উদ্যোক্তা বলতে নিজস্ব মেধা ও বুদ্ধি খাটিয়ে নিজের জন্যসহ অন্যজনের কর্মক্ষেত্র তৈরি করাকে বুঝায়। কর্মসংস্থানের অপর্যাপ্ততার কারনে আজকাল অনেকেই উদ্যোক্তা হতে চায়। আর তখনি শুরু হয় পুঁজি বিড়ম্বনা। আমার আজকের পোস্টটি তাদের জন্য যারা পুঁজি ছাড়া শুধুমাত্র মেধা ও শ্রম দিয়ে উদ্যোক্তা হতে চান।
আসুন এবার জেনে নিই পুঁজি ছাড়া উদ্যোক্তা হওয়ার উপায়সমূহঃ
১। নতুন নতুন পণ্যের ধারণা সৃষ্টি।
২। উৎপাদকের সাথে সু-সম্পর্ক বজায় রাখা।
৩। অংশীদারত্ব ব্যবসা।
৪। ব্যাংক লোন নেয়া।
১। নতুন নতুন পন্যের ধারনা সৃষ্টিঃ
নতুন নতুন পণ্যের ধারণা তৈরি করা একজন উদ্যোক্তার সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ। একজন উদ্যোক্তার মূলধন গোছানোর আগে নতুন পণ্যের ধারণা প্রয়োজন। নতুন নতুন পণ্যের ধারণা আপনার সৃজনশীলতার উপর নির্ভর করে। যে বিষয়ে আপনার ভালো দক্ষতা আছে সে বিষয়টি নিয়ে ভাবুন নতুনত্ব কিছু বের হবেই।
২। উৎপাদকের সাথে সু-সম্পর্ক বজায় রাখাঃ
কোন পণ্য নিয়ে আপনি উদ্যোক্তা হতে চান সে পণ্যের চাহিদা সম্পর্কে যথাযথ জ্ঞান লাভ করুন। এ পণ্যের প্রতি মানুষের চাহিদা, পছন্দ ও অপছন্দের বিষয়গুলো জানুন। বর্তমান চাহিদা ও ভবিষ্যত চাহিদা সম্পর্কেও অবগত হোন। কোন সময়টিতে এই পণ্যের বাজার ভালো যাবে তাও জানুন। এরপর যদি আপনার মনে হয় আপনার পণ্যের ধারনাটি সঠিক তাহলে সেই পণ্যের উৎপাদকের সাথে কথা বলুন। তাদের কাছ থেকে বাকীতে পন্য নিয়ে বিক্রয় করা শুরু করুন। পন্য ক্রয়ে মানুষের আগ্রহ বাড়ান। পন্য বিক্রি করে টাকা পরিশোধ করে দিন।
৩। অংশীদারীত্ব ব্যবসাঃ
আপনার নতুন নতুন আইডিয়া আছে, আপনি চমৎকার উপস্থাপন করতে পারেন, আপনি পরিশ্রমী এবং উদ্যমী এ সকল গুনই আপনার আছে কিন্তু অর্থ নেই। আবার অন্য জনের অর্থ আছে কিন্তু বাকী গুনগলো নেই। ধারনা ও প্রমোশন আপনার, অর্থ আরেকজনের। এভাবে অংশীদারত্বের মাধ্যমেও আপনি উদ্যোক্তা হতে পারেন।
৪। ব্যাংক লোন নেয়াঃ
আপনার ইচ্ছা, মনোবল, চমৎকার ধারণা, সৎ সাহস থাকলেও যদি উদ্যোক্তা হওয়ার পর্যাপ্ত অর্থ না থাকে তবে ব্যাংক আছে আপনার পাশে। ব্যাংক ছাড়াও অনেক এনজিও সংস্থা, সরকারী ব্যাংকগুলো সুদ ছাড়া অথবা স্বল্প সুদে উদ্যোক্তাদের লোন দিয়ে থাকে। লোন পেতে আপনাকে আপনার ব্যবসায়ের ধারনাসহ বিস্তারিত তথ্য ব্যাংক ম্যানেজার বরাবর পেশ করতে হবে। আপনি সফল হলে পরে আরও বেশি লোন নিয়ে নতুন ব্যবসাও করতে পারবেন।
নিজের উপর ভরসা রাখুন। নিজের ধারনার ওপর জোর দিয়ে নিজের ভাগ্যকে বদলে ফেলুন।