‘সড়ক পরিবহন আইন -২০১৮ ‘ এর চূড়ান্ত অনুমোদন এর জন্য আজ মন্ত্রীসভার বৈঠকে উঠছে। আসুন এক নজরে দেখে নিই এই আইনের উল্লেখযোগ্য বিষয় সমূহ-
১. প্রস্তাবিত আইন অনুযায়ী ড্রাইভিং লাইসেন্সে পেতে হলে অষ্টম শ্রেনি পাশ করতে হবে। আগে শিক্ষাগত যোগ্যতার কোন প্রয়োজন ছিল না।
২. চালকের সহকারীকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকতে হবে।
৩. গাড়ি চালানোর জন্য বয়স অন্তত ১৮ বছর হতে হবে। অবশ্য একই বিধান আগেও ছিল।
৪. গাড়ি চালানোর সময় মোবাইল ফোনে কথা বললে এক মাসের কারাদণ্ড এবং ২৫ হাজার টাকা জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে ।
৪. ড্রাইভিং লাইসেন্স এ ১১টি বিশেষ পয়েন্ট যুক্ত করা হয়েছে । একজন চালক প্রতিবার আইন অমান্য করলে তার পয়েন্ট বিয়োগ হবে এবং এক পর্যায়ে লাইসেন্স বাতিল হবে। ( উদাহরণ স্বরূপঃ- গতিসীমা নিয়ন্ত্রণ না করলে ১ পয়েন্ট কাটা যাবে)
৫. ড্রাইভিং লাইসেন্স ছাড়া গাড়ি চালালে ছয় মাসের কারাদণ্ড এবং পঞ্চাশ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানার বিধান রয়েছে।
৬. গাড়ি চালিয়ে উদ্দেশ্য প্রনোদিতভাবে হত্যা করলে ৩০২ ধারা অনুযায়ী মৃত্যুদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে ।
৭. উদ্দেশ্য প্রনোদিতভাবে গাড়ি চালিয়ে আহত করলে ৩০৪ ধারা অনুযায়ী যাবজ্জীবন কারাদণ্ড।
৮. বেপরোয়াভাবে গাড়ি চালানোর কারণে কিংবা প্রতিযোগিতা করে গাড়ি চালানোর কারণে মৃত্যু ঘটালে তিন বছর কারাদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে।
৯. সড়কে পাল্লা দিয়ে গাড়ি চালানোর ফলে দূর্ঘটনা ঘটলে তিন বছরের কারাদণ্ড অথবা ২৫ লাখ টাকা জরিমানারও বিধান রাখা হয়েছে।
১০. আইনে লাইসেন্স ছাড়া গাড়ি চালালে ৬ মাসের কারাদণ্ড বা ৫০ হাজার টাকার জরিমানা হতে পারে এবং এক্ষেত্রে পরোয়ানা ছাড়াই চালককে গ্রেপ্তারও করা যাবে।
১১. লাইসেন্স-বিহীন গাড়ি চালানোসহ নানা অপরাধে এই আইনে শাস্তির বিধান থাকলেও, দুর্ঘটনার কারণে মৃত্যু বা ফৌজদারি অপরাধের অভিযোগ থাকলে তার বিচার ফৌজদারি আইনেই হবে।
১২.সাধারণ নির্দেশনাবলী নামে ২৫ টি নির্দেশনা যুক্ত করা হয়েছে যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য – নেশাজাতীয় দ্রব্য পান করে, ফুটপথ দিয়ে, মোবাইলে কথা বলতে বলতে, উল্টো পথে এবং চালকের সহকারী দ্বারা গাড়ি চালানো নিষিদ্ধ। এছাড়াও নারী,শিশু,প্রতিবন্ধীদের ও বয়োজেষ্ঠ্যদের জন্য সিট বরাদ্দ ইত্যাদি।