fiverr কি? কিভাবে ফাইভার থেকে ইনকাম করবেন ২০২১?
হ্যালো বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই অনেক ভালো আছেন। তো প্রতিবারের মতো এবার ও আরেকটি পোষ্ট নিয়ে হাজির হলাম। তো আজকে আপনাদের দেখাব কিভাবে ফাইভার থেকে ইনকাম করার নিয়ম 2021। তো চলুন শুরু করি।
আজকে ফাইভার এর সকল খুটিনাটি বিষয় এই পোষ্ট এ পেয়ে যাবেন। তাই সম্পুর্ণ পোষ্ট টি খুব মনোযোগ দিয়ে পড়তে থাকুন। তাহলে আমি আশা করতে পারি আজকে আপনি ফাইভার সম্পর্কে (About Fiverr) অনেক কিছু জানতে পারবেন। আর আপনি ফাইভারে কাজ করে নিজের ক্যারিয়ার গঠন করতে পারবেন। তো আর কথা না বাড়িয়ে চলুন আমাদের মেইন আলোচনা শুরু করি।
Fiverr Skill কি?
মনে করুন আপনি প্রফেশনাল ভাবে ওয়েবসাইট অথবা ব্লগ বানাতে পারেন। এই যে আপনি ওয়েবসাইট অথবা ব্লগটি বানালেন। এই কাজ টাকেই সাধারণত Skill বলা হয়। ধরুন আপনি Professional ভাবে Logo বানাতে পারেন। তাহলে এইটাও আপনার skill. আবার আপনি Digital Marketing করতে পারেন। তাহলে এই কাজটাও আপনার skill. অর্থাৎ আপনি যদি কোনো কাজ পারেন। তাহলে ওই কাজগুলো আপনার Skill. তো এতক্ষণে হয়ত আপনি বুঝতে পেরেই গেছেন যে Skill কি!
অর্থাৎ আপনি যদি (Fiverr) ফাইভারে কাজ করে নিজের ক্যারিয়ার গঠন করতে চান। তাহলে অবশ্যই আপনার একটা হলেও Skill থাকতে হবে। কারণ কাজ অর্থাৎ Skill ছাড়া আপনি কিভাবে ইনকাম করবেন? যদি আপনার একটি skill থাকে তাহলে “Fiverr” আপনার জন্য। আর যদি আপনার skill না থাকে তাহলে বলবো আপনাকে “bye bye”.
Fiverr কি? (What Is Fiverr In Bangla?)
ফাইভার হচ্ছে একটা ” trusted online marketplace” যেখানে আপনি আপনার skill দিয়ে কাজ করতে পারবেন। এখানে বিভিন্ন কাজ অথবা “service” কেনা।বেচা হয়ে। আর এখানে সাধারণত বিভিন্ন দেশী ও বিদেশী মানুষ তাদের প্রয়োজনীয় কাজগুলো “freelancer” দিয়ে করে নেয়। যারা কাজ করে দেয় তাদের কে সাধারণত “freelancer” বলা হয়।
আর যারা “freelancer” দের দিয়ে কাজ করিয়ে নেয় তাদেরকে “client ” বলা হয়। অর্থাৎ আপনার যদি skill থাকে। আর আপনি ওই কাজটা ভালো ভাবে করতে পারেন। তাহলে আপনিও একজন “freelancer” হয়ে ফাইভারে কাজ করতে পারবেন। এখানে প্রায় হাজার রকমের কাজ রয়েছে। আপনি এখান থেকে একটা কাজ বেছে নিয়ে। আর সেই কাজটা Fiverr এ করে আপনি আপনার ক্যারিয়ার গঠন করতে পারবেন। ফাইভারের মতো আরও “online marketplace” রয়েছে।
যেমন :
www.freelancer.com
www.upwork.com
www.guru.com
আরও অনেক “Platform” রয়েছে। কিন্তু এই চার টা “marketplace” সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়। আপনি এই “platforms” গুলো থেকে যেকোনো একটি বেছে নিতে পারেন। তবে আমি বলব আপনি যদি “Beginner” হয়ে থাকেন তাহলে আপনার জন্য “Fiverr” Best. প্রথমে আপনি কয়েক বছর ফাইভারে কাজ করে কিছু “Knowledge” নিয়ে পরে আপনি freelancer.com, upwork.com অথবা guru.com এ কাজ করা শুরু করতে পারবেন।
তো কিছুটা হলেও আপনি বুঝে গেছেন যে Fiverr কি? (What Is Fiverr In Bangla?) ও কোন “marketplace” এ কাজ করা উচিত।
Fiverr কিভাবে কাজ করব?
