বরগুনার আমতলীতে রাতের অন্ধকারে প্রতিবন্ধীর জমিতে ধান রোপন করেছে ইউনুস হাওলাদার ও তার ছেলে।
এ ঘটনায় নিন্ধা প্রকাশ করছে অত্র এলাকার সাধারণ জনগণ জানা গেছে, প্রতিবন্ধী ছলেমান এর সাথে ইউনুস হাওলাদারের জমিজমা নিয়ে দীর্ঘদিন শত্রুতা চলছে সোলেমান প্রতিবন্ধী হওয়ায় ইউনুস হাওলাদার দীর্ঘদিন যাবৎ তার উপরে অত্যাচার করে আসছে এবং তার জমিজমা জোর করে দখল করে খাচ্ছে।
এমনকি তার বাবার ভিটাও ছেড়ে চলে যেতে বলছে। আর ভিটে না ছাড়লে ছলেমান ও তার বৃদ্ধা মাকে প্রাণনাশেরও হুমকি দিয়েছে বলে জানা গেছে। কয়েকদিন পূর্বে ছলেমানের ঘরে আগুন লাগানো ও পুকুরে বিষ প্রয়োগ করে তারা।এ ঘটনায় ছলেমান আইনের সহায়তা চাচ্ছে।
ছলেমান জানিয়েছে আমি পঙ্গু হওয়ায় এবং আমার মা বৃদ্ধা হওয়ায় আমরা নিজেদের জমির তদারকি করতে পারি না সেই সুযোগে ইউনুস হাওলাদার ও তার ছেলেরা আমাদের জমি দখল করে নিচ্ছে ও ফসল ফলাচ্ছে।
কিছুদিন পূর্বে তারা রাতের অন্ধকারে আমাদের জমিতে ধান রোপন করে এখন তা কাঁটার সময় হয়েছে গত তিনদিন আগে ইউনুস হাওলাদার আমি,আমার মা এবং আমার ভাইয়ের বিরুদ্ধে ধানকাঁটা মামলা করে।
অথচ আমরা কোন ধান কাঁটিনি আজ হঠাত করে দেখি ইউনুস হাওলাদারের স্ত্রী শালী এবং তার তিন মেয়ে ঐ জায়গার ধান কাঁটছে।
আমার মা বাঁধা দিতে গেলে তারা তাকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দেয়।তারপর আমার মা স্থানীয় কয়েকজনকে ডেকে এসব কর্মকাণ্ড দেখিয়েছে স্থানীয় মেনাজ হাওলাদার জানিয়েছেন,ইউনুস হাওলাদার জোড় করে পঙ্গুর জমিতে ফসল ফলিয়েছে।আমরা অনেকেই তাকে নিষেধ করেছিলাম। কিন্তু তিনি আমাদের কথা শোনেননি।
আমাদেরকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর হুমকি দিছে। একই গ্রামের হুমায়ূন তালুকদার জানিয়েছেন, এই জমিজমা নিয়ে বেশ কয়েকবার সালিশ করেছি।কিন্তু ইউনুস হাওলাদার আমাদের কথা রাখেননি।সে ছলেমানের পঙ্গু তাই সুযোগ নিচ্ছে।ছলেমান ডাকার পরে আমি এসে দেখি ইউনুস হাওলাদারের স্ত্রী ও মেয়েরা ছলেমানের জমির ধান কেঁটে নিচ্ছে।এর একটা সমাধান হওয়া দরকার।
কৃষক আব্বাস মিয়া জানায় ,আমি অনেকদিন যাবৎ ইউনুস হাওলাদার ও তার ছেলেদের অপকর্ম থেকে আসছি।ছলেমান পঙ্গু মানুষ।খেয়ে না খেয়ে জীবন যাপন করছে।তার সাথে ইউনুস হাওলাদারের এমন কাজ মানায় না।
ধন্যবাদ আপনাকে আপনার মুল্যবান সময় দিয়ে আমাদের সাথে থাকার জন্য।