বর্তমানে মাদকাসক্তি আমাদের সমাজে এক সর্বনাশা ব্যাধিরূপে বিস্তার লাভ করেছে। দুরারোগ্য ব্যাধির মতোই তা তরুণ সমাজকে গ্রাস করেছে। এর তীব্র দংশনে ছটফট করছে তরুণ ও যুব সমাজ। এর ভয়াবহ পরিণতি দেখে আজ প্রশাসন বিচলিত, অভিভাবকেরা আতঙ্কিত, চিকিৎসকেরা দিশেহারা।
মাদকদ্রব্যের এই সর্বনাশা ব্যবহারের গতিরোধ করা একান্ত আবশ্যক। পশ্চিমা বিশ্বে যে সমস্যা এখন তুঙ্গে,আমাদের দেশে সেই তুলনায় এখনো তা প্রাথমিক পর্যায়ে বলা যায়।তাই শুরুতেই সমস্যার মোকাবেলা করা উচিত।আর এ সমস্যা মোকাবেলায় নিম্নলিখিতভাবে করা যেতে পারে-
(১) মাদকাসক্তি আসলে চিকিৎসা বিজ্ঞানের আওতায় পড়ে না। এটি একটি সামাজিক ব্যাধি।তাই শুধু ডাক্তারের ব্যবস্থাপত্রের ওপর ভরসা না করে বিষয়টি সামাজিক দিক থেকে বিবেচনা করতে হবে।
(২) সাংস্কৃতিক দিক থেকে তরুণদের আকর্ষণযোগ্য আদর্শ কার্যক্রম সামনে তুলে ধরতে হবে যা তাদের একঘেয়ে গতানুগতিকতার নিস্প্রভ পরিবেশ থেকে টেনে আনবে উজ্জ্বল ও আকর্ষণীয় মেরু বলয়ের দিকে।
(৩)মাদক দ্রব্য চোরাচালান প্রতিরোধ কর্মসূচিকে আরো জোরদার করতে হবে।
(৪) মানবিক মূল্যবোধ গঠন ও পরিবেশ যা যুবসমাজকে অনেকটা মাদকাসক্তির হাত থেকে রক্ষা করবে।
(৫) বেকার যুবকদের জন্য কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে হবে। এতে তারা মাদকদ্রব্য সেবনের দিকে না গিয়ে যার কর্মসংস্থানে মনোযোগী হবে।
(৬) আমাদের যুব সমাজকে অবশ্যই তাদের পিতা-মাতার কথা মত চলতে হবে।
(৭) মাদকদ্রব্য ও মাদকাসক্তদের ভয়াবহ অবস্থার দিকগুলো যুব সমাজের নিকট তুলে ধরতে হবে।
(৮) যারা মাদক দ্রব্য গ্রহণ করে যতটা সম্ভব তাদের থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করতে হবে।
হে সুধী সচেতনমহল, হে তরুণসমাজ, আসুন আমরা সচেতন হই,সতর্ক হই, ঝাঁপিয়ে পড়ি এই মরণ নেশার বিরুদ্ধে
- কারণ আমরা জানি যে আমাদের কাছে আমাদের জীবনের চেয়ে প্রিয় আর কিছুই নেই। আর এ জীবনকে সুন্দরভাবে বাঁচিয়ে তোলার দায়িত্ব আমাদেরই।