আশা করি সবাই ভালো আছেন।সৃষ্টির আদিমকাল থেকেই ছেলেদেরকে যতটা প্রাধান্য দেওয়া হতো,মেয়েদেরকে ঠিক ততটা দেওয়া হতো না।একসময় মেয়েদের শিক্ষাব্যবস্থার চলনও ছিল না।কিন্তু বর্তমানে ছেলেদের এবং মেয়েদেরকে সমান গুরুত্ব দেওয়া হয়,তাদেরকে যেকোনো কাজেই ছেলেদের সমতুল্য মনে করা হয়।কিন্তু তারপর মেয়েদের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে অনেক পরিবার তাদেরকে চাকরি করতে দেয় না,দূরে কোথাও পড়াশোনা করতে দেয় না।
অনেক বাবা-মা মেয়েদেরকে কোনোমতো একটা ভালো ছেলের কাছে বিয়েই দিয়েই টেনশন মুক্ত হয়ে যায়।কিন্তু মেয়েদের জন্য বর্তমানে সবথেকে স্বাধীন পেশা চলে এসেছে।আর সেটা হচ্ছে ফ্রিল্যান্সিং।ফ্রিল্যান্সিং মেয়েদের জন্য যেভাবে স্বাধীন পেশা তা হলোঃঃ
১.মেয়েরা ঘরে বসেই করতে পারে।
২.মেয়েরা তাদের সংসার,পরিবার,পড়াশোনা সবকিছুর সাথেই ফ্রিল্যান্সিং করতে পারে।
৩.মেয়েদের পড়াশোনার জন্য কিছু বাড়তি টাকা প্রয়োজন যা তারা নিজেরায় নিজেদের খরচ বহন করতে পারে।
৪.এতে তাদের দক্ষতা অনেক বেড়ে যাচ্ছে।
৫.তাদের আর চাকরির পিছনে ছুটতে হয় না।
আরও অনেক ভালো দিক আছে।তারা এই ফ্রিল্যান্সিং পেশাটার উপর নির্ভর করতে পারে।এর মাধ্যমে তারা যেমন নিজের খরচ চালাতে পারছে তেমন পরিবারকেও সাহায্য করতে পারছে।
তাদের যেহেতু ঘরের বাইরে বের হতে হয় তাই তাদের সম্পুর্ণ নিরাপত্তা রয়েছে।এটাতে এখন মেয়েরা অনেক গুনে এগিয়ে যাচ্ছে।তবেও বাংলাদেশের সব মেয়েদের কাছে এটা ছরিয়ে দিতে হবে।বাংলাদেশে প্রধানমন্ত্রী মেয়েদের জন্য ফ্রিতে শিক্ষার ব্যবস্থা করে দিয়েছেন যা তাদেরকে এই কাজে আরও মোটিভেটেড করে।এবং সবাই এটা নিয়ে অনেক সচেতন হয়েছে।যদিও ছেলেরা এই পেশায় ব্যাপহারে বৃদ্ধি পাচ্ছে।এর মাধ্যমে বেকারত্বের হার কমানো সম্ভব হচ্ছে।
মেয়েরা আর কাওর উপর নির্ভরশিল হতে হবে না।নিজের জ্ঞানের ও দক্ষতার পরিচয় দিয়ে বৈদিশিক টাকা অর্জন করতে পারবে ঘরে বসেই।আর আমরা একটু ইউটিউব এবং গুগলে খোজাখোজি করলে অনেক মেয়েকে দেখতে পাবো।যারা নিজের কর্ম-সংস্থান নিজেই তৈরি করেছে।
সবশেষে বলতে চাই এখন মেয়েদের আর চাকরির পিছনে দৌড়াতে হবে না।নিজেই তৈরি করবে নিজের কর্মসংস্থান।যেখানে কাজে দক্ষ হলে সম্পুর্ণ মুল্যয়ন পেয়ে থাকবে।তাই উজ্জ্বল হোক আপনার ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার,ভালো থাকবেন সবাই,ধন্যবাদ।