আসসালামু আলাইকুম সুপ্রিয় পাঠকগণ। কেমন আছেন আপনারা সবাই?আশা করি আপনারা সবাই যে যার অবস্থানে ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন।আপনারা সকলে নিজ নিজ অবস্থানে ভালো থাকুন এবং সুস্থ থাকুন সেই প্রত্যাশাই ব্যক্ত করি।
মানুষ সামাজিক জীব।পারস্পারিক সৌহার্দ্য, সম্প্রীতি এবং ভালোবাসা ছাড়া মানুষ সমাজে চলতে পারে না থাকতে পারে না।বস্তুত কারণে মানুষ যেমন একা চলতে পারে না। তাই তার একজন বন্ধুর দরকার হয়। আর সেই থেকে বন্ধুত্ত গড়ে উঠে দুই বা ততোধিক মানুষের মধ্যে।একজন বন্ধু দশজন শত্রু থেকেও ভারী হয়।মানুষ তার প্রয়োজনের তাগিদে কিংবা পড়াশোনার ক্ষেত্রে বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমন করতে হয়, স্থায়িত্ব করতে হয়।অনেক সময় সেই স্থায়িত্ব দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হয়ে থাকে। সেই সুবাদে মানুষের নানা জায়গায় নানান ধরণের বন্ধু হয়ে উঠে।
এদের মধ্যে কেউ কেউ ভালো বন্ধু হয় আবার কেউবা হয় খারাপ বন্ধু। কেউ কেউ বন্ধু নামে শত্রুতে পরিণত হয়। কেউ কেউ উপকার করার বদলে আবার ক্ষতি করতে চায়। তাই আমাদের সঠিক বন্ধু নির্বাচন এর উপর গুরুত্বারোপ করা উচিত। একজন মুসলিম হিসেবে সত্যবাদী, পরোপকারী এবং দ্বিনদার বন্ধু নির্বাচন করা উচিত। বন্ধু নিয়ে শান্তির ধর্ম ইসলামে অনেক উক্তি রয়েছে। চলুন তাহলে বন্ধু নিয়ে ইসলামের উক্তিগুলো জেনে আসি।
সঠিক বন্ধু নির্বাচনের ক্ষেত্রে আমাদের প্রিয়নবী হজরত মুহাম্মদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন “মানুষ তার বন্ধু স্বভাবি হয় তাই তাকে লক্ষ রাখা উচিত সে কার সাথে বন্ধুত্ত করছে। ” (তিরিমিজি)
প্রিয়নবী হজরত মুহাম্মদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন “সৎ সঙ্গি এবং অসৎ সঙ্গির উদাহরণ হচ্ছে আতর বিক্রেতাকারী কামারের হাপরের ন্যায়।আতর ওয়ালা তোমাকে নিরাশ করবে না ;হয় তুমি তার কাছ থেকে ক্রয় করবে কিংবা তার কাছে সুগ্রাণ পাবে। আর কামারের হাপর হয় তোমার বাড়ি জ্বালিয়ে দেবে বাড়িয়ে দেবে নচেৎ তোমার কাপড় পুড়িয়ে দেবে নচেৎ
দুর্গন্ধ পাবে। ” (বুখারি)
বন্ধু নির্বাচনের ক্ষেত্রে মহান আল্লাহ তা’য়ালা কোরআন শরীফে ঈরশাদ করেন “আপনি নিজেকে তাদের সংস্পর্শে আবদ্ধ রাখুন যারা সকাল সন্ধ্যা তাদের পালনকর্তাকে তার সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য আহবান করে এবং আপনি পার্থিব জীবনের সৌন্দর্য কামনা করে তাদের থেকে নিজের দৃষ্টি ফিরিয়ে নিবেন না। যাদের মনকে আমার স্নরণ থেকে অবচেতন করে দিয়েছি, যে নিজের প্রবৃত্তি অনুসরণ করে এবং যার কার্যকলাপ হচ্ছে সীমা অতিক্রম করা, আপনি তার আনুগত্য করবেন না। ” (সুরা কাহাফঃআয়াত ২৮)
কোন বন্ধু নির্বাচনের ক্ষেত্রে গুণকে অগ্রাধিকার দেয়ার প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ তা’য়ালা বলেন “হে মুমিনগণ, তোমারা আল্লাহকে ভয় করো এবং সত্যবাদী সঙ্গি হও।” (সুরা তওবাঃআয়াত ১১৯)
যার মাধ্যমে কোরাআনের ভালোবাসা নেই ইসলাম তাকে বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করতে নিষেধ করেছেন।বন্ধুত্ত তাই হতে হবে মহান আল্লাহর সন্তুষ্ট অর্জনের জন্য। তাই প্রিয়নবী হজরত মুহাম্মদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন “যে আল্লাহর(সন্তুষ্টির) উদ্দেশ্যে (কাউকে)ভালোবাসে এবং আল্লাহর উদ্দেশ্য কাউকে ঘৃণা করে, আল্লাহর উদ্দেশ্য দান করে কিংবা না দান করে সে তার ঈমান পূর্ণ করে নিলো।'(আবু দাউদ)
আশা করি আজকের পোস্টটির মাধ্যমে আপনারা ইসলামে সঠিক বন্ধু নির্বাচন সম্পর্কে জানতে পেরেছি।আমরা বন্ধু নির্বাচনে সবসনয় ইসলামের বিধুবিধান মেনে চলবো। ধন্যবাদ সবাইকে।
ঘরে থাকুন
সুস্থ থাকুন
ok
😄
সুন্দর
ধন্যবাদ
আপু, ভাল লিখেছেন, শুকরিয়া।
সুন্দর
ধন্যবাদ😀
ভালো পোস্ট hoyece apu
বন্ধু বন্ধুর শত্রু
jii
ncc
Nice
nice
খুব সুন্দর হয়েছে
nice