মন ইংরেজিতে যাকে mind বলা হয়। আসলে মন কি বা মন কাকে বলে? ভালো করে চিন্তা করলে একটু ধাঁধায় পড়তে হয়। বহু প্রাচীন কাল থেকে মন নিয়ে গবেষণা চলে আসছে।
তবে মনের হদিস মেলা সত্যিই কঠিন একটি বিষয়। অতি নিকটতম মানুষও তার অতি কাছের বন্ধুর মনের হদিস পেতে হিমচিম খায়, সেখানে অন্য জনের কথা নাই বা বললাম। সত্যিকার অর্থে অনেক নিজে পর্যন্ত নিজের মনের খবর বুঝে উঠতে পারে না। মন এমনই। মনের এমনতর অবস্থার কথা চিন্তা করে মুনি ঋষি সাধকরা মনকে দমানোর জন্য গভীর বনে গিয়ে সাধনায় নিরত হন। এই সাধনায় তাঁরা হয়ত মনের গতিবিধি কিছুটা অবগত হন, তবে পুরোদমে তাঁদেরও মনের সম্পূর্ণ অবস্থা জানা সম্ভব হয় না।
মনের প্রকৃতি একেক জনের একেক রকম হয়। আর এটা স্থান কাল পাত্র ভেদে দ্রুত পরিবর্তন হয়। তবে সুস্থ দেহে সুস্থ মন হয়ে থাকে। আবার মন ভালো থাকলে সবকিছুই ভালো মনে হয়। কিন্তু অসুস্থ দেহে মন একেবারেই ভালো থাকে না। তাই সর্বদাই সুস্থ থাকার চেষ্ঠা করতে হবে।
প্রকৃতির বিষয়বস্তু মনকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। সুন্দর প্রাকৃতিক দৃশ্য মনকে সতেজ রাখে। তাইতো ভ্রমণপিপাসুরা প্রকৃতির রাজ্যে বিচরণ করতে দেশ-দেশান্তরে ঘুরে বেড়ায় প্রকৃতির সান্নিধ্যে আসতে। তারা প্রকৃতির সৌন্দর্য্য উপভোগ করতে লক্ষ টাকা খরচ করতে দ্বীধাবোধ করে না। আর প্রকৃতির অপার সৌন্দর্য্য মানুষের জন্যই তো সৃষ্টি।
মনের খোরাক যোগাতে চাই প্রকৃতির অপার মহিমা আবিষ্কার করা। মনকে নিয়ে মানুষের গবেষণার শেষ নেই। মানুষ যতদিন আছে মানুষের মনের গভীরতা খোজার আকাঙ্খাও ততদিন থাকবে।
মন তুমি বড়ই মহিয়াণ। মনের মহণীয়তা মনীষিরাই একমাত্র উপলব্দি করতে পারে। যুগ যুগ ধরে চলবে মনের স্বকীয়তা জানার আকাঙ্খা। সবাই মনের দিক দিয়ে উদার ও সহনশীল হোক এই আকাঙ্খাই লেখা আজকের মত এখানেই শেষ করছি। সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ।