আশা করি সবাই ভালো আছেন।এই লকডাউনের সময় বাসায় বসে থাকতে আমাদের অনেক বোরিং লাগে।বন্ধুদের সাথে দেখা করতে পারি নারাস্তায় বের হতে পারি না,স্কুল-প্রাইভেটে যেতে পারি না।সবকিছু ছেরে এখন সারাদিন বাসায় থাকতে হয়।এবং আমরা এখন প্রচুর সময় পাচ্ছি কাজ করার জন্য।তাই আমাদের বোরিং লাগে।এককাজ করতে আর ভালো লাগে না।সময় যেনো আর শেষ হয় না।কিন্তু কিভাবে এই বোরিংভাবটা দূর করা যায়।সেই নিয়ে আজকে আমি আপনাদেরকে ৩ টি টিপ্স দেবোঃ
১.বন্ধুদের সাথে ভিডিওকল করে কথা বলতে পারেন।গুগল ড্রাইভের মাধ্যমে অনেক বন্ধু একসাথে কথা বলতে পারেন বা ফেসবুকেও কথা বলতে পারেন।তাহলে আপনার মনটা অনেক রিফ্রেশ হয়ে যাবে।বোরিংভাব কমে যাবে।আর বন্ধুদের সাথেও আড্ডা দেওয়া হয়ে যাবে।আর বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিলে বোরিং কখনোই লাগে না।এবং প্রতিদিনই এই কাজটি করতে পারেন।
২.আপনার ভালোলাগা জিনিসগুলো করুন।আমরা প্রছন্দের জিনিসগুলো যত করতে পারি ততই ভালো লাগে।মনে হয় আরও করি।এইসব প্রছন্দের কাজে কখনো বোরিংভাব আসে না।তাই আপনি আপনার প্রছন্দের কাজটি প্রতিদিন একটু একটু করুন।যেমন:গেমস খেলা,ড্রয়িং করা,মুভি দেখা।এইগুলোও আপনার জ্ঞানকেও বৃদ্ধি করবে।অন্যদিকে অলসতাও একদম চলে যাবে।
৩.প্রতিদিন একটু হাটাহাটি করুন।তবে অবশ্যই এটা বারান্দায় বা ছাদে হতে হবে।বা আপনি যখন বোরিং লাগে তখন গানো গাইতে পারেন।গান গাইলেও মনে সতেজতা চলে আসে।আপনার প্রছন্দের গানগুলো আপনি গাইতে পারেন।দেখবেন ৫ মিনিটেই কোথায় যে অলসতা চলে যায় কল্পনাও করতে পারবেন না।আর লেখাপড়াটা প্রতিদিন একটু একটু করতে হবে।এখন একটু সময় বারিয়ে পড়ার চেষ্টা করবেন।এই জন্য আপনি প্রতিদিন অনলাইনে ক্লাস করতে পারেন।
এই ৩ টি টিপ্স হলো বোরিংভাবকে দূর করার জন্য।আমি যখন অলসতা এসে পড়ে কোনো কাজে তখন আমি এই টিপ্সগুলো করি দেখি কাজ করার নতুন শক্তি ফিরে পাই।তাই এইগুলা পালন করুন দেখবেন এই লকডাউনেও আপনি অসচ্ছলতা হবেন না।তবে অবশ্যই মানবেন যতই বোরিংভাব আসুক বাসার বাইরে একদম বের হবেন না।
নিকে ঘরে থাকুন,নিজে সুস্থ থাকুন,সবাইকে সুস্থ রাখুন।