ফ্রীল্যান্স শব্দটি (freelance) free এবং lance দুটি শব্দের সমন্বয় তৈরী।সহজভাবে বললে ফ্রিল্যান্সার হচ্ছে মুক্ত বা স্বাধীনচেতা একজন-যিনি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের হয়ে নিজ দক্ষতা অনুযায়ী বিভিন্ন ধরনের কাজ করে থাকেন।ছাএজীবনে ফ্রিল্যান্সার হওয়ার একটি উপযোগী সময়।কারন পড়ালেখার পাশাপাশি আপনি নিজের ক্যারিয়ার গড়তে পারছেন। পড়ালেখা শেষ করে আপনাকে আর সবার মত জব খুজতে হচ্ছে না। তো, শুরু করা যাক কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করবেন। ১/প্রথমে একটি কম্পিউটার বা ল্যাপটপ লাগবে আর সাথে ভালো ইন্টারনেট সংযোগ লাগবে। ২/কোন কিছু শিখতে হলে প্রথমে সে বিষয়ের ব্যাসিক বা প্রাথমিক ধারনা নিতে হয়।তো আপনি ব্যাসিক কম্পিউটার ও ব্যাসিক ইন্টারনেট সম্পর্কে ধারনা নিবেন এবং শিখবেন। ৩/এখন কি করবেন? এখন আপনি গুগল, ইউটিউব ঘাটাঘাটি করে জানুন,দেখুন,বুঝুন আপনার কোন কাজটি ভালো লাগে,কোন বিষয়টি আপনি খুব ভালো বুঝেন সে বিষয় নিয়ে আপনি কাজ করুন।যেমন সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেসন( এসই ও), গ্রাফিক্স ডিজাইন,ওয়েভ ডেভেলপমেন্ট প্রভৃতি। ৪/কোথা থেকে শিখবেন,খুব সহজ আপাতত কোথাও যেতে হবে না। গুগল আর ইউটিউব থেকে খুব সহজেই শিখতে পারবেন। তারপরও যদি মনে কোন প্রশ্ন থাকে,তাহলে আপনার পরিচিত বা আশেপাশে যারা ফ্রিল্যান্সিং করে যারা অভিজ্ঞ, তাদের জিজ্ঞেস করুন।ফেইসবুকে বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সিং গ্রুপ আছে যেমন,সফল ফ্রিল্যান্সার, ডিজিটাল মার্কেটার্স ইন বাংলাদেশ, আপওয়ার্ক বাংলাদেশ বা আরও বিভিন্ন প্লাটফর্মে যুক্ত হতে পারেন। ৫/ পাশাপাশি আপনি ভালো একজন মেন্টর খুজে বের করতে পারেন। ৬/কাজ শেখার পর লোকাল কিছু কাজ করে আপনি পোর্টফোলিও তৈরী করুন। ৭/বিশেষ করে ইংরেজিতে ভালো লিখতে পারতে হবে।ক্লায়েন্টের সাথে যোগাযোগের দক্ষতা অর্জন করতে হবে। ৮/ এরপর ভালো মার্কেটপ্লেসে নিজের প্রোফাইল তৈরী করুন,যেমন ফাইভার, পিপল পার আওয়ার ইত্যাদি। ৯/আপনার যদি ফ্রিল্যান্সার হওয়ার আসলেই ইচ্ছা থাকে,তাহলে পড়ালেখার পাশাপাশি আপনি নিজেকে যেকোন একটি সেক্টর এ দক্ষ করে তুলতে পারেন। ১০/ ফ্রিল্যান্সিং এ সবচেয়ে গুরুত্বপুর্ন বিষয়টি হচ্ছে ধৈর্য। আপনার ধৈর্য আছে তো ইনশাঅাল্লাহ আপনি সফল,আপনি পারবেন। মনে রাখবেন যত বেশি অভিজ্ঞতা আর ধৈর্য, কাজ পাবার সম্ভাবনা ততো বেশি। নিজেকে প্রস্তুত করুন একজন সফল ফ্রিল্যান্সার হিসেবে , আপনি পারবেন আপনি যদি বিশ্বাসী হন।