কায়াবে আহবার বর্ণনা করেছেন পাখি সর্বোচ্চ বার মাইল উচ্চতায় উঠতে পারে।
এর উপরে ওরা অসম্ভব আকাশ মাটির মধ্যে বিদ্যমান বাতাসকে উন্মুক্ত স্থান বলে এর উপরে রয়েছে,
সুকাট বায়ুশূন্য খোলা পরিমণ্ড
🌹স্বপ্নে পাখি দেখার ব্যাখ্যা🌹
স্বপ্নে পাখি দেখার অর্থ জীবিকা,
যেমন কবি বলেছেন
যার বাংলা অর্থ হচ্ছে —জীবিকা তো সৃষ্টিকুলের প্রিয়, পাখি কাজের জন্য বিস্মৃত সর্ব শাস্ত্রে জাল।
এছাড়া পাখি দেখার আরেকটি ব্যাখ্যা নেতৃত্ব এবং সাম্রাজ্য।
কালো পাখি মন্দ আর সাদা পাখি পূর্ণ কর্মের দলিল।
পাখি কোন স্থানে নামতে দেখা কিংবা উড়তে দেখার দারা ফেরেশতাগণ উদ্দেশ্য।
আর মানুষের সুপরিচিত পাখিদের দ্বারা স্ত্রী-সন্তান উদ্দেশ্য হয়।
পক্ষান্তরে প্রিয় পাখি দেখার দ্বারা অপরিচিত মানুষের সংস্পর্শ বোঝায়।
বাজপাখি সপ্নেদেখা অনিষ্ট অভাব-অনটন এবং সামর্থের আলামত।
প্রশিক্ষিত শিকারি পাখি স্বপ্নে দেখা ইজ্জত সম্মান রাজত্ব উপকারিতা ও জীবিকার দলিল,
সহজলভ্য উপকারিতা।
আর গানের পাখি দ্বারা পূর্ণ বুঝায়,
পুরুষ আর নারী উদ্দেশ্য হয়।
অপরিচিত পাখির দ্বারা অচেনা অপরিচিত লোকের দিকে ইঙ্গিত।
আর যেসব পাখিতে ভালো-মন্দ উভয় আছে তার স্বপ্নে দেখলে বুঝবে কষ্টের পরে সুখ এবং অভাবের পর স্বচ্ছলতা লাভ হবে।
নৈশপাখি স্বপ্নে দেখা শক্তি-সাহস গোপনীয়তা এবং কঠিন আকাঙ্ক্ষা ময় আলামত।
মূল্যহীন পাখিকে স্বপ্নে মূল্যবান ও এর দ্বারা শুধু দৃশ্য,
কখনো অবৈধ মালের ব্যবহার বুঝায়।
যেসব পাখি কোন বিশেষ সময়ে দেখা যায় সেসব পাখি স্বপ্নে অন্য সময় দেখা গেলে,
এর দ্বারা বস্তুর স্থানে ব্যবহার করা নানা আজব সংবাদ প্রাপ্তি কিংবা অনর্থক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হওয়ার ইঙ্গিত।
বলাবাহুল্য উল্লেখিত পাখিগুলো সম্পর্কেই নিয়ম-নীতি আমরা বর্ণনা করেছি সুতরাং আপনি চিন্তা ও গবেষণা করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করুন।
স্বপ্ন ব্যাখ্যা দাতাগণ বলেন সকল পাখির ডাকে উত্তম ও পূর্ণময়,
সুতরাং যে ব্যক্তি স্বপ্নে পাখিদেরকে ডাকতে দেখে সে উচ্চমর্যাদার ঘোষিত হবে কারণ।
আল্লাহ তাআলা ঘোষণা করেছেন,
যার বাংলা অর্থ হলো এই,
হে লোকসকল আমাদেরকে পাখির ভাষা বোঝার শিক্ষা দেওয়া হয়েছে,
এবং রাজত্বের উপকরণ এর ক্ষেত্রে সর্ব প্রকার জরুরি জিনিসপত্র আমাদের দেওয়া হয়েছে,
বস্তুতঃ আল্লাহ তা’আলার স্পষ্ট অনুগ্রহ।
সামুদ্রিক পাখি মোরগের ডাকে স্বপ্ন ব্যাখ্যা দাতাগণ পছন্দ করেছেন,
সুতরাং তারা বলেন এর দ্বারা কষ্ট দুশ্চিন্তা এবং মৃত্যু সংবাদের দিকে ইশারা বোঝায়।
উট পাখির ডাক চাকরির হাতে নিহত হওয়ার ইঙ্গিত,
উট পাখির আওয়াজ কে স্বপ্নে খারাপ মনে করা তার চাকুরীর বিজয়ী হওয়ার দলিল।
কবুতরের বাকবাকুম ঢাকাকে কুরআনুল কারীম পড়নে ওয়ালি নারী বুঝায়।
অর্থাৎ আবাবিলের মত একটি পাখি এর দ্বারা ওয়াজ কারীর উপদেশ নসিহত।
(আল্লাহ তাআলা সবচেয়ে বেশি জানেন)
আমরা এখানে আরও একটি বিষয় জানবো,
তা হচ্ছে মূলত একটি মাসআলা।
যে ব্যক্তি কারো পিঞ্জিরা খুলে তার পাখিটি বাইরে নিয়ে আসে আর সেই পাখিটি উড়ে যায়,
তবে এই ব্যক্তি উড়ন্ত পাখির দাম দিতে বাধ্য হবে।
কেননা সেই পিঞ্জিরা খুলে পাখিটিকে উড়ে যাওয়ার সুযোগ করে দিয়েছে।
পক্ষান্তরে যদি কেউ পিঞ্জিরা খুলল ঠিক কিন্তু পাখিটি উড়ে দেওয়ার কোনো চেষ্টা করল না,
তবে এক্ষেত্রে তিনটি অভিমত রহিয়াছে।
নাম্বার এক ]
তাকে মূল্য দিতে হবে। নাম্বার দুই ]মূল্য দিতে হবে না।
নাম্বার তিন ] সঠিক মতে পাখি পিঞ্জিরা খোলা মাত্রই তৎক্ষণাৎ উড়ে চলে যায়, তবে মূল্য দিতে হবে।
কিন্তু যদি পিঞ্জিরা খোলার পর পাখিটি দাড়িয়ে থেকে তারপর উড়ে চলে যায়,
তাহলে মূল্য দিতে হবে না।
কেননা সঙ্গে সঙ্গে উড়ে চলে যাওয়ার প্রমাণ করে,
পিঞ্জিরা খোলার কারন এই পাখিটি উড়ে গিয়েছে।
আর কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থেকে পরে যাওয়ার প্রতীয়মান হয়-
পাখিটি নিজের ইচ্ছায় উড়ে গিয়েছে।
এছাড়া যদি পিঞ্জিরা থেকে বের করার সময় সে কোন জিনিস নষ্ট করে ফেলে,
পিঞ্জিরা টি ভেঙ্গে যায় অথবা সেখানে পূর্ব থেকেই বিড়াল দাঁড়ানো ছিল আর সে পিঞ্জিরা খুলতেই বিড়ালটি হামলা করে, পাখিটিকে মেরে ফেলল এ সকল ক্ষেত্রে পিঞ্জিরা টি যে খুলেছে তাকে ক্ষতিপূরণ আদায় করতে হবে।
(আল্লাহ সর্বজ্ঞ)