মহামারী করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় দক্ষিণ এশিয়ার শীর্ষ অবস্থানে বাংলাদেশ

বাংলাদেশ কে মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়া করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় দক্ষিণ এশিয়ার শীর্ষ দেশ হিসেবে ঘোষণা করেছে মার্কিন সংবাদ মাধ্যম ব্লুমবার্গ। ‘কোভিড রেজিলিয়েন্স র‌্যাংকিং’- এ এমন তথ্যই প্রকাশ করেছেন সংবাদ মাধ্যমটি। যেখানে র্শীষ ধনী দেশগুলোর অবস্থান টেবিলের নিচের দিকে। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে ভারত-পাকিস্তানকে ছাড়িয়ে এ সফলতা ছিনিয়ে এনেছে বাংলাদেশ।

অন্যন্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশে ভ্যাকসিন প্রাপ্ত মানুষের হার মাত্র পাঁচ শতাংশ হলেও বর্তমান সরকারের সঠিক পরিকল্পনায় দেশে করোনা তেমন প্রভাব ফেলতে পারেনি বলে মত দিয়েছেন বিশেজ্ঞরা।

করোনা ভাইরাসের নিয়ন্ত্রণ ও সঠিক ব্যবস্থাপনায় করোনা রোধে করোণীয়, মানুষকে করোনা সর্ম্পকে সচেতনতা করা, করোনা মহামারিতে নিম্ন আয়ের মানুষের কষ্ট লাঘব ইত্যাদি দিক বিবেচনায় ব্লুমবার্গ এ তথ্য প্রকাশ করেছে। শেষবার নভেম্বরে বাংলাদেশের অবস্থান টেবিলের চব্বিশ নাম্বারে থাকলেও চমৎকার পরিকল্পনা আর করোনা মোকাবেলার তা বাস্তবায়নের ফলে স্থান করে নিয়েছে বিশ নম্বারে।

তবে বাংলাদেশ ব্লমবার্গের জরিপে এগিয়ে থাকলেও এখনো স্বাভাবিক হয়নি এদেশের খেটে খাওয়া মানুষের জীবন-যাপন। করোনার প্রথম ধাপ পাড় করে ঘুরে দাঁড়াবার চেষ্টায় যখন মরিয়া দেশ। ঠিক তখই শরতের আকাশে কলো মেঘ হয়ে হানা দিচ্ছে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ। তবে ইতোমধ্যে প্রধানন্ত্রী শেখ হাসিনা করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলায় আর্থিক প্রনোদনার পরিকল্পনার নির্দেশ দিয়েছেন। যা বাস্তবায়ন হলে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে দেশের মানুষের লাঘব হবে।

ইতোমধ্যে করোনার ভ্যাকসিন বিরতন শুরু করেছে অনেক দেশ। তবে বাংলাদেশে ভ্যাকসিনের অপেক্ষা করেতে হবে আরো কিছু দিন। স্বাস্থ্য মনন্ত্রণালয়ের দেয়া তথ্য অনুযায়ী দুই দফায় আশা ভ্যাকসিন পাবে প্রায় সব স্তরের মানুষ। প্রতিটি ইউয়নে ইতোমধ্যে টিকা প্রদানের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে স্বাস্থ্যকর্মীদের। দেশে ভ্যাকসিন এলে তা সবাই পাবে বলে আশ্বাসও দিয়েছে স্বাস্থ্য মনন্ত্রণালয়।

গত বছর ডিসেম্বরে চীন থেকে সারাবিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে প্রাণঘাতি করোনা ভাইরাস। সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে বিশ্বজুড়ে বাড়তে থাকে করোনার প্রকোপ। এবছরের মার্চে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিই এইট ও) করোনা ভাইরাস কে মহামারি ঘোষণা করে। ধীরে ধীরে অচল হয়ে পড়ে পুরো পৃথিবী। শুরু থেকে এ পর্যন্ত করোনায় প্রাণ হারিয়েছে প্রায় সতেরো লাখের বেশি মানুষ। আর আক্রান্তের সংখ্যা আট কোটি ছুঁই ছুঁই। তবে আশার কথা, মহামারি করোন ভাইরাসকে হার মনিয়ে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন সাড়ে পাঁচ কোটি মানুষ।

সাড়া বিশ্বে ন্যায় বাংলাদেশও করোনা ভাইরাস বিরুপ প্রভাব ফেলছে। তবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ। মহামারী করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা পাঁচ লাখের বেশি। আর প্রানঘাতি এ ভাইরাসে মারা গেছেন সাত হাজারের বেশি। আর দেশে সুস্থ হওয়া করোনা রোগীর সংখ্যা সাড়ে চার লাখ ছাড়িয়েছে।

Related Posts