ভাইরাসে আক্রান্ত হলে হয়ত ভাইরাস নিধন করে পিসিটিকে পুনরায় কার্যপযোগী করে তোলা যায় কিন্তু তাতে করে মূল্যবান অনেক সময় নষ্ট ছাড়াও প্রয়োজনীয় অতি মূল্যবান প্রোগ্রাম বা তথ্য ও হারিয়ে যেতে পারে। ইংরেজিতে একটি প্রবাদ আছে ( Prevention is always better then cure) অর্থাৎ প্রতিরোধ সব সময় প্রতিকারের চেয়ে উত্তম। তাই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রতিকারের চেয়ে আক্রান্ত না হওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। কম্পিউটার ভাইরাস থেকে পিসিকে সুরক্ষিত রাখা খুব কঠিন কাজ নয়। সাধারণ কিছু প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এবং পূর্ব সতর্কতা নিলে ভাইরাস নামক ভয়ানক শত্রুর হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। নিম্নে ভাইরাস থেকে রক্ষা পাওয়ার কয়েকটি উপায় নিয়ে আলোচনা করা হলো :
১.একান্ত প্রয়োজন না হলে বাহিরের কোনো ডিস্ক ব্যবহার না করা। ডিস্কের মাধ্যমেই ভাইরাস সব চেয়ে বেশি ছড়ায়।
২. বিশেষ প্রয়োজনে বাহিরের ডিস্কেট ব্যবহার করার আগে অবশ্যই আপডেটেড ভাইরাস স্ক্যানার দিয়ে স্ক্যান করে নেওয়া।
৩. সব সময় এন্টিভাইরাস সফটওয়্যারের আপডেটেড ভার্সন ব্যবহার করা।
৪. প্রতিদিন কাজের শেষে প্রয়োজনীয় ডেটার ব্যাকআপ রাখা।
৫. অধিকাংশ ভাইরাস সাধারণত. com এবং . exe ফাইলকে আক্রান্ত করে থাকে। তাই সব প্রোগ্রামের com এবং exe ফাইলসমূহকে Read Only করে রাখা।
৬. মাঝে মাঝে এন্টিভাইরাস দিয়ে স্ক্যান করা।
৭. ইন্টারনেট, বিবিএস ব্যবহারে সতর্ক হওয়া। ভাইরাস স্ক্যানিং করে ইন্টারনেট থেকে ফাইল ডাউন লোড করা।
৮. ই – মেইলের অপরিচিত এটাচমেন্ট ফাইল খোলার ব্যাপারে সতর্ক হওয়া।
৯. অযথা অপ্রয়োজনীয় ফ্রি সফটওয়্যার কিংবা ডেমো সফটওয়্যার ব্যবহার না করা।
১০. কম্পিউটার স্টার্টআপে ভাইরাস প্রতিরক্ষক গার্ড সক্রিয় রাখা।
১১. পাইরেটেড সফটওয়্যার ব্যবহার না করা।
১২. সম্ভব হলে বছরে অন্তত একবার ব্যবহৃত হার্ডডিস্কটি লো লেবেল ফরম্যাট করে নতুন করে সব প্রোগ্রাম ইন্সটল করা।
মেলওয়্যার (Malware) এ আক্রমণ হতে প্রতিকার :
১. পিসিকে মেলওয়্যার আক্রমণ থেকে রক্ষার প্রধান উপায় হলো কম্পিউটারে সর্বদা আপগ্রেড এন্টিভাইরাস ইনস্টল করা।
২. প্রতিনিয়ত নতুন নতুন মেলওয়্যার তৈরি হচ্ছে এবং ইন্টারনেটের মাধ্যমে এর বিস্তার ঘটছে তাই প্রতিটি এন্টিভাইরাস অল্প সময়ের ব্যবধানে এদের নতুন নতুন আপডেট অনলাইনে রিলিজ করে। সর্বদা এই আপডেটগুলো অনলাইনে চেক করে নিজের এন্টিভাইরাস প্রোগ্রামকে আপডেট রাখতে হবে।
৩. যে কোনো পাইরেটেড সফটওয়্যার বা ক্রটিপূর্ণ অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার থেকে বিরত থাকতে হবে। অজানা বা অচেনা কোনো অথারের সফটওয়্যার ইনস্টলের পূর্বে এর সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে তবে, তা ইন্সটল করা উচিত।
৪. ইন্টারনেটের ব্রাউজিং এর সময় সর্বদা এন্টিভাইরাস অন রাখা উচিত। ব্রাউজারে পপ –আপ – ব্লকার ব্যবহার করে বিভিন্ন অ্যাডওয়্যারের বিস্তার থেকে মুক্ত থাকা যায়।
৫. ইন্টারনেট থেকে কোনো সফটওয়্যার ডাউনলোডের পূর্বে এ সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে তা ইন্সটল করতে হবে।
৬. সোশ্যাল মিডিয়া সাইটগুলো ব্যবহারের সময় বিভিন্ন অফার, ই – মেইল, থার্ড পার্টি অ্যাপ্লিকেশন নিশ্চিত না হয়ে ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকতে হবে।
উপরিউক্ত সতর্কতা গুলো অনুসরণ করলে কম্পিউটারকে মেলওয়্যার আক্রমণ থেকে সুরক্ষিত রাখা সম্ভব।