বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম
আসসালামু আলাইকুম বন্ধুরা। আশা করছি আপনারা সবাই ভালো আছেন আল্লাহর অশেষ রহমতে আমিও ভালো আছি আলহামদুলিল্লাহ।কথায় আছে, যে রমণীর পায়ের গুড়ালি পরিস্কার ও গুছানো থাকে সেই রমণীর স্বভাব সুন্দর ও গুছানো হয়।
তবে শীত আসলেই বেশির ভাগ মেয়েরা পা পাটার সমস্যায় ভুগে।শুধু শীতে নয় গরম এর সময়েও পা পাটার সমস্যা দেখা দেয়।
আর এই পাটা পা দেখতে খুব একটা ভালো দেখা যায় না।সব সুন্দর্য নষ্ট করে দেয়ার জন্য এক জোড়া পাটা পা থাকলেই চলে।পা পাটা হলে অনেকে বিব্রত হয়ে ঘর থেকে বের হতে চাই না।কিন্তু বের না হওয়া তো সমাধান না।
একটু সচেতনতার সাথে যত্ন নিলে শীতের সময় পা থাকবে পরিস্কার ও কোমল।চলুন জেনে কি কি কারণে পা পেটে যায়ঃ-
১)পানিতে বেশির ভাগ সময় থাকলে পা পেটে যায়।
২)শরীরের ওজন বেশি হলে পায়ের ওপর চাপ বেশি পরার কারণে ও পা পেটে যায়।
৩)খালি পায়ে হাঁটলে পায়ে এক ধরনের ফাংগাশ দেখা যায় আর এটা বেড়ে ধীরে ধীরে পায়ের গুড়ালিতে ছড়ায় ফলে পা পেটে যায়।
৪)প্লাস্টিকের জুতা পরার কারণে ও পা পেটে যায়।
৫)আমরা বাড়িতে পরিস্কারের কাজে যে ডিটারজেন্ট পাউডার বা সাবান ব্যবহার করি তা পায়ে লাগলে পা পেটে যায়।
৬)শরীরে ভিটামিন, আয়রন, ক্যালশিয়ামের অভাব দেখা দিলে পা পেটে যায়।
এবার চলুন জেনে নি পা পাটা রোধে প্রতিকার গুলো সমপর্কেঃ-
১)পায়ের গোড়ালি ও তালুতে পেট্রোলিয়াম জেলি ও গ্লিসারিন লাগান।
২)গোসল বা অজু করে পা তোয়ালে বা শুকনো কাপড় দিয়ে ভালো করে মুছে ফেলুন।
৩)খুব ঠান্ডা আবহাওয়াতে পা মোজা পরে থাকুন যাতে ঠান্ডা বাতাস পায়ে লেগে পা পেটে না যায়।
৪)গামলায় লেবু মিশ্রিত হালকা গরম পানিতে পা ভিজিয়ে রেখে পায়ের মৃত কোষগুলো ঘষে ফেলে দিন।লেবুর রসে যে অ্যাসিটিক এসিড থাকে তা মৃত কোষ ঝরতে সাহায্য করে। তারপর পা মুছে পেট্রোলিয়াম জেলি বা গ্লিসারিন লাগিয়ে নিন।
৫)শীতকালীন শাকসবজি বেশি বেশি করে খাবেন।এতে পা পাটা রোধ করে।
৬)শীতকালে অনেকে পানি পান করা কমিয়ে দেয়। সেক্ষেত্রে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করা উচিত।
৭)সমস্যা বেশি দেখা দিলে বা সংক্রমন হয়েছে মনে হলে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে ঔষুধ সেবন করুন।
আজকের আর লিখছি না।আমি যতটুকু জানি আপনাদের কে জানালাম। ভুল হলে ক্ষমা করবেন আর ভালো লাগলে লাইক, কমেন্ট ও শেয়ার করতে ভুলবেন না। এতক্ষণ আমার সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ।
আল্লাহ হাফেজ।