আসসালামু আলাইকুম বন্ধুরা,কেমন আছেন?আশাকরি সৃষ্টিকর্তার কৃপায় সবাই ভাল আছেন।বিকাশ অ্যাপ ব্যবহারে আমি যে পোস্ট লিখেছি এটি হচ্ছে ৩য় এবং সর্বশেষ পোস্ট।এই পোস্টের মাধ্যমে এই সিরিজটি সমাপ্ত হবে।তাই বাকি বিষয়গুলো ভালোভাবে জেনে নিন-
৫/পে-বিলঃআপনি কোন বিদ্যূৎ বিতরণ কম্পানির কেমন গ্রাহক,তা বিদ্যূৎ বিল দেয়ার সময় জানা বেশি গুরুত্বপূর্ণ।আপনি ডেসকো প্রিপেইড এর গ্রাহক হয়ে যদি ডিপিডিসি প্রিপেইড বিল দেওয়ার চেষ্টা করেন তবে ব্যর্থ হবেন।তাই সঠিক তথ্য জেনে তারপর চেষ্টা করবেন।বিল দেয়ার সময় একটি আইডি নম্বর ব্যবহৃত হয়,বিল প্রদানে ব্যর্থ হলে আইডি নং সঠিক আছে কিনা তা মিলিয়ে দেখা প্রয়োজন।কয়েকটি বিদ্যূৎ বিতরণ কোম্পানির কিছু প্রিপেইড মিটার আছে যেগুলো স্মার্ট মিটার নয়।পুরনো প্রযুক্তির কারণে এরকম কিছু মিটারে রিচার্জ করা যায় না।তাই রিচার্জে ব্যর্থ হলে আপনার মিটারটি ঐরকম কিনা জেনে নিন।বিল প্রদানে কোন লিমিট নেই।
৬/ক্যাশ-আউটঃএক্ষেত্রে দিনে সর্বোচ্চ ৫ বারে ২৫ হাজার টাকা এবং মাসে সর্বোচ্চ ২০ বারে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত ক্যাশ আউট করা যায়।এজেন্ট পয়েন্ট বা নির্ধারিত এটিএম বুথ থেকে ক্যাশ আউটের সুযোগ আছে।ক্যাশ আউট না হলেও লিমিট চেক করা জরুরি।একজন গ্রাহক যখন ক্যাশ আউট করেন তখন স্বযংক্রিয়ভাবে চার্জসহ কাটা হয়।যদি গ্রাহক ১০০০ টাকা অ্যাপ থেকে ক্যাশ আউট করেন তাহলে তার অ্যাকাউন্ট থেকে ১০১৭.৫০ টাকা এবং ইউএসএসডি চ্যানেলে ১০১৮.৫০ টাকা কাটা হয়।উভয়ক্ষেত্রেই গ্রাহক এজেন্ট থেকে টাকা বুঝে নেবেন।স্বয়ংক্রিয়ভাবে চার্জটি কেটে ফেলায় এজেন্টকে বাড়তি টাকা দিতে হবে না।
৭/রেমিট্যান্সঃএকটি বিকাশ নাম্বারে দিনে সর্বোচ্চ ১০ বারে ১ লাখ ২৫ হাজার টাকা এবং মাসে ৫০ বারে ৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা রেমিট্যান্স আসতে পারে।লিমিট না থাকলে কোন রেমিট্যান্স আসবে না,এই বিষয়টি গ্রহণকারী ও প্রেরণকারী উভয়েরই জানা জরুরি।
৫/পেমেন্টঃবিকাশ অ্যাপ দিয়ে কোন পণ্য কেনার সময় পেমেন্টে কোন লিমিট নাই।তবে অনেক গ্রাহক অজ্ঞতার কারণে সেন্ডমানি দিয়ে পেমেন্ট করেন ফলে পেমেন্ট হয় না।পেমেন্ট অপশন দিয়ে পেমেন্টটি করতে হবে।সবচেয়ে সহজ হলো কিউআর কোড স্ক্যান করে পেমেন্ট করা।
৬/ভুল পিনঃকয়েকবার ভুল পিন দিয়ে অ্যাকাউন্টে ঢোকার চেষ্টা করলে নিরাপত্তার স্বার্থে স্বয়ংক্রিয়ভাবে অ্যাকাউন্ট ব্লক হয়ে যায়।তাই অ্যাকাউন্ট ব্লক হলে কাস্টমার কেয়ারে যোগাযোগ করে নতুন পিন রিসেট করতে হবে।প্রায় সব মোবাইলে বাংলা লেখার সুবিধা থাকে।তাই পিন দেয়ার সময় অবশ্যই কি-বোর্ড পরিবর্তন করে ইংরেজি কি-বোর্ড দিতে হবে।
অ্যাপের উপরের দিকে লোগো ক্লিক করে লিমিট অপশনে গেলে গ্রাহক কোন সেবা কত লিমিটের মধ্যে ব্যবহার করেছেন তা দেখতে পারবেন।
একইসাথে আমার সিরিজটি সমাপ্ত করলাম।আগের পোস্টগুলো একই নামে-১ ও ২ তে পাবেন।