আমি আগে ও বলেছি যে আপনি যদি ফাইভারে কাজ করতে চান। তাহলে অবশ্যাই আপনার skill লাগবে। ধরেন আপনি লোগো ডিজাইন অথবা লোগো বানাতে পারেন। তাহলে আপনি ফাইভার থেকে ইনকাম করতে পারবেন। ফাইভারে কাজ করতে হলে আপনার ‘skill’ অনুযায়ী একটি GIG বানাতে হয়। গিগ বানাতে যা যা দরকার পরে।
যেমন :-
Title
Tag
Service Price
Describetion
Requirement
Image
Video
এইসব কিছু দিয়ে আপনি একটা “complete gig” বানাতে পারবেন। আর এই গিগ যদি কোনো ক্লায়েন্ট এর চোখে পরে। তারপর ওই ক্লায়েন্ট এর যদি আপনার গিগটি ভালো লাগে। তাহলে আপনি তার কাছ থেকে একটি অর্ডার পেতে পারেন।
Title : আপনার গিগের জন্য একটি টাইটেল দিতে হবে। আপনি যেই কাজটি করে দিতে চান। ওই কাজটির জন্য গিগে একটি টাইটেল দিতে হবে। ধরেন আপনার কাজটি হলো লোগো ডিজাইন অথবা লোগো বানানো। তাহলে আপনি আপনার এই কাজ অনুযায়ী একটি টাইটেল দিবেন। মনে রাখবেন আপনার টাইটেল যদি বেশি আকর্ষণীয় হবে। তত বেশি আপনার অর্ডার পাওয়ার চান্স থাকবে। তাই ১ থেকে ২ ঘন্টা সময় নিয়ে হলে ও আপনি ভেবে ও রিসার্চ করে আপনি আপনার গিগের জন্য একটি টাইটেল বাছাই করবেন।
Tag : টেগ হলো একটা গিগের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কারণ এই টেগ এর সাহায্যেই আপনার গিগটি ফাইভারে সার্চ করে খুজে পাওয়া যাবে। সাধারণত একটি গিগের জন্য আপনি সর্বোচ্চ ৫ টি টেগ দিতে পারবেন। আর এই ৫টি টেগ আপনাকে খুব যত্ন সহকারে রিসার্চ করে দিতে হবে। আপনার টাইটেল এর সাথে মিল রেখে আপনার প্রতিটি টেগ দিতে হবে। তাহলেই আপনার গিগটি ফাইভারের সার্চ রেজাল্টে র্যাংক করবে।
Service Price : এটির মানে হচ্ছে যে আপনি আপনার এই কাজটির জন্য বায়ার এর থেকে কত টাকা নিবেন? এটা গিগ বানানোর সময় ৩য় সেকশনে উল্লেখ করে দিতে হয়। আর ওইখানে আপনি তিন রকমের পেকেজ বানাতে পারবেন। একটি হলো “Basic” অর্থাৎ বায়ার যদি এই পেকেজটি অর্ডার করে। তাহলে আপনি সিম্পল ভাবে কাজটি করে দিলে ও কোনো সমস্যা হবে না। ২য় পেকেজটি হলো “Standard” অর্থাৎ বায়ার যদি এই পেকেজটি অর্ডার করে তাহলে আপনাকে ভালো ভাবে কাজটি করে দিতে হবে। এবং ৩য় পেকেজটি হলো “Premium” বায়ার যদি এই পেকেজটি অর্ডার করে তাহলে আপনাকে অনেক অনেক ভালো ভাবে কাজটি করে দিতে হবে।
Description : এটা খুব প্রয়োজনীয় একটি জিনিস। কোনো বায়ার যদি আপনার গিগে আসে তাহলে সসর্বপ্রথম আপনার ‘Description’ টা দেখবে। তাই আপনি এমন ভাবে ‘Description’ টা লিখবেন। যেন একটা বায়ার দেখার সাথে সাথেই তার আপনার এই কাজটি পছন্দ হয়ে যায়। “Description” এ কিছু জিনিস দিতে হয়। যেমনঃ কাজটার সম্পর্কে, আপনার সম্পর্কে, কাজটা কত তাড়াতাড়ি করতে পারবেন ইত্যাদি।
Requirement : রিকয়ারমেন্ট হচ্ছে। যে আপনি যেই কাজটি করতে যাচ্ছেন। তার জন্য কি কি লাগতে পারে। যেমনঃ আপনি একটি লগো বানানোর কাজ পেয়েছেন। এর জন্য আপনাকে জানা লাগবে লোগো তে কি নাম দিতে। তাই তো? এর জন্য আপনাকে রিকয়ারমেন্টে আপনি বলে দিবেন লোগোর নাম দিতে। রিকয়ারমেন্টে বাধ্যতামূলক একটা রিকয়ারমেন্ট দিতে হবেই। এছাড়াও আপনি পড়ে বায়ারকে ম্যাসেজের মাধ্যেমে আর কিছু জানতে পারবেন। তবে একটা রিকয়ারমেন্ট দিতে হবেই।
Image : ইমেজটা হচ্ছে প্রথম প্রয়োজনীয় একটা জিনিস। “Image” ছাড়া আপনি একটা গিগ বানাতে পারবেন না। কোনো বায়ার যখন ফাইভারে সার্চ করবে। তখন যে ইমেজ টা দেখাবে ওই টা আপনার গিগে আপলোড করা ইমেজটা দেখতে পারবে। তাই অবশ্যই একটা ইমেজ দিতে হবে। আর এই ইমেজটা বাধ্যতামূলক। তো ইমেজ আপনাকে দিতেই হবে। আর ইমেজের সাইজ আপনি ফাইভারেই দেখতে পারবেন।
Video : যদিও ভিডিও টা বাধ্যতামূলক না। তবুও একটা ভিডিও দেওয়া ভালো। কারণ ভিডিওর মাধ্যমে আপনি বায়ার কে সব কিছু বুঝাতে পারবেন খুব সহজেই। এতে করে যদি বায়ারের পছন্দ হয় আপনার ভিডিও-র বুঝানো স্টাইল টা তাইলে খুব সহজেই আপনি একটি অর্ডার পেয়ে যাবেন। ইনসাল্লাহ।
আশাকরি আজকের এই ছোট্ট পোষ্টটা আপনাদের ভালো লেগেছে। তো বন্ধুরা আজকের এই পোষ্টি যদি আপনাদের ভালো লাগে তাহলে অবশ্যই বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবেন। তো ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন। নিজে কিছু করুন অন্যকেও কিছু করার সুযোগ করে দিন। আল্লাহ হাফেজ।