ফেসবুকে একজনের নিউজফিডে নানান ধরনের পোস্ট চোখে পড়তে পারে। এগুলোর মধ্যে ছবি, ভিডিও, সংবাদ প্রভৃতি। আপনার ফেসবুক ফেন্ডদের প্রদত্ত পোস্ট তো আপনি পাবেনই এর সাথে আপনার লাইক দেওয়া, বা সাজেস্ট করা বা কেউ শেয়ার করেছে এমন পেইজ বা গ্রুপের নানান ধরনের লেখা, ছবি, ভিডিও বা পণ্যের বিজ্ঞাপন আপনার চোখে পড়বে।
আর এগুলোতে নানা বিষয়ে নানান ধরনের তথ্য আপনি পাবেন। ফেসবুকে এখন নানা ব্যক্তি বা পেইজ বা গ্রুপ তাদের নিজেদের সম্পর্কে প্রচারের জন্য নানান ভুয়া তথ্য সরবরাহ করে। নানান ধরণের মেকির ভীড়ে আমরা সত্য-মিথ্যা যাচাই করতে অনেক সময় ব্যর্থ হই। এজন্য অনেক সময় আমাদের বিভ্রান্তিতে পড়তে হয়। এ ধরণের বিভ্রান্তি থেকে বাঁচার জন্য আমাদের প্রথমে উক্ত তথ্যটির সোর্স যাচাই করা প্রয়োজন। যদি সেটি নির্ভরযোগ্য সোর্স হয়, তবে সেটি আপনি বিশ্বাস করতে পারেন।
এখন, আপনি সোর্স যাচাই করবেন কিভাবে? বাংলাদেশের প্রথম সারির প্রিন্ট মিডিয়াগুলোর মধ্য রয়েছে প্রথম আলো, যুগান্তর, ইত্তেফাক, ইনকিলাব, কালের কণ্ঠ, বাংলাদেশ প্রতিদিন, ভোরের কাগজ, ডেইলি স্টার, ডেইলি সান, নিউ এজ প্রভৃতি। এগুলোর বর্তমানে অনলাইন সংস্করণ আছে। এছাড়া নির্ভরযোগ্য অনলাইন পত্রিকাগুলোর মধ্যে রয়েছে বিবিসি বাংলা, বিডিনিউজ২৪.কম, বাংলানিউজ২৪.কম, জাগোনিউজ.কম, সারাবাংলা.ডেট, শীর্ষনিউজ.কম প্রভৃতি।
এছাড়া প্রতিটি টেলিভিশন চ্যানেলেরই বর্তমানে অনলাইন সংস্করণ রয়েছে। আপনি যখন ফেসবুকে কোনো খবর দেখবেন বা পড়বেন, তার আগে খেয়াল করবেন সেটির উপরোল্লিখিত কোনো সাইটের খবর কিনা। যদি সেটি উপরোক্ত কোন সাইটের খবর হয়, তবে সেটি আপনি বিশ্বাস করতে পারেন।
অবশ্য, অনেক সাইটের কোনো কোনো খবর আপনার চিন্তা-চেতনা বা ধ্যান-ধারণার বা আপনার মতবাদের সাথে নাও মিলতে পারে। সেটি ভিন্ন কথা। আবার অনেক সময় বাংলাদেশের অনেক বিখ্যাত সাইটও মাঝে মাঝে আন্তর্জাতিক খবরের ক্ষেত্রে অনেক সময় ভুল তথ্য সরবরাহ করে।
তবে এমন উদাহরণ খুব বেশি নয়। এক্ষেত্রে তারাও সংবাদের সঠিক সোর্স যাচাই করতে ব্যর্থ হয়। আবার নির্ভরযোগ্য মিডিয়াগুলোর নামেও অনেক ভুয়া সাইট আছে, যেগুলো ভুয়া তথ্য সরবরাহ করে থাকে। সেক্ষেত্রে আপনি সঠিক পেইজটা যাচাই করে নিতে পারেন।
মনে করেন, প্রথম আলোর ফেসবুক পেইজে লাইক আছে প্রায় ১ কোটি ৬৫ লাখের মতো। কিন্তু প্রথম আলো নাম দিয়ে বাকি যেসব ভুয়া পেইজগুলো আছে, সেগুলোর লাইক সংখ্যা সীমিত, ৫-২০ হাজারের মধ্যে। এছাড়া নির্ভরযোগ্য মিডিয়াগুলোর নামের ডানপাশে ফেসবুক কর্তৃক ভেরিফায়েড চিহ্ন (সবুজ কালারের বৃত্তের মধ্য টিক চিহ্ন দেওয়া) দেওয়া থাকে।
যা ভুয়া পেইজগুলোতে থাকে না। তাই আপনি একটু বুদ্ধি খাটালেই হাজারো ভুয়া সাইটের মধ্য থেকে সঠিক সাইটটি বের করতে পারবেন। আর সেখান থেকে নির্ভরযোগ্য খবরগুলোও পেয়ে যাবেন। তখন হয়তো আর আপনাকে কোনটি বিশ্বাস করব, আর কোনটি করব না – এটা নিয়ে দ্বিধায় থাকতে হবে না।