঁটে চলেছি ঝিরঝিরে বৃষ্টি আর মাঝে মাঝে শেয়ালের ডাক শোনা যাচ্ছে।হাঁটতে হাঁটতে যখন আমি মাঠের মাঝখানে পৌছালাম তখন আমি গা টা কেমন ছমছম করে উঠলো মনে হচ্ছিল কেও যেনো। আমার পিছু নিয়েছে।যতই এগোচ্ছি ততই যেনো ভয়টা বাড়ছে।
আমি ভয়ে তাকাতে পারছিনা ।হেঁটে যাচ্ছি। একসময় আমি দাড়িয়ে পড়লাম আমি সাহস করে পিছনে তাকালাম কিন্তু পিছনে দেখি ফাঁকা কেও নেই।আবার হাটতে শুরু করেছি। কিন্তু তখন আমার মনে হলো কেও পিছনে আসছে।আবার পিছনে তাকাইয়া দেখলাম কেও নেই।তখন আমি ভাবলাম এইটা হয়তো আমার মনের ভুল।লোকমুখে এই তেপান্তরের মাঠের কথা শুনেছি টায় ঐটায় মনের মধ্যে আনাগোনা করছে ।
আবার হাঁটার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম তখন সামনে দেখলাম একটা বুড়ি দাড়িয়ে আছে আমি বললাম কে তুমি।বুড়িটা আমাকে বললো কিরে ছেলে ভয় পেয়ে গেলি নাকি ।আমি বললাম সামনে এভাবে হটাৎ করে চলে এলে আমি ভয় পাবো না।আর তোমার বাড়ি কোথায় ।এই সন্ধা বেলা বৃষ্টির মধ্যে কোথায় যাচ্ছ।তোমার তো ঠান্ডা লেগে যাবে আর তোমার বাড়ির লোকজনে বা কেমন তোমাকে এখন বের হতে দিয়েছে।
চলো আমি তোমাকে বাড়ি পৌঁছে দে।বুড়ি আমাকে বললো রাখ তো তোর কথা।তোর কাছে তো পকরা আছে দে না আমায় একটু পকোড়া আমি খায়।কতকাল হইয়ে গেলে আমি পকোড়া খাইনা।
বুড়ির কথা শুনে যেই তাকে পকোড়া দিতে যাবো তখনই আমার মনে হলো আমার পেছনে আরো কইয়েকজন দাড়িয়ে আছে। হটাৎ বুড়ি বলে উঠলো দেখো পকরার গন্ধ পেতে না পেতে চলে এসেছে।তোরা এখন যা আমি পকোড়া খাবো।আমি বুড়ি কে বললাম তুমি কার সাথে কথা বলছো।বুড়ি বলল পিছনে তাকিয়েই তো দেখ।পিছনে তাকাতে আমি দেখলাম ভুত।আমি চিল্লাতে থাকলাম আর বললাম ভুত ভুত সামনে তাকিয়ে দেখি বুড়িটা ভুত।আমি অজ্ঞান হইয়ে গেলাম আমার আর কিছু মনে নাই।
যখন তাকালাম তখন দেখলাম আমি বাড়িতে বাড়ির লোক বললো পাশের বাড়ির একজন নাকি ঐ রাস্তা দিতে মোটর গাড়ি নিয়ে আসছিলো আমকে অজ্ঞান অবস্থায় দেখতে পেয়ে নিয়ে আসছে। সেদিন তো আমার পকোড়া খাওয়া হলো না কিন্তু ভূতের বিশ্বাস ঠিকই হইছে।