মা কে ভালো রাখুন
মা শব্দটি শুনলেই কেমন যেন শিউরে উঠে হৃদয়। কি এক অদ্ভুদ মোহমায়া, পৃথিবীর কোথাও যেন এমন শান্তির পরশ নেই। মা যেমন আমাদের শান্তির পরশে রাখে, তেমনি মা কে ও আমাদের শান্তির পরশে রাখতে হবে।
কখনো কি মাকে জিজ্ঞেস করেছি, মা তোমার কোন খাবারটা সবচেয়ে প্রিয়? অথবা কোন রংয়ের কাপড় টা তোমার ভালো লাগে? যদি জিজ্ঞেস করে না থাকি তাহলে আজকেই মাকে জড়িয়ে ধরে জিজ্ঞেস করেন, দেখবেন পৃথিবীর সবচেয়ে বড় শান্তিটা আপনি পেয়েছেন।
মায়ের সাথে খেতে বসে, একসাথে নিজের প্লেটের মাছ/মাংসের টুকরাটা মায়ের প্লেটে দিয়ে দিন, দেখবেন সবচেয়ে ভালো লাগাটা আপনার মধ্য ধরা দেবে।
মায়ের বিছানার পাশে একটু শুয়ে দেখুন, মায়ের কাছে শুয়ে নিজের কথা গুলো একটু বলতে চেষ্টা করুন, আর মায়ের কি কোনো কষ্ট আছে কি না,সে বিষয়ে একটু কথা বলুন, দেখবেন মায়ের ভেতর থেকে এমন কিছু শব্দ বেরিয়ে আসবে যা থেকে জীবনের সবচেয়ে বড় দু:খটাও ঘুচে যেতে পারে।
মায়ের কাছ থেকে গল্প গুলো শুনুন, আপনার গল্প গুলো ও বলেন মায়ের কাছে, এতে জানা হবে জীবনের সব না বলা কথা, আপনার মা ও থাকবে খুশী, আপনিও পাবেন শান্তি।
আপনার মায়ের চেহারার দিকে তাকান ভালো করে, দিনশেষে মায়ের কাছে কিছু জানতে চেষ্টা করুন তার প্রয়োজনীয়তার কথা, তার আবেগের কথা, তার স্বপ্নের কথা, তার সঙ্গী হিসেবে নিজেকে গড়ে তুলুন, চাওয়া পাওয়ার দোলা চালে হিসেব রাখুন, মাকে কষ্ট দিবেন তো পৃথিবী কষ্ট পাবে, আর পৃথিবী কষ্ট পেলে ধ্ধংস হয়ে যেতে পারেন আপনি।
জীবনের সময় গুলোকে মাকে পাশে রাখুন, কোথাও হারিয়ে গেলে দেখবেন কখনো খুঁজে পাবেন না, রত্ন কে আকড়ে ধরে রাখতে শিখুন, কখনো অবহেলায় ভাসিয়ে দিবেন না, যদি অযত্ন করেন তাহলে এক পৃথিবীর মূল্যে আপনাকে তা শোধ করতে হবে।
মায়ের কষ্টের কথা গুলো স্মরণ করুন, মাকে তার প্রাপ্র্য সম্মানটা দিতে শিখুন, তাহলে পৃথিবীর কাছে আপনি সম্মান পাবেন।
আপনার মাকে খুব ছোট জিনিস গুলো দিয়েও খুশী করতে পারবেন, আপনার একটা কথার মাধ্যমে জয় করতে পারেন তাকে, তবে আর দেরী কেন, সহজ কিছু ভালোবাসাময় কথা দিয়ে মন জয় করুন মায়ের, জীবন হবে মধুময়।
কথার মাধ্যমে মায়ের মন যেমন জয় করতে পারেন, তেমনি ছোট্ট একটি কথার মাধ্যমে আপনার মাকে সবচেয়ে বড় দু:খটা দিয়ে ফেলতে পারেন, তাই কথা বলুন অতি ভালোবাসার সাথে। আপনার মা খুশী থাকলে, আপনি সুখী,না হলে জীবন তিক্ত।