আসসালামু আলাইকুম। প্রিয় পাঠক পাঠিকা ভাই ও বোনেরা আশা করি ভাল আছেন।
আগের একটা পর্বে আপনাদেরকে জানিয়ে ছিলাম কিভাবে ঘরোয়া পদ্ধতিতে কিডনির সুস্থতা বা অসুস্থতা বুঝবেন।
আজ আমি আপনাদের কে জানাব কি কি ভুলের কারনে আপনি নিজের অজান্তে আপনার সাধের কিডনি গুলোর ক্ষতি করছেন।
☞তাহলে চলুন যেনে নেয়া যাকঃ
মানব দেহের অতি প্রয়োজনীয় ও গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হচ্ছে কিডনি।শরীরের বিপাকক্রিয়ায় উৎপাদিত সকল বর্জ্য কিডনির মাধ্যমে বাইরে বেরিয়ে আসে।কোন কারণে এই কিডনি ক্ষতিগ্রস্থ হলে আপনার আমার বেঁচে থাকা ই দূরূহ হয়ে পরবে।এক গবেষনায় জানা গেছে বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষের কিডনি অকার্যকারিতার হার দিন দিন বেড়েই চলছে। আর বাংলাদেশের স্বাস্থ অবকাঠামোর অবস্থা এতটা দুর্বল যে,এ প্রক্ষাপটে চিকিৎসা পদ্ধতি খুবই ঝুঁকিপূর্ণ।
বিশেষ করে, করোনা পরিস্থিতির এই সময়ে সামান্য ভূল জীবনের বিশাল দূর্ঘটনার কারন হয়ে দাড়াতে পারে।এ পরিস্থিতিতে সুস্থ থাকতে হলে জীবনযাপনে পরিবর্তন আনা সহ খাওয়া-দাওয়া ও সু-শৃঙখল জীবন যাপনে অভ্যস্ত হওয়া খুবই জরুরী।আর তা না করতে পারলে একটার পর একটা অসুখ লেগেই থাকবে জীবনে।
তবে এত সতর্কতা অবলম্বন করার পরে ও মারাত্বক কিছু ভুল আমরা করে বসি।যার ফলে নিজের অজান্তেই বড় ধরনের ক্ষতি করে ফেলি নিজের শরীরের।আমাদের ছোট ছোট কিছু ভুলের কারনে আমৃত্যু আমাদের এই বোঝা বয়ে বেড়াতে হয়।এমনকি মৃত্যু পর্যন্ত ঘটে যায়।
★★★এমনি ২/৩ টি ভুল সম্পর্কে চলুন জেনে নিইঃ
✰✰অতিরিক্ত লবন খাওয়া
আমরা অনেকেই অতিরিক্ত লবন খাই।খাওয়ার সময় প্লেটের পাশে আলাদা ভাবে লবণ না নিলে আমাদের খাওয়া টা যেন জমে না।কিডনি অতিরিক্ত সোডিয়াম নিষ্কাশন করতে পারে না।তাই অতিরিক্ত লবনের বাড়তি সোডিয়াম কিডনি থেকে অপসারিত না হয়ে কিডনি তে থেকে যায়।ফলাফল স্বরুপ নষ্ট হয়ে যেতে পারে আপনার কিডনি গুলো।
✰✰মদ্যপান
মদ্যপান ইসলামের দৃষ্টিতে সম্পুর্ণ হারাম।আর বিজ্ঞান বলছে মদ্যপান কিডনির জন্য সবথেকে মারাত্বক ক্ষতির কারন।কেননা কিডনি অ্যালকোহল নিষ্কাশন করতে পারে না এই অ্যালকোহল কিডনির কার্যক্ষমতা কমিয়ে দেয়।অতিরিক্ত মদ্যপানের কারনে সিরোসিসের মত মারাত্বক রোগের সৃষ্টি হয়।এই রোগে মৃত্যুর হার অনেক বেশি।
✰✰পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান না করা
কিডনি ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ কারন হল পরিমাণ মতো পানি পান না করা।কারন পানি পরিমান মতো পান না করলে কিডনি শরীরের বর্জ্য পদার্থ কে আলাদা করতে পারে না।ফলস্বরূপ কিডনি অকেজো হয়ে পরে এবং কর্মক্ষমতা হারিয়ে ফেলে।যার ভয়াবহ পরিনতি মৃত্যু ও ঘটতে পারে।
তাই আসুন সচেতন হই।জীবনে পরিবর্তন আনি।সুস্থ থাকি।
আরো পড়ুনঃচামচ দিয়ে কিডনির সুস্থতা পরীক্ষা করুন
আজ এ পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন।
আল্লাহ হাফেজ।
পেটের মেদ কমানোর সবচেয়ে কার্যকরী উপায় জেনে নিন
সুপ্রিয় পাঠক আমাদের অনেকেই আজকাল পেটে মেদ বা ভূড়ির সমস্যায় ভূগছেন। তাই আজ আমি আপনাদের সাথে পেটের মেদ বা ভূড়ি...