আসসালামু আলাইকুম,,আশা করি সবাই ভালো আছেন। আজকের আলোচনার বিষয় ”রুপচর্চার ক্ষেত্রে কেমিকেল পণ্য নাকি প্রাকৃতিক উপাদান? কোনটি বেশি উপাদেয়? ”
আমরা ২০২২ সালে অবস্থান করছি। বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কাজে আমরা কেমিকেল পণ্য সামগ্রী ব্যবহার করে থাকি। কিন্তু বিষয়টা যখন রুপচর্চার তখন একটু সাবধানতা অবলম্বন না করলে পরবর্তীতে নানা মুখী সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে। অনেকেই দ্বিমত পোষণ করতে পারেন কেমিকেল ও প্রাকৃতিক সাজসরঞ্জাম এর বিষয়ে।
কেউ কেউ বলতে পারেন যে কেমিকেল কসমেটিক্স দ্রুত কাজ করে কিন্তু প্রাকৃতিক উপাদান এতোটা দ্রুত কাজ করে না। কিন্তু আমি বলতে পারি,,, রুপচর্চার জন্য অবশ্যই প্রাকৃতিক উপাদানই অনেকাংশে শ্রেয়।
আসুন জেনে নিই রুপচর্চার ক্ষেত্রে কেমিক্যাল সামগ্রীর প্রভাব :
আমরা বর্তমানে ছেলে /মেয়ে উভয়ই নানারকম কসমেটিক্স সামগ্রী ব্যবহার করি। যেমন:ফেসওয়াস,ফেস ক্রিম ইত্যাদি।অনেকে আবার ফেস সোপ ও ব্যবহার করে থাকেন।
সাবান এক তীব্র ক্ষার জাতীয় পদার্থ ( সোডিয়াম কিংবা পটাশিয়াম জাতীয় উপকরণ থাকে এতে),,যা ত্বকের উপরিভাগে পরিষ্কারের সাথে সাথে ত্বকের ভিতরের স্তরে থাকা উপকারী তেল স্তরের তেল কন্ট্রোল সিস্টেম কে অনিয়ন্ত্রিত করে তুলে।যার ফলে ব্যবহার করার সাথে সাথেই মুখ থেকে অতিরিক্ত তেল অপসারিত হলেও ত্বকস্তরকে শুষ্ক করে তুলে। এর ফলে ত্বক আরও তেলতেলে হয়ে উঠে।
অপরদিকে ফেস ক্রিমে একপ্রকার এসিড থাকে যা ত্বকে দ্রুত কাজ করে অর্থাৎ ত্বকের চামড়ায় দ্রুত মিশে গিয়ে ত্বকের উপরিভাগকে ফর্সা করে। এতে চামড়ার স্বাভাবিক প্রক্রিয়া নষ্ট হয় এবং ত্বকে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দেয় যেমন :ব্রণ, ফুস্কুড়ি, চামড়ার টানটান ভাব চলে যাওয়া,ডার্কসার্কেল ইত্যাদি।
এগুলা ছাড়াও আরও বিভিন্ন কসমেটিক্স পণ্য যা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ত্বকের জন্য ক্ষতিকারক। টেলিভিশনে বিভিন্ন বিজ্ঞাপনে এসব পণ্য অত্যন্ত রোমাঞ্চিত এবং আকর্ষণীয় করে পরিবেশন করা হয় যার ফলে অনেকেই এগুলোকে ক্ষতিবিহীন মনে করে ব্যবহার করতে শুরু করে। বর্তমানে বিভিন্ন প্রকার হেয়ার সিরাম, হেয়ার ওয়েল বিক্রি করা হয়।যেগুলার ৮০% ইনগ্রিডিয়েঞ্চ হচ্ছে মিনারেল ওয়েল।
এই মিনারেল ওয়েল ত্বকের ক্যান্সারজনিত রোগ সৃষ্টি করতