বাড়ির আশেপাশে থাকা গাছ-পালা থেকে আরোগ্য লাভ করা যায়।আসুন জেনে নিই কোন্ কোন্ গাজ থেকে কি কি রোগ মুক্তি হয়।
এলোভেরা
ঘরবাড়ির বাতাসকে বিশুদ্ধ রাখতে এক অনন্য অবদান রাখে এই উদ্ভিদ। এলোভেরার বিদ্যমান জেল আপনাকে সানবার্ন,ব্রণ,ত্বকের জ্বালাপোড়া ও শুষ্কতার হাত থেকে রক্ষা করবে। এলোভেরা জেল পরিপাকতন্ত্রের উন্নতি ঘটায় এবং রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
পিপারমিন্ট
এতে রয়েছে অনন্য জীবানু ও ব্যাকটেরিয়া রোধি গুন। মাথাব্যাথা, জ্বালাপোড়া, ব্যাথা,পেটফাঁপা ও বদহজমসহ ইত্যাদি সমস্যায় দারুন কার্যকরী ম্যানথল হিসেবে কাজ করে। পাকস্থলির প্রদাহ নিরসনে এটি কার্যকর ভূমিকা পালন করে।
রোজমেরি
বেশিরভাগ এর গুন সম্পর্কে সচেতন নয়। শত শত বছর ধরে মানুষের উপকার দিয়ে আসছে। এটি মানুষের স্মৃতিশক্তি বাড়ায়। রোজমেরি পেশির ব্যাথা কমায়। এই উদ্ভিদ।মানুষের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি সংবহনতন্ত্র উন্নত করে।
ল্যাভেন্ডার
বলা হয় যে, যার বাড়ির টবে বা বাগানে ল্যাভেন্ডার আছে তার বাড়ির আশপাশে অনেক রোগই ভিড়তে পারে না। মানসিক চাপ কমানোর পাশাপাশি মানুষের মেজাজও ঠিক করে দিতে পারে। এর সুগন্ধি মানুষের গভীর ঘুম আনে। ত্বকের প্রদাহ হ্রাস করেে।
চুল পরা রোধ করে।
তুলসি
রোগনিরাময়তার ক্ষেত্রে তুলসি আরেক বিস্ময়। স্করপিয়নের মত বিষাক্ত প্রাণির কামড়ে প্রাচীন গ্রীসে তুলসি দিয়ে চিকিৎসা করা হত। এতে আছে এ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। ক্যান্সার ও ডায়াবেটিস নিরাময়ে জটিল ঔষুধ হিসেবে কাজ করে। এছাড়াও গ্রামে স্বর্দি-কাশির ওষুধ হিসেবে তুলসি পাতার রস খেয়ে থাকে। সম্প্রতি সময়ে তুলসি পাতার চা তৈরি করা হচ্ছে। বর্তমানে একমি কোম্পানি বাজারজাত করেছে তুলসি নামক একটি স্বর্দি – কাশির ফাইল,যা তুলসি পাতা দিয়ে তৈরি।