আসসালামুয়ালাইকুম আশাকরি সকলে ভালো আছেন আজকে আপনাদের জন্য একটি শিক্ষণীয় ঘটনা নিয়ে আসলাম যেটা পড়লে আপনারা অনেক কিছু শিখতে পারবেন আমাদের যদি কেউ কিছু বলে আমরা তাদেরকে বদ দোয়া করি আমাদের নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদেরকে বদদোয়া করেননি এটা আমরা নিচের ঘটনা টা পড়লে বুঝতে পারব যখন আবু তালেব হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের চাচা ইন্তেকাল করলেন তখন কুরাইশরা হুজুর সাল্লাল্লাহু সাল্লাম কে অনেক কষ্ট দিতে থাকলেন নবীজি যখন দেখলেন যে মক্কার লোকদের ইসলাম গ্রহণের কোনো আশা নেই তখন নবুয়তের দশম বছরে শাওয়াল মাসের শেষভাগে যায়েদ ইবনে হারেসা কে সাথে নিয়ে তায়েফে গমন করলেন সেখানে দীর্ঘ এক মাস অবস্থান করে তাদের দ্বীনের দাওয়াত দিতে থাকলেন কিন্তু একজন হক কবুল করল না বরং জালেমরা নিজেদের শহরের কিছু দুষ্টু ছেলেদের কে লেলিয়ে দিল নবীজির উপর অত্যাচারের জন্য উক্ত পাষাণহৃদয় হতভাগারা দোজাহানের সরদার এর পিছনে লেগে গেল দয়ার নবীর দয়া যদি প্রতিবন্ধক না হতো তাহলে একটু ঠোট নাড়ানোতেই তাদের সব শয়তানী খতম হয়ে যেত তায়েফ আর তার তায়েফের অধিবাসীদের নাম নিশানা পৃথিবীর বুক থেকে নিশ্চিহ্ন হয়ে যেত সেসব হতভাগারা নবীজির উপর পাথর বর্ষণ করতে লাগল পাথরের আঘাতে নবীজির কদম মোবারক ক্ষতবিক্ষত হয়ে যেতে লাগল হযরত যায়েদ ইবনে হারেসা যেদিক থেকে পাথর আসতে দেখতেন সেদিকে দাঁড়িয়ে যেতেন এবং নিজের উপর পাথরের আঘাত সয়ে নবীজিকে রক্ষা করতেন এতে হযরত জায়েদের মাথা রক্তাক্ত হয়ে গেল অবশেষে রহমতে আলম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একমাস পরে তাকে এভাবে ফিরে এলেন যে তার গোড়ালি মোবারক রক্তে রঞ্জিত হয়েছিল কিন্তু তার মুখে কোনো বদ দোয়ার শব্দ ছিল না এখনকার সময়ে আমাদের দেশে কেউ যদি কাউকে কিছু বলে তাহলে সে তাকে বদদোয়া করে এটা আমাদের ঠিক না আমাদের নবী কারিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সুন্নাত অনুযায়ী চলা উচিত আমরা যদি তার সুন্নাত অনুযায়ী চলতে পারি তাহলে আমাদের জীবনে শান্তি আসবে আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে উক্ত হাদীসের উপর আমল করার তৌফিক দান করুক আমিন