আমাদের বাংলাদেশে আর যাই হোক বিড়ালের সংখ্যা অনেক বেশি। আমরা অনেকেই সখ করে বাসায় বিড়াল পালি। এতে আমাদের বিড়ালের কামড় খেতে হয় ।আজকে আমি বিড়াল নিয়েই আলোচনা ক। বিড়াল এমন একটি প্রাণী যা মানুষের পোষ মানে। মানুষের সাথে বন্ধুত্ব তৈরি করে। আমাদের দেশে অনেকে আছে যারা বিড়ালের ছোট কামড় খেয়ে ভয়ে ডাক্তারের কাছে যায়। আবার অনেকে আছে বড় কামড় খেয়ে ডাক্তারের কাছে যায় না পাত্তা দেয় না ।বিষয়টা চলুন দেখে আসি আসলে কি করা উচিত। আমাদের আগে নজর দিতে হবে কামড়ের উপরে যে কি পরিমান কামড় দিয়েছে ছোট না বড়। অনেক সময় দেখা যায় বিড়ালের আচর চামড়ার একেবারেই উপরিভাগে থাকে রক্ত বের হয় না গড়িয়ে পড়ে না এসব ক্ষেত্রে সাধারণত ভয় না পেলে চলে।আবার অনেক সময় দেখা যায় বিড়ালের আচর গভীর ক্ষতের সৃষ্টি করেছে এ ক্ষেত্রে সচেতন হওয়া খুব জরুরি আর বিড়াল কামড়ালে তা নিয়ে অবশ্যই অবহেলা করবেন না। বিড়াল কামড়ালে ওই স্থানে সাবান পানি দিয়ে পরিষ্কার কর বিড়াল কামড়ালে যে ভাইরাস দেহে প্রবেশ করে সে ভাইরাস এর চারপাশে স্নেহ জাতীয় পদার্থের আবরণ থাকে যা সাবান পানির মাধ্যমে খুব সহজেই ধ্বংস হয়ে যায়।যা অনেক অ্যান্টিবায়োটিক সলিউশন করতে পারে না। তাই যত গভীর হোক না কেন তা সাবান পানি দিয়ে ধুয়ে নিন।
আপনাকে এন্টিবায়োটিকও ব্যবহার করতে হবে কারণ এন্টিবায়টিক এখান থেকে আর কোন রোগ ছড়াতে দিবেনা তরল অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার যেমন স্যাভলন ডেটল ইত্যাদি ।যদি বেশি রক্তপাত না হয় সে ক্ষেত্রে ছোট ব্যান্ডেজ ব্যবহার করতে পারেন। তবে লক্ষ রাখুন যেন রক্ত বন্ধ হলেই ব্যান্ডেজ খুলে দেওয়া হয়। কারণ ক্ষতস্থান বাতাস যাওয়া আসা করলে সেখানে জীবাণু থাকতে পারে না। সংক্রমিত স্থানটি লক্ষ করুন যদি খুব গভীর না হয় তাহলে লক্ষ করুন যেন অন্য কোন জীবানু এতে বাসা না বাঁধে। সংক্রমণ বোঝার উপায় হল ক্ষতস্থান যদি ফুলে যায় লাল হয়ে যায়। জ্বর হলো কিনা লক্ষ্য কর। বিড়ালের কামড়ে ক্ষত যদি গভীর হয় বা রক্ত চুয়ে পড়ে তাহলে দ্রুত ডাক্তারের কাছে যান। এই বিষয়টাকে অবহেলা করবেন ।
ভালো থাকবেন নিজের খেয়াল রাখবেন