স্বাধীন বাংলাদেশের রূপকার শেখমুজিবর রহমানের সাথে আরো যে কয়জন ব্যাক্তি জড়িত ছিলো তাদের সবাইকে আমরা কমবেশি চিনি। এরাও শেখমুজিবের মত স্বপ্ন দেখেছিলেন বাংলা মাতৃকার। হ্যা , আমরা কথা বলছি আমাদের জাতীয় চার নেতার। চলুন একনজরে দেখে নেওয়া যাক তাদের পরিচিতিঃ
১। সৈয়দ নজরুল ইসলামঃ সৈয়দ নজরুল ইসলাম ছিলেন একজন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ এর শীর্ষ নেতা এবং সফল সাংগঠনিক নেতা। তিনি যুদ্ধ চলাকালিন মুজিবনগর সরকারের একজন সফল উপ-রাষ্ট্রপতি ছিলেন।বঙ্গবন্ধুর অনুপস্থিতিতে মুজিবনগর সরকারে রাষ্ট্রপতি ছিলেন। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ কে বেগবান করার জন্য তিনি যে সকল কর্মসূচি গ্রহন করেছিলেন তা মুক্তি্যুদ্ধে বিস্তর ভাবে প্রভাব ফেলে। সেজন্য সৈয়দ নজরুল ইসলাম কে মুক্তি যুদ্ধের একজন শ্রেষ্ট পরিচালক এবং সংগঠক বলা হয়। তার জন্ম ১৯২৫ সালে।তিনি কিশোরগঞ্জে জন্ম গ্রহন করেন যা তৎকালীন বেঙ্গলপ্রেসিডেন্সি, ব্রিটিশ ইন্ডিয়ার অন্তর্ভূক্ত ছিলো। রাজনৈতিক দিক থেকে তিনি বাংলাদেশ কৃষক-শ্রমিক আওামীলীগ কে সমর্থন করতেন। তার ছেলেমেয়েদের মধ্যে সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, সৈয়দ জাকিয়া নূর, সৈয়দ রাফিয়া নূর এর নাম উল্লেখযোগ্য।
২। তাজ উদ্দিন আহমেদঃ মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি ছিলেন বাংলাদেশ আওামীলীগের সাধারণ সম্পাদক। তিনি ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখমুজিবর রহমানের ঘনিষ্ঠ সহচর। ১৯৭১ সালের ১১ ই এপ্রিল তিনি বেতার ভাষনে মুজিবনগর সরকার গঠনের সংবাদ প্রচার করেন। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে তিনি উপদেষ্টা কমিটির সফল সদস্য ছিলেন। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে তার নাম গভীর ভাবে জড়িত। মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনের জন্য গঠিত মুজিবনগর সরকারের তিনি ছিলেন সফল প্রধানমন্ত্রী।
৩। ক্যাপ্টেন এম. মনসূর আলীঃ ক্যাপ্টেন এম. মনসূর আলী আওামীলীগের একজন শীর্ষ নেতা এবং বঙ্গবন্ধু শেখমুজিবর রহমানের একজন ঘনিষ্ঠ সহচর। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে তিনি মুজিবনগর সরকারের অর্থমন্ত্রী ছিলেন। তিনি ১৯১৭ সালের ১৬ই জানুয়ারি সিরাজগঞ্জে জন্ম গ্রহন করেন। তিনি ৩ রা নভেম্বর ১৯৭৫ সালে ঘাতকদের গুলির আঘাতে ঢাকা সেন্ট্রাল জেলে মৃত্যুবরণ করেন। তিনি বাংলাদেশ সরকারে র ৩য় সফল প্রধানমন্ত্রী।
৪। এ.এইচ.এম কামরারুজ্জামানঃ এ.এইচ.এম কামরারুজ্জামান বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের একজন শীর্ষ নেতা। তিনি মুজিবনগর সরকারে স্বরাষ্ট্র, ত্রাণ, পূর্নবাসন মন্ত্রী ছিলেন। ভারতে আশ্রয় নেওয়া লক্ষ লক্ষ শরনার্থীদের ত্রাণ সংগ্রহ , ত্রাণ শিবিরে তা বিতিরণ, পরবর্তিতে শরনার্থীদের পূর্নবাসন ইতাদি গূরত্বপূর্ন দায়িত্ব পালন করেছিলেন। তিনি ১৯২৬ সালে জন্ম গ্রহন করেন।রাজনৈতিক দৃষ্টি ভঙ্গীতে তিনি আওয়ামীলীগকে সমর্থন করতেন। তার পুত্র খাইরুজ্জামান লিটন রাজশাহী সিটি কর্পরেশানের সফলতম মেয়র। কামরারুজ্জামানের পুর্ণ নাম ছিলো আবুল হাসনাত মুহম্মদ কামরারুজ্জামান। মানবিক দিক দিয়ে বিবেচনা করলে এ.এইচ.এম কামরারুজ্জামান মুজিবনগর সরকারে সর্বশ্রেষ্ঠ পদে ভূমিকা পালন করেছেন। তিনি ১৯৭৫ সালে ৩রা নভেম্বর ঢাকার সেন্ট্রাল জেলে ঘাতকদের হাতে মৃত্যু বরন করেন।
এছাড়া এই চার নেতার পাশাপাশি অনান্য আরো অনেক মহান নেতা-নেত্রীদের অবদান রয়েছে। তাদের মধ্যে রয়েছে মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাষানী, অধ্যাপক মোজাফফর আহমেদ, কমিউনিস্ট পার্টির মনি সিংহ উল্লেখ যোগ্য। বাঙ্গালি তাদের শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করবে। আমরা চেষ্টা করেছি সংক্ষিপ্ত সময়ের মধ্যে তথ্যগুলো তুলে ধরার। তাই ভুল হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন ।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির মাধ্যমে কর্মসংস্থান।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির সবচেয়ে বড় এবিং অন্যতম হাতিয়ার হচ্ছে কম্পিউটার এবং ইন্টারনেট। আর এই ইন্টারনেটের কল্যাণে ককর্মসংস্থানের বিশাল বাজার...