মানুষ হিসাবে মানুষের পাশে থাকাই আমাদের ধর্ম
রোহিঙ্গা সংকট যে দ্রুততার সাথে বিস্তৃত হয়েছে সেটি বাংলাদেশ সরকারকেও বিস্মিত করে তুলেছিল।সীমান্তে অবস্থানরত রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে আশ্রয় দেয়া হবে কিনা সেটি নিয়েও বাংলাদেশে সরকারের মাঝেও দোদুল্যমানতা ছিল।কিন্তু যেভাবে লাখ লাখ রোহিঙ্গা সীমান্তে এসে জড়ো হয়েছিল, তাতে তাদের আটকে রাখা বাংলাদেশের সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর পক্ষে অনেক ক্ষেত্রেই সম্ভব ছিল না।
মাত্র এক সপ্তাহের মধ্যেই ২৭ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। এক মাসের ব্যবধানে এ সংখ্যা পাঁচ লাখ ছাড়িয়ে যায়।
রোহিঙ্গা সংকট শুরুর এক মাসের মধ্যেই বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে দেয়া ভাষণে সংকট সমাধানের জন্য পাঁচটি সুপারিশ তুলে ধরেন।
একই সাথে সংকট সমাধানের জন্য বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ দেশগুলোর সমর্থন লাভের চেষ্টাও করে বাংলাদেশ।
- বাংলাদেশের কূটনীতির বড় প্রচেষ্টা ছিল মিয়ানমারের উপর চাপ তৈরি করা। কীন্তু আসলে দুর্বলের ওপর সবাই নির্জাতন করতে পারে, সাহায্য করতে পারে না। অনেক ক্ষমতাবান দেশ আছে যারা মিয়ানমার সরকারের পক্ষে কথা বলে, সাহস যোগায়। মানবতার মুখোশের আড়ালে বড় বড় ক্ষমতাধর দেশগুলো যখন নিজেদের স্বার্থসিদ্ধির জন্য কুটনীতির খেলায় মত্ত, সেখানে আফ্রিকার গরিব রাষ্ট্র গাম্বিয়ার মানুষের পক্ষে কাজ করার দৃষ্টান্ত নি:সন্দেহে অনেক প্রসংশনীয় এবং অনুকরণীয়। অন্যদিকে অং সাং সুচি’র ভূমিকা নির্লজ্জতা আর বর্বরতার আরেক নামান্তর। সকল দেশের একক প্রচেষ্টায় এ সমস্যার সমাধান করা উচিত।