২৪ জুন ১৯৮৭ সাল,আর্জেন্টিনার রোজারিওতে হোর্হে হোরাসিও মেসি এবং সেলিয়া মারিয়া কুচ্চিত্তিনি এর ঘরে জন্মগ্রহন করলেন এক শিশু, ছোট বেলায়ই যে গ্রোথ হরমোন সংক্রান্ত জটিলতায় আক্রান্ত হন।কিন্তু সেই জটিলতা তার জীবনে বাধা হয়ে দাড়াতে পারে নি।
পাঁচ বছর বয়সে বাবার পরিচালনায় স্থানীয় ক্লাব গ্রান্দোলির হয়ে ফুটবল খেলা শুরু করেন।তারপর ওল্ড বয়েজ ক্লাব, স্প্যানিশ ক্লাব বার্সেলোনা পাড়ি দিয়ে জায়গা করে নেন আর্জেন্টিনা জাতীয় দলে আক্রমন ভাগের খেলোয়াড় হিসেবে।হয়ে ওঠেন ফুটবল জাদুকর।বর্তমানে আর্জেন্টিনা জাতীয় দল এবং বার্সেলোনার অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
তিনি আর কেউ নন ফুটবল জাদুকর,বর্তমান বিশ্ব তারকা লিওনেল মেসি।আজ তার ৩৩তম জন্মদিন।প্রথমেই তার প্রতি ভালোবাসা ও শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করছি।
মাত্র ১১ বছর বয়সে মেসির গ্রোথ হরমোনের (growth hormone) সমস্যা ধরা পড়ে।এ চিকিৎসার জন্যে প্রতিমাসে প্রয়োজন ছিল ৯০০ মার্কিন ডলার।কিন্তু সেটা তার জীবনকে আটকাতে পারেনি।মেসিকে অনেকেই আর্জেন্টিনার সর্বকালের সেরা খেলোয়ার ও মনে করেন।
তিনি স্পেনের সর্বোচ্চ স্তরের পেশাদার ফুটবল লীগ প্রতিযোগিতা লা লিগা তে ফুটবল ক্লাব বার্সেলোনার হয়ে খেলেন।
মেসি আর্জেন্টিনার ইতিহাসের সর্বকালের সর্বোচ্চ গোলদাতা।
তার সেরা ১৩ কীর্তি:
১.সর্বোচ্চ ফিফা ব্যালন ডি অর পুরস্কার: 6
(২০০৯,১০,১১,১২, ২০১৫, ২০১৯)
২.সর্বোচ্চ ইউরোপীয়ান গোল্ডেন শু: 6
৩.এক বছরে সর্বোচ্চ ৯১ গোলের জন্য গিনেস বিশ্ব রেকর্ড পুরস্কার ২০১২ সালে।
৪.আর্জেন্টিনার সর্বকালের সর্বোচ্চ গোলদাতা: ৬১ গোল
৫.একমাত্র আর্জেন্টাইন হিসেবে সকল কনমেবল দলের বিরুদ্ধে গোল
৬.আর্জেন্টিনার হয়ে বিশ্বকাপ খেলা সর্বকনিষ্ঠ খেলোয়াড় ও গোলদাতা: ১৮ বছর ৩৫৭ দিন।বিশ্বকাপ-২০০৬।
৭.সর্বাধিক ১১ বার আর্জেন্টিনার সেরা ফুটবলারের পুরস্কার। (২০০৫, ২০০৭,৮,৯,১০,১১,১২,১৩, ২০১৫,১৬,১৭)
৮. লা লিগার সর্বোচ্চ (৩৮৫) গোলদাতা।
৯.একমাত্র খেলোয়াড় হিসেবে লা লিগায় ৩৫০ গোল।
১০. লিগায় সর্বোচ্চ ৩০টি হ্যাটট্রিক।
১১.ফিফা ফিফপ্রো বিশ্ব একাদশে সর্বোচ্চ অন্তর্ভুক্তি: ১১ বার (২০০৭,০৮,০৯,১০,১১,১২,১৩,১৪,১৫,১৬,১৭)
১২.”দ্য মেশিন অফ ৮৭” খ্যাতি
১৩.বার্সার জার্সিতে ৪০০ ম্যাচে ৩৬৫ গোল।
অবশেষে তার জন্মদিনে আবারও তার প্রতি শুভেচ্ছা ও ভালোভাসা প্রকাশ করছি।