বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে আমরা সবাই খুব ভালোভাবেই অবগত আছি। আমরা সবাই জানি পুরো বিশ্ব খুব কঠিন একটি সময়ের মধ্য দিয়ে পার হচ্ছে। বেশিরভাগ কোম্পানি এখন প্রায় বন্ধই রয়েছে বলা চলে। আর এজন্যই বিভিন্ন কোম্পানি তাদের কর্মী নিয়োগ স্থগিত করে রেখেছে। কিন্তু তারপরও বেশ কিছু কোম্পানি তাদের কর্মী নিয়োগ দিচ্ছে। যেহেতু সবকিছু বন্ধ, সেজন্য এই অবস্থার কারনে বেশিরভাগ কোম্পানি অনালাইনের মাধ্যমেই তাদের প্রাথমিক ইন্টারভিউ নিচ্ছে। এজন্য আজকে তাদের জন্যই আর্টিকেলটি লেখা যারা অনলাইনের মাধ্যমে ফোন বা অন্য কোনো ডিভাইস ব্যবহার করে ইন্টারভিউ দিচ্ছেন। কিভাবে এই কাজটি সঠিকভাবে ও নির্ভয়ে করা যায় সে বিষয়গুলো সম্পর্কেই আজ আলোচনা করতে চলেছি। তো চলুন শুরু করা যাক।
কথা বলার ধরণঃ ইন্টারভিউয়ের ক্ষেত্রে কথা বলার ধরণ সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিকের একটি। যেহেতু ইন্টারভিউয়ার আপনাকে সরাসরি দেখছে না, এজন্য আপনি যখন তার সাথে ফোনে কথা বলবেন তখন আপনার কথা বলার স্টাইলটা যেন ঠিকঠাক থাকে। ব্যাপারটা কিছুটা এমন যে, আপনি যখন ফোনে কারও সাথে হাঁসি মুখে কথা বলেন তখন সে আপনাকে দেখতে না পারলেও আপনার হাঁসি মুখটা সে অনেকটা কল্পনা করতে পারে। আর এই ব্যাপারটা আপনার আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দিবে ও আপনাকে সঠিক উত্তর দিতে বেশ সাহায্য করবে।
কিছু লিখে রাখার প্রস্তুতিঃ ফোনে ইন্টারভিউ নেয়ার সময় ইন্টারভিউয়ার যেকোনো সময় আপনাকে কোনো ফোন নাম্বার, ঠিকানা অথবা ইমেইল ইত্যাদি লিখে রাখতে বলতে পারে। এজন্য অবশ্যই ফোনে ইন্টারভিউ শুরুর আগে থেকেই আপনার কাছে কাগজ ও কলম প্রস্তুত রাখুন।
ইন্টারনেট সংযোগঃ অনেক সময় কোনো কোনো কোম্পানি তাদের ইন্টারভিউ অনলাইনে নিয়ে থাকে যেমন স্কাইপিতে ভিডিও কলের মাধ্যমে। তখন অবশ্যই আপনাকে নিরবচ্ছিন্ন ভাবে ইন্টারনেট এ সংযুক্তডিডিও কলের মাধ্যমে িয়ে থাকে থাকতে হবে। আমরা অনেকেই আমাদের বাসায় ওয়াইফাই ব্যবহার করি। কিন্তু যেকোনো সময়ে বিভিন্ন কারনবশত ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট কানেকশন বন্ধ হয়ে যেতে পারে কিংবা ধীর গতির হয়ে যেতে পারে। এজন্য অনলাইনে ইন্টারভিউ এর সময় ফোনের ইন্টারনেট ব্যবহার করাটা বেশি নিরাপদ হতে পারে।
প্রশ্নের উত্তর দেয়ার প্রস্তুতিঃ ফোনে ইন্টারভিউ দেওয়ার সময় চিন্তা করে প্রশ্নের উত্তর দেয়ার সুযোগটা কম। আর এজন্য আগে থেকেই চাকরি ও কোম্পানি সম্পর্কিত সম্ভাব্য প্রশ্নের উত্তর গুলো তৈরি করে রাখুন ও ইন্টারভিউ এর আগেই কয়েকবার চর্চা করে নিন।
আত্মবিশ্বাসঃ যেকোনো ইন্টারভিউতে আত্মবিশ্বাসী থাকা অনেক বেশী গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। ফোনে কথা বলার সময়ও কোনো কিছু মিস করলে সেটা তাদের থেকে জেনে নিতে সংকোচ বোধ না করে বিষয়টি জেনে নিন। ইন্টারভিউয়ার যেহেতু আপনাকে দেখতে পারছে না, এজন্য আপনার উৎসাহী মনোভাব এবং প্রানবন্ত কথাবার্তাই হতে পারে আপনার জন্য প্লাস পয়েন্ট।
আশা করি আপনি বিষয়গুলো সঠিকভাবে বুঝতে পেরেছেন। সঠিকভাবে উপরের বিষয়গুলো মেনে কাজ করলে আপনিও আপনার জবটি পেয়ে যেতে পারেন। ধন্যবাদ।