সু’প্রিয় বন্দু-গন আসসালামু আলাইকুম!
কেমন আছেন আপনারা সবাই? আশা করি আপনারা সকলে ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন।
আপনারা সকলে ইতিমধ্যে জেনে গেছেন আজকের পোস্টের ধারাবাহিক সম্পর্কে।
বন্দু-গন আপনাদের মধ্যে হতে কেউ যদি প্রথম পর্ব দেখে না থাকেন, তাহারা এখানে ক্লিক করুন
**মাতা – পিতাকে কষ্ট দেয়ার শাস্তি দুনিয়াতেই পাওয়া যায় । শেষ পর্ব।
::::::::::::::::::::::পাঠ:(৫)::::::::::::::::::::::::
হাউমাউ করে কাঁদতে কাদতে বাড়ি থেকে বেরিয়ে গেলেন । বাড়ি থেকে অল্প দূরে মসজিদ । মা সে মসজিদের দরজায় গিয়ে পড়ে গেলেন । অনেকক্ষণ কাদলেন । সেখানে । তারপর আঁচল পেতে আকাশের দিকে মুখ করে কেঁদে কেঁদে বললেন , পরওয়ারদেগার ! আমি এর বিচার চাই । এত বড় অবিচারের বিচার পৃথিবীতে চাই , তুমি এর বিচার করাে আল্লাহ । এরপর মা কোথায় চলে গেলেন জানি না । পড়শীর অনেকে এসে বলল , মায়ের পা ধরে ক্ষমা চাইতে , কিন্তু সেদিন আমি অহষ্কার করে বলেছিলাম , মায়ের অভিশাপে আমার কিছুই হবে । অথচ ‘ মায়ের বদদোয়ায় ধবংস অনিবার্য এ চরম সত্যটি সেদিন ভুলে গেছিলাম ।
যে সংসার থেকে মাকে তাড়িয়ে সুখের স্বপ্ন দেখেছিলাম সেখানে কখন যে জাহান্নামের আগুন ঢুকে পড়েছে টেরও পাইনি । পরে খোঁজ নিয়ে জানতে পারলাম , পাড়ার ওদিকে এক দূর সম্পৰ্কীয় আহায্যের বাড়িতে মা আশ্রয় নিয়েছেন । আলেয়ার কারণে আমি আর মায়ের খােজ নিতেও যাইনি । কয়েকদিন পরে শুনলাম , মৃত্যু শয্যায় শায়িত । একদিন রাতের আঁধারে আলেয়াকে সাথে নিয়ে মাকে দেখতে গেলাম । মৃত্যুর পূর্বে মায়ের কাছে । ক্ষমা চাইতে । ঘরের দরজায় গিয়ে আস্তে কৰে ডাকলাম , মা ! দেখি , একটি কংকালসার দেহ নিয়ে সটান শুয়ে আছেন মা । পরের বাড়িতে অবহেলা – অযত্নে যা হয় । আমাকে দেখেই মা অন্যদিকে মুখ ঘুরিয়ে নিলেন । একটু পরেই । দেখা গেল , মা আর নেই , চলে গেছেন পথে , খছ পুণে , পৰয়জগতে । বড় হতভাগা আমি , মায়ের কাছে ক্ষমা চাওয়ার ভাগ্যও হল না । ইহকাল পরকাল দুটোই আমার বরবাদ হয়ে গেল । এরপর একদিন হঠাৎ আমার ডান হাতটি অবশ হয়ে গেল । চিকিৎসা করার মত নগদ টাকা আমার ছিল না । কষ্টে অর্জিত একটি জমি বিক্রি করতে হল । চার / পাঁচ দিন পর একটি চোখ অন্ধ হয়ে গেল সাথে প্রচণ্ড পেটের ব্যত্ব । এর কয়েকদিন পর দেখা দিল হাপানি এরপর সারা শরীরে ঘা ওঠে ভরে গেল । আমি চিকিৎসার জন্য জমি – জমা , ঘর – বাড়ি , ভিটে মাটি সব বিক্রি করলাম । কিন্ত্র কিছুতেই কিছু হলাে না । কোন ডাক্তার আমার রােগের চিকিৎসা করতে পারল না । ভীষণ কষ্ট ও যন্ত্রণা হাতে লাগল । মনে হল , এভাবে বেঁচে থাকা সম্ভব নয় । উপায়ন্তর না দেখে আমি মৃত্যুর আকামা করতে লাগলাম । কিন্তু মৃত্যু আমার কাছে ধরা দেইনি । যেদিন আমার টাকা – কড়ি সব ফুরিয়ে গেল ; আলো এসে বলল , আমি চলে যাচ্ছি । তােমার এখানে থেকে আমি ধুকে ধুকে মরতে পারব না । যেখানে মাথা গুজার মত একটু ঠাই নেই , সেখানে থাকার দরকার নেই । সত্যিই আমার স্ত্রী এ বিপদের দিনে আমাকে ছেড়ে চলে গেল । এবার আমি বড় অসহায় হয়ে পড়লাম । আমার বিক্রিত বাড়ি থেকে একদিন খরিদ্দাররা আমাকে বের করে দিল । গ্রামের কোন মানুষ আমাকে জায়গা দিল না । সকলেই আমাকে দূর দূর করে তাড়িয়ে দিল । সে থেকে অদ্যাবধি একটানা দশ বছর মায়ের বদদােয়া মাথায় বয়ে বেড়াচ্ছি …। সুপ্রিয় পাঠক ! এটি কোন কাল্পনিক নাটক নয় , একটি সত্যনিষ্ট ঘটনা । প্রকৃতপক্ষে যে হতভাগারা পৃথিবীতে পিতা – মাতাকে কষ্ট দেয় , তাদের মত লাঞ্ছিত জীবন আর কালো হয় না , হতে পাবাে না । পৃথিবীতেই তারা অসহনীয়া খােদায়ী আযান ভােগ করে থাকে । আখেরাতে কল্পনাতীত শাস্তির ব্যবস্থা তাে রয়েছেই ।
আজ এই পযন্ত তবে জাবার আগে একটি কথা না বল্লেই নয়।
আপনারা যারা এখনো আমাদের কমেন্ট বক্স এ কমেন্ট করেননী তারা অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন
আজকের পোস্ট আপনাদের কাছে কেমন লেগেছে।
এবং অবশ্যই অন্যদের শেয়ার করে এটি পড়ার সুযোগ করে দিন। আল্লাহ হাফেজ।