বিশেষ কোনো ওষুধ অতিরিক্ত সেবন করাকে মাদকাসক্তি ঐ বলে। মাদকাসক্তি একটি মারাত্মক সমস্যা

বিশেষ কোনো ওষুধ অতিরিক্ত সেবন করাকে মাদকাসক্তি বলে। মাদকাসক্তি একটি মারাত্মক সমস্যা।মানুষ বিভিন্ন কারণে মাদকাসক্ত হয়ে যায়।হতাশ হয়ে এদের মধ্যে অন্যতম। আবার বেকারত্ব সমস্যা,রাজনৈতিক অস্থিরতা, পারিবারিক দ্বন্দ্ব,সাম সামাজিক অবক্ষয়,স্নেহ ও মমতার অভাব হতাশার দিকে ঠেলে দেয়।মাদক মাদকাসক্তি আমাদেরকে নৈতিক ভাবে,শারীরিক ভাবে ও অর্থনৈতিক ভাবে ধ্বংস করে।এটি মানুষকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয়।এটি ক্যান্সার হৃদরোগ ও অন্যান্য শ্বাস প্রশ্বাস জনিত রোগের সৃষ্টি করে।এটা মানবদেহের স্নায়ুতন্ত্র ধ্বংস করে দেয়।এ কারনে একজন মাদক সেবক স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে পারে না।সে তার ক্ষুধা হারায়,হারায় স্বাভাবিক মনুষ্যত্ব,ফলে বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ে, সৃষ্টি হয় বিশৃঙ্খলা।মাদকাসক্তির প্রভাবে দেশ হারাচ্ছে তার কর্মক্ষম যুব সমাজ, অকালেই ঝরে যাচ্ছে হাজারো প্রান।

দেশে মাদকাসক্তি বৃদ্ধি পাওয়ার প্রধান কারণ।যে দেশে মাদকদ্রব্য সহজ প্রাপ্য,সে দেশে মাদকাসক্তির ভয়াবহতা ব্যাপক।কোনো ধর্মেই মাদকদ্রব্য অনুমোদন করে না।

পৃথিবীর বহু দেশে মাদকদ্রব্য নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্যি যে পৃথিবীর বহু দেশে তা স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে।ফলে তা পুরো পৃথিবী ছড়িয়ে পড়ছে।মাদক মাদকাসক্তি সমস্যাটি আন্তর্জাতিক। বিভিন্ন চোরাকারবারি চক্র এর সাথে জড়িত। তাদের এই ঘৃর্নিত কাজের কারনে অনেক দেশে ছড়িয়ে পড়ছে, নষ্ট হাজারো মেধাবী তরুন তরুণীরা।এই সমস্যা মোকাবেলায় প্রত্যেক দেশকে সতর্ক হতে হবে,হতে হবে আরো কঠোর। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনকে হতে হবে আরো কঠোর।বেকার যুবসমাজকে আত্তকর্মসংস্থানের সুযোগ করে দিতে হবে।সমাজকে শিক্ষার আরোও আলোকিত করতে হবে।মাদক মাদকদ্রব্য এর কুফল সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করার জন্য যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। এক্ষেত্রে ইলেকট্রনিক মিডিয়া ও প্রিন্ট মিডিয়া গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে। যেহেতু এটা আন্তর্জাতিক সমস্যা, তাই এটা নিয়ন্ত্রণে আন্তর্জাতিকভাবে বিশেষ সংগঠন করা যেতে পারে। আবার যেহেতু ধর্ম এগুলোকে অনুমোদন করে না সেহেতু ধর্ম চর্চা বেশি বেশি করে বাড়াতে হবে এবং মানুষকে তাতে উদ্বুদ্ধ করতে হবে।রাষ্টের উচিত প্রতিটা মাদকদ্রব্য এর সম্রাটকে ধরে আইনের আওতায় আনার ব্যবস্থা করা এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি এর ব্যাবস্থা করা।যাতে কেউ আর সাহস না পায়।আবা আবার মানুষ সচেতন না হলে তাদেরকে ধরে লাভ নেই, কেননা তাদের মধ্যে থেকেই আবার মাদকসম্রাট বের হয়ে আসতে পারে।তাই সাধারণ মানুষকে সম্পৃক্ত করে তাদের বিরুদ্ধে যাাা্থ চালিয়ে যেতে হবে।

  1. সর্বশেষ যে কথাটি বলা যায় তা হলো মাদকের ক্ষতি সম্পর্কে সবাইকে সচেতন করতে হবে।এ ব্যাপারে গনমাধ্যম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। ধর্মীয় বিধি বিধান সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। এটার বিরুদ্ধে সবাইকে সোচ্চার হতে হবে। নয়তো এটা আমাদের জন্য কাল হয়ে দাঁড়াবে।তাই আসুন আমরা সকলে সচেতন হই,আমা আমাদের সুন্দর সমাজ টাকে বাঁচাতে।

Related Posts

9 Comments

মন্তব্য করুন