বঙ্গোপসাগরের আর এক সম্বাবনা বঙ্গবন্ধু দ্বীপ

বঙ্গবন্ধু দ্বীপ বা বঙ্গবন্ধু আইল্যান্ড

অবস্থান:

সুন্দরবনের হিরন পয়েণ্ট থেকে ১৫ কি.মি. ও দুবলার চর থেকে ২৫ কি.মি. দক্ষিণ পশ্চিমে এবং মোংলা সমুদ্র বন্দর থেকে ৮০ কি.মি. দক্ষিণে অবস্থিত ।  দ্বীপটির আয়তন ৭.৮৪ বর্গ কিলোমিটার ।  যা সমুদ্র পৃষ্ঠ থেকে ২ মিটার  উচ্চতায় অবস্থিত  ।

আবিষ্কারের গল্প:

প্রায় আড়াই দশক আগে জেলেরা এই দ্বীপ খুঁজে পেলেও স্যাটেলাইটে প্রথম ১৯৭৬ সালে এর অস্তিত্ব মেলে। কখনও দ্বীপ টি জেগে উঠতো আবার কখনো ডুবে যেতো । পরবর্তিতে ১৯৯২ সালে জেলেরা দ্বীপ টি খুজে পায় । তাদের ই একজন জাতির পিতার প্রতি শ্রদ্ধা জানি য়ে দ্বীপের নামকরণ করেন  বঙ্গবন্ধু দ্বীপ  ।সেইসময় দ্বীপের আয়তন ছিল মাত্র দুই একর ।

কাদা বালু ছাড়া আর কোনো কিছুর অস্তিত্ব ছিল না।  দীর্ঘ দিন  আর কোনো খোজ মেলে নি এই দ্বীপের ।। ২০০৪ সাল থেকে দ্বীপের আকার প্রকাশিত হতে শুরু করে । এবং আস্তে আস্তে স্থিতিশীল হয় । তারপর থেকে ক্রমশ বৃদ্ধি পেতে থাকে এর আয়তন। । ২০১৩ সাল থেকে এটি আজকের অবস্থায় আসতে থাকে।। পর পর চারটি  ধাপে গড়ে উঠেছে প্রকৃতির অপর এক রুপের লীলাভূমি বঙ্গবন্ধু দ্বীপ  । দ্বীপটির কোথাও চোরাবালি নেই এবং চারিদিকের পানির মান ও আদর্শিক পর্যায়ের  ।

কি কি আছে বঙ্গবন্ধু দ্বীপে?

১১-১৬ ফেব্রুয়ারী ২০১৭ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের নেতৃত্বে ২৯ সদস্যের একটি দল এই দ্বীপের উপর অভিযান চালায় ।  তাদের পরিচালিত গবেষণায় দ্বীপের  স্থায়িত্ব , জীববৈচিত্র্য ও পরিবেশ গত নানা তথ্য উঠে আসে।।

দ্বীপের চারিদিকে রয়েছে ৯ কি.মি দীর্ঘ  ও ৫০০ মিটার প্রশস্ত সমুদ্র সৈকত । পেচনে রয়েছে নয়নাভিরাম বালির ঢিবি ।  সবার পেছনে রয়েছে সবুজ ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট । দ্বীপ টিতে ১৬ প্রজাতির মোলাস্কা, ৮ প্রজাতির প্লাংটন ও দুই প্রজাতির বার্নকল রয়েছে।। বাংলাদেশের প্রথম এসিডিয়ানের সন্ধান পাওয়া যায় এই দ্বীপে ।

অচিরেই  বঙ্গবন্ধু দ্বীপটি হয়ে উঠেছে প্রাণীদের অভায়ারন্য  ও সৌন্দর্যের লীলাভূমি, প্রকৃতি প্রেমিদের  পছন্দের  বঙ্গবন্ধু দ্বীপ

Related Posts