বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম
আসসালামু আলাইকুম বন্ধুরা। আশা করছি আপনারা সবাই ভালো আছেন আল্লাহর অশেষ রহমতে আমিও ভালো আছি আলহামদুলিল্লাহ।আর ভালো আছি বলেই আপনাদের জন্য লিখতে বসলাম।
কখনো ভেবে দেখেছেন আপনার মৃত্যুর পর কী হবে আপনার পরিবারের ? কিংবা হঠাৎ যদি আপনি অর্থ উপার্জনে অক্ষম হয়ে পড়েন ? এরকম অবস্থার নিষ্কৃতি পাওয়ার উদ্দেশ্যে মানুষ জীবন বীমার উদ্ভাবন করেছে। জীবন বীমা মৃত মানুষের জীবন ফিরিয়ে দিতে পারে না , এটি সম্ভব ও নয় ।তবে চলে যাওয়া মানুষটির শূন্যতার ফলে সৃষ্ট আর্থিক ঝুঁকি থেকে কিছুটা নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারে জীবন বীমা ।
চলুন জেনে নেয়া যাক জীবন বীমা কি এবং এটা কিভাবে সহযোগিতা করে।জীবন বীমা কি ?
১৯৩৮ সালের বীমা আইন অনুযায়ী ,” যে বীমা চুক্তি অনুযায়ী বীমাগ্রহীতার মৃত্যু হলে অথবা জীবনের উপর কোন ঘটনা সংঘটিত হলে তার উত্তরাধিকারীদের অথবা তাকে নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ প্রদানের প্রতিশ্রুতি দেয়া হয় তাকে জীবন বীমা বলে ” । সহজ ভাষায় বলতে গেলে প্রিমিয়ামের বিনিময়ে আপনার মৃত্যুর বা উপার্জন অক্ষমতায় আপনার পরিবারকে আর্থিকভাবে সহায়তা করবে জীবন বীমা ।জীবন বীমা কিভাবে আপনাকে সহযোগিতা করবে ?
জীবন বীমার প্রধান সাহায্য হলো এটি আপনাকে বা আপনার পরিবারকে আর্থিকভাবে সহায়তা করবে । সঞ্চয় বৃদ্ধি করবে। ব্যক্তিগত ও পারিবারিক কল্যানে কাজে লাগবে , যেমন মেয়াদ শেষে প্রাপ্ত অর্থ দিয়ে জমি ক্রয় করতে পারেন ব্যবসায় স্থাপন করতে পারেন । এটি আপনার উপার্জন বন্ধ হয়ে গেলে অবলম্বন হবে । অন্যের কাছে সাহায্য চাইতে হবে না আপনাকে । সর্বোপরি আপনার সন্তানদের জন্য আপনি একটা নিরাপদ ভবিষ্যত তৈরি করে যেতে পারবেন এই জীবন বীমার মাধ্যমে ।কিভাবে করবেন জীবন বীমা ?
বীমা প্রতিষ্ঠান বা এজেন্ট থেকে ফরম সংগ্রহ করে তা পূরণ করে সংশ্লিষ্ট তথ্য ও ডাক্তারি পরীক্ষার রিপোর্ট উপস্থাপন করতে হবে। মনে রাখবেন আপনার দেয়া তথ্য সম্পূর্ণ সঠিক হতে হবে । নতুবা আপনার বীমা আবেদনটি খারিজ হয়ে যাবে । বীমা চুক্তি সম্পাদনের পর বীমা প্রিমিয়াম বা বীমা কিস্তি প্রদানের মাধ্যমে আপনার জীবন বীমা চুক্তিটি সচল রাখবেন । বীমা প্রিমিয়াম বা কিস্তি আপনি এককালীন দিতে পারেন , নির্দিষ্ট মেয়াদে দিতে পারেন কিংবা প্রতি মাসে বা নির্দিষ্ট সময় পর পর ও দিতে পারেন ।
উল্লেখ্য জীবন বিমা কয়েক ধরনের রয়েছে। তবে সবচেয়ে বেশি দেখা যায় মেয়াদি জীবন বীমা ও আজীবন বীমা ।
মেয়াদি জীবন বীমায় নির্দিষ্ট সময়ের জন্য অর্থ জমা রাখা হয় ।অনেকটা স্থায়ী ব্যাংক হিসাবের মতো । তবে মেয়াদের শেষ হওয়ার আগেই যদি বীমা গ্রহীতার মৃত্যু হয় তবে তার আর্থিক সহায়তা তখনই প্রদান করা হয় ।
আজীবন বীমার ক্ষেত্রে শুধুমাত্র বীমা গ্রহীতার মৃত্যুর পর বীমাচুক্তির অর্থ পরিশোধ করা হয়।আজকের আর লিখছি না।আমি যতটুকু জানি আপনাদের কে জানালাম। ভুল হলে ক্ষমা করবেন আর ভালো লাগলে লাইক, কমেন্ট ও শেয়ার করতে ভুলবেন না। এতক্ষণ আমার সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ।
আল্লাহ হাফেজ।
অনুকরণ নয়; বরং অনুভবেও জীবনটাকে এগিয়ে নিতে হয়।
কখনো ভেবে দেখেছেন কি? হাজারো সমস্যা মোকাবেলা করে টিকে থাকা এই আমরা যখন কোন সমস্যার মুখোমুখি হই তখন সমাধানের পথ...