ফ্রীল্যান্সিং ও আউটসোর্সিং কী? এই দুটির পার্থক্য কী? এই সম্পর্কে আজকে আপনাদের জানাবো। অনেকে এই দুটি বিষয় জানতে চান কিন্তু পারেন না। তাদের জন্য এই আর্টিকেল।
অন্যদের কাছে কিছু কথা শুনে। আপনাদের অনেকের মনে আসা জাগে Freelancing ও Outsourcing বিষয় নিয়ে কাজ করতে,কিন্তু আপনাকে কেও এর ফুল বিষয়টা বুঝিয়ে দেয়না। চলুন আমি আপনাকে বলে দিচ্ছি। Freelancing ও Outsourcing কী? এবং এই দুটির পার্থক্য কী?
ফ্রীল্যান্সিং ও আউটসোর্সিং কী?
ফ্রীল্যান্সিং ও আউটসোর্সিং কী ? এবং এর মধ্যে মূলত পার্থক্যগুলি কী,কী?
ফ্রিল্যান্সিং শব্দটা নিয়ে আমাদের দেশে বেশ সোরগোল হচ্ছে কয়েক বছর ধরেই। কাজটা শুরু করেছিল বিডিওএসএন, তারপরে বেসিস থেকে ফ্রিল্যান্সিংয়ের অ্যাওয়ার্ড দেওয়ায় সেটা অন্য মাত্রা পায়। কিন্তু বিষয়টা নিয়ে অনেকেরই পরিষ্কার ধারণা নেই।
ফ্রিল্যান্সিং পেশাটা কিন্তু নতুন না, ফ্রিল্যান্স কলাম লেখক আছেন, সাংবাদিক আছেন, ফটোগ্রাফার আছেন। তাঁরা যেটা করেন, কোনো নির্দিষ্ট প্রতিষ্ঠানের চাকরি করেন না, তাদের নিজের দক্ষতা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কাছে বিক্রি করেন, যখন যেখানে কাজ পান। এখন, ইন্টারনেটের কল্যাণে বিষয়টা বিশ্বব্যাপি ছড়িয়ে গেছে। লন্ডনের কেউ হয়ত নতুন ব্যবসা খুলবে, তার লোগো ডিজাইন করা দরকার, সেটা সে যদি লন্ডনে কাউকে দিয়ে করাতো, তাহলে তার খরচ হতো হয়ত ২০০০ ডলার, কিন্তু বাংলাদেশের একটি মেয়ে, যে কী না ফ্রিল্যান্স ডিজাইনার, সেটি করে দেবে ১০০ ডলারে। কিংবা আমেরিকায় কোনো কোম্পানী মোবাইল অ্যাপ তৈরি করবে, সেটি যদি তারা কোনো আমেরিকান সফটওয়্যার কোম্পানীকে দিয়ে করাতো, হয়ত ৫০,০০০ হাজার ডলার খরচ হতো, বাংলাদেশি সফটওয়্যার নির্মাতা কোম্পানী সেটি করে দিবে ৫০০০ ডলারে। আবার এমনও হয় যে কানাডার কোনো সফটওয়্যার কোম্পানীতে কাজের চাপ বাড়ছে, তারা সেখানে বাড়তি লোক না নিয়ে অতিরিক্ত কাজ স্বল্প আয়ের কোনো দেশের কোম্পানীকে দিয়ে করালো। শেষের এই ব্যাপারটাকে বলে আউটসোর্সিং। মানে নিজে না করে, বা নিজের কোম্পানীতে অতিরিক্ত লোকবল না নিয়ে, কোনো কাজ অন্য কোম্পানীকে দিয়ে করানো। ইন্টারনেটের কারণে এই ফ্রিল্যান্স আউটসোর্সিংয়ের বিষয়টা ভৌগলিক সীমারেখার বাইরে চলে গেছে। বেশ কিছু অনলাইন মার্কেটপ্লেস আছে, যেখানে বিড করে কাজ পাওয়া যায়, আর কাজ ঠিকঠাক শেষ হলে অর্থ প্রাপ্তিরও নিশ্চয়তা থাকে। সেজন্য সেই মার্কেটপ্লেস একটা কমিশন রাখে (সাধারনত ১০% বা তার আসেপাশে)। বাংলাদেশেও অনেক তরুণ-তরুণী এখন ফ্রিল্যান্সিংয়ে যুক্ত হচ্ছে। ফ্রিল্যান্সিং বিষয়ে ইন্টারনেটে অনেক কনটেন্ট আছে, বাংলাতেও আছে, এমনকী বইও আছে।
freelancing ফ্রিল্যান্সিং ও outsourcing আউটসোর্সিং , freelancing-vs-outsourcing
“খুব সহজ করে পার্থক্য করার চেষ্টা করছি। ফ্রীল্যান্স বা মুক্ত পেশা, ফ্রীল্যান্সার যিনি মুক্ত পেশাজীবী। এটা একজন মানুষ কর্তৃক কর্মকান্ড যার নির্ধারিত কোন নিয়োগকর্তা থাকেনা। একজন মুক্ত পেশাজীবী একইসাথে একজন স্ব-নিযুক্ত কর্মজীবী বা পেশাজীবী। আর আউটসোর্সিং হচ্ছে সেইসব মুক্ত পেশাজীবীদের কাজের উতস, যেখান থেকে বিভিন্ন ধরনের কাজ বিভিন্ন অংশে বিভক্ত করে বিভিন্ন মুক্ত পেশাজীবীদের কাছ থেকে ঠিকাদারী (bid) পদ্ধতিতে চুক্তিবদ্ধ করে মূল কাজটি সমন্বয় এবং সম্পন্ন করে এবং এটা একটা সাংগঠনিক প্রক্রিয়া। ফ্রীল্যান্সিং একটি ব্যক্তিগত প্রক্রিয়া।“
“আউটসোর্সিং ও ফ্রিল্যান্সিং শব্দ দুটি আমরা একই জিনিস বুঝলেও, অর্থ এবং কার্যগত পার্থক্য রয়েছে। আউটসোর্সিং (Outsourcing) মানে নিজের কাজ কোন একটা মাধ্যমে অন্যকে দিয়ে করিয়ে নেয়া। আর ফ্রিল্যান্সিং (Freelancing) বলতে, মুক্ত বা স্বাধীনভাবে কাজ করা বোঝায়। অনলাইনে ফ্রিল্যান্সিং বিষয়টি হচ্ছে, ইন্টারনেটের মাধ্যমে আপনি অন্যের কাজ করে দিবেন এবং কাজের বিনিময়ে নির্দিষ্ট অর্থ পাবেন। অনলাইনে কাজ করার জন্য অনেকগুলো মাধ্যম রয়েছে Freelancer, (Elance) ইল্যান্স এবং (oDesk) ওডেস্ক এর মধ্যে অন্যতম।”
“ফ্রিল্যান্সিং হলো মুক্ত ও সাধীন কাজ . যে কাজে কোনো বাধা নেই . যখন ইচ্চা কর
আউটসোর্সিং হলো কোনো একটা মাধ্যম ব্যবহার করে নিজের কাজ অন্য যখন কারো মাধ্যমে কোনো কাজ কে কোনো চুক্তির মাধ্যমে করিয়ে নেয়া হয়।“
আজকে এই পর্যন্ত ভালো থাকবে। আল্লাহ হাফেজ