আসসালামু আলাইকুম। কেমন আছেন সবাই? আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই ভাল আছেন। আজকে আমি আপনাদের সামনে বলতে যাচ্ছি প্রতিদিন কত গ্লাস পানি খাওয়া উচিত । তো আর দেরি না করে চলুন শুরু করা যাক।
মানুষের শরীরের প্রায় তিন ভাগের দুই ভাগই পানি। আমাদের অবশ্যই বিশুদ্ধ পানি পান করতে হবে। পানি কম খাওয়ার কারনে কিডনি ও শরীরের আবর্জনা পরিষ্কার হয় না। পানি ছাড়া একজন মানুষের জীবন অচল। পানির অপর নাম জীবন। পানিশূন্যতার কারনে বিভিন্ন ধরনের রোগ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই আমাদের প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণ বিশুদ্ধ পানি পান করতে হবে।
প্রতিদিন কত গ্লাস পানি খাওয়া উচিত
পানিকে অনেক ডাক্তার ওষুধের সঙ্গে তুলনা করেছেন। কারণ পানি শরীরে জমে থাকা টক্সিক, প্রসাব ও ঘামের মাধ্যমে শরীরের বাইরে বের করে দিয়ে সুস্থ থাকতে সাহায্য করে।
বিভিন্ন গবেষণায় জানা গিয়েছে যে খাবারের ২০ থেকে ৩০ মিনিট পূর্বে দুই গ্লাস পানি পান করা উচিত। এতে করে খাবারের চাহিদা কমায় এবং ওজন কমাতে সাহায্য করে।
একজন প্রাপ্তবয়স্ক নারী ও পুরুষ কতটুকু পানি পান করবে সেটা মূলত আবহাওয়া ও শারীরিক পরিশ্রমের উপর নির্ভর করে । আমরা সাধারণত শীতকালের চেয়ে গরমের সময়ে বেশি পানি বেশি পান করে থাকি। এর কারণ হচ্ছে আবহাওয়া। এই আবহাওয়ার কারণেই আমরা গরমের সময় বেশি তৃষ্ণার্ত হয়ে যাই আর গরমের সময় পানি বেশি পান করি।
পানি পান করা যতটা না জরুরি তার চেয়ে বেশি জরুরি পরিমাণমতো পানি পান করা। পানি উপকারী বলে অতিরিক্ত পানি পান করাটাও ক্ষতির কারণ হতে পারে। মানুষের বয়স অনুযায়ী তার শরীরের পানির প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।
যেমন :
০১ থেকে ০৩ বছর বয়সী বাচ্চাদের জন্য দৈনিক ১.৩ লিটার পানি পান করা উচিত।
০৪ থেকে ০৮ বছর বয়সী বাচ্চাদের জন্য দৈনিক ১.৭ লিটার পানি পান করা উচিত।
০৯ থেকে ১৩ বছর বয়সের একজন মানুষের জন্য দৈনিক ২.২ লিটার পানি পান করা উচিত।
১৪ থেকে ১৮ বছর বয়সের একজন মানুষের জন্য দৈনিক ২.৫ লিটার পানি পান করা উচিত।
১৮ থেকে ৬০+ বছর বয়সের একজন মানুষের জন্য দৈনিক ০৩ লিটার পানি পান করা উচিত।
অপর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করলে যে সমস্যা হতে পারে:
অপর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করলে শরীরে বিভিন্ন ধরনের সমস্যার লক্ষণ দেখা দিতে পারে। পানিশূন্যতার কারণে শরীর স্বাভাবিক কার্যক্ষমতা হারিয়ে ফেলে। ফলে স্বাভাবিক কাজকর্ম করা একজন ব্যক্তির জন্য কঠিন হয়ে পড়ে। তাড়াতাড়ি ক্লান্ত হয়ে পড়া, মুখের ভেতর শুকনো ভাব ,মাথা ব্যথা এবং মাথা ঘোরা, পেশির দুর্বলতা ইত্যাদি ধরণের সমস্যায় পড়তে পারেন।
পানি পর্যাপ্ত পরিমাণ পান না করার কারণে রক্তচাপ কমে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। রক্তচাপ কমে আসলে কিডনি অকেজো হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই আমাদের উচিত বয়স অনুযায়ী পরিমাণ মতো বিশুদ্ধ পানি পান করা।
গবেষণায় দেখা গেছে নারীরা পুরুষদের তুলনায় পানি পান কম করে। এজন্য প্রত্যেক নারীর উচিত পরিমানমতো বিশুদ্ধ পানি পান করা।
তো আজকের জন্য এতটুকুই (প্রতিদিন কত গ্লাস পানি খাওয়া উচিত)। পোস্টটি কেমন লাগলো দয়া করে কমেন্টে জানাবেন, যদি ভাল লেগে থাকে তাহলে অবশ্যয় শেয়ার করবেন, পোস্টটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ। এমন সব দারুন দারুন পোস্ট পেতে Grathor এর সাথেই থাকুন এবং গ্রাথোর ফেসবুক পেইজ ও ফেসবুক গ্রুপ এ যুক্ত থাকুন, আল্লাহ হাফেজ।