আশা করি সবাই ভালো আছেন।বর্তমানে চাকরির বেকারত্ব দূর করার জন্য অনেক ছেলে-মেয়ে ফ্রিল্যান্সিং করে আয় করছেন।এটা নিসন্দেহে একটা ভাল দিক বেকারত্ব দূর করার জন্য।আবার অনেক ছেলে মেয়ে ফ্রিল্যান্সিং করে নিজের কলেজ,ভার্সিটিতেই নিজের খরচ নিজে বহন করছে।বাংলাদেশে ৬ লক্ষ ফ্রিল্যান্সার রয়েছে।যারা প্রতি মাসে অনলাইন হাজার হাজার ডলারও ইনকাম করে থাকে।কিন্তু ফ্রিল্যান্সিং যারা করেন তারা সবাই ল্যাপটপ দিয়ে ইন্টারনেট কানেকশনের মাধ্যমে করে থাকেন।এবং অনেকেরই প্রশ্ন মোবাইল দিয়ে কি এইসব মার্কেটপ্লেসে কাজ করা যায় না।বা প্রফেশনাল ফ্রিল্যান্সার হওয়া যায় না।তাদের জন্যই আজকে কিছু বলবোঃঃ
আমি বলবো মোবাইল দয়ে ফ্রিল্যান্সিং করা সম্ভব নয়।এখন অনেকেই অনেক যায়গায় দেখেছেন যে মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করা সম্ভব।ফ্রিল্যান্সিং এর যেই কাজগুলো রয়েছে গ্রাফিক্স ডিজাইন,লগো ডিজাইন,ওয়েব ডেভেলপমেন্ট এইসব কাজগুলো আপনি ভালো মানের ল্যাপটপ ছারায় করতে পারবেন না।তাহলে মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে করবেন।আবার অনেক রকম কাজ আছে যেমন আর্টিকেল লেখা,কন্টেন্ট রাইটিং।এই ধরনের কাজগুলো যদিও মোবাইল দিয়ে করা সম্ভব।তবে আপনি যদি এইকাজ মোবাইল দিয়ে করতে যান তাহলে কয়েকদিনের মধ্যে আপনার মোবাইলে অনেক সমস্যা দেখা দিবে।তাই ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য একটি ভালোমানের ল্যাপটপ বা কম্পিউটার কিনতে হবে আপনাকে।আপনি মোবাইল দিয়ে বিভিন্ন সাইটে বা এপ্পসে কাজ করে প্রতিমাসে কিছু টাকা ইনকাম করতে পারবেন।কিন্তু ফ্রিল্যান্সিং করার ভালো মানের ল্যাপটপ বা ডেক্সটপ এবং ভালো ইন্টারনেট স্পিড ছারা সম্ভব না।কারন বর্তমানে ফ্রিল্যান্সারদের মধ্যে কম্পিটিশনটা বেশি।এই বিশাল কম্পিটিশনে আপনি শুদ্ধ ল্যাপটপ কিনলে আর ইন্টারনেট স্পিড থাকলেই চলবে না।আপনি যেইটা নিয়ে কাজ করবেন সেটা আগে শিখতে হবে।বাংলাদেশের ফ্রিল্যান্সিং শেখার ইন্সটিটিউট নিয়ে আমি একটা পোষ্ট করবো।সেই পোষ্ট আপনি দেখতে পারবেন কোথা থেকে ফ্রিল্যান্সিং শিখতে পারবেন।আর তারপর ক্লায়েন্ট ম্যনেজ করবেন তখন কাজ করে ইনকাম করতে পারবেন।
তাই পরিশেষে আমি অবশ্যই বলবো ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য মোবাইল না বরং ল্যাপটপ বা ডেক্সটপ দিয়ে কাজ করতে পারবেন।