প্রাথমিক শিক্ষায় জোড় দিতে হবে
প্রাথমিক শিক্ষার উপরই গড়ে উঠে আগামী দিনের সম্ভাবনা। যার প্রাথমিক শিক্ষা যেমন, সে ঠিক তেমনই হয়ে উঠে। প্রাথমিক ভিত্তিই যদি নড়বড়ে হয়ে উঠে তাহলে, তাহলে ভালো কিছু আশা করা যায় কি ভাবে! ভালো কিছুর আশা করতে হলে আমাদের সবার প্রথমে নজর দিতে প্রাথমিক শিক্ষার প্রতি।
আমরা অনেক সময় এই শিক্ষাটার প্রতি অবহেলা প্রদর্শন করি। যার ফলে এর নেতিবাচক প্রভাব পরে, আমাদের প্রজন্মের উপর। প্রাথমিক ভাবে খুব বেশি একটা চিন্তা আমরা করিনা, ভাবতে থাকি এইটা আর এমন কি! এমনিতেই হয়ে যাবে, এখানেই সবচেয়ে বড় ভুল আমাদের। অভিভাবক সহ সমাজের অনেক শ্রেণীর এমন ভাবনা, পিছিয়ে দেয় প্রাথমিক শিক্ষাকে। সবাই সে ভাবে নজর দেয়না এই শিক্ষার প্রতি। শহরাঞ্চলে সচেতন অভিভাবক আর শিক্ষক ছাড়া, আমরা তেমন একটা গুরুত্ব দিতে দেখতে পাই না।প্রান্তিক পর্যায় কিংবা অধিকাংশ গ্রামের মানুষ এখন পর্যন্ত মূল্যায়র করতে শেখেনি এই শিক্ষাকে।
কোনো গাছ কে বড় করতে হলে, চারা অবস্থায়ই তাকে যত্ন নিতে হবে, না হয় সে বেঁচে থাকলেও খুব নড়বড়ে ভাবে বেড়ে উঠবে। এই চারাকে যদি যত্ন করে,গুরুত্বদিয়ে বাড়ন্ত করে তোলা যায় তাহলে এই গাছটাই একদিন ভালো ফলন দেবে।ঠিক তেমনি প্রাথমিক পর্যায়ের শিক্ষাটাও এমন। যদি ভালো ভাবে দেয়া যায়, তাহলে সে সমাজের জন্য ভালো কিছু বয়ে আনতে পারবে। না হয় নড়বড়ে গাছের মতই বড় হলেও তেমন কাজে আসবেনা।
প্রাথমিক পর্যায় থেকেই নৈতিক শিক্ষা এবং উপকারী অপকারী দিক তুলে ধরতে হবে। শুধু পাঠ্য বই নয়, এর বাহিরেও অনেক কিছু শিখানোর মত আছে প্রাথমিক ভাবে। আমরা শুধু পাঠ্য বইয়ের ছড়া কবিতা ছাড়া অন্য কিছুর উপর তেমন একটা জোড় দেইনা। আমাদের সব দিক থেকে খেয়াল রাখতে হবে।
একটি শিশু ও যাতে বাদ না পড়ে, একটি শিশু ও যাতে ঝড়ে না যায় প্রাথমিক শিক্ষার অবহেলায়। আমাদের সচেতন মহলকে এ ব্যাপারে আরো গুরুত্ব দিতে হবে।
প্রাথমিক ভিত্তির উপর জোড় দেয়ার উপরই নির্ভর করছে, আগামীতে কত বড় হয়ে উঠবে সে, শিশুকে স্বপ্ন দেখাতে হবে, শিশুকে বুঝাতে হবে জীবন সম্পর্কে, যাপন সম্পর্কে। যারা এর আওতাধীন তারাই যোগ্য হয়ে উঠবে আগামীর, যারা প্রাথমিক শিক্ষার কে অবমূল্যায়ন করে তারাই শেষ পর্যন্ত হেরে যায়,হেরে যেতে হয় শক্ত ভিত্তির কাছে। তাই আমাদের সবার অবস্থান থেকে সবাইকে প্রাথমিক শিক্ষার ব্যাপারে সচেতন করে তুলতে হবে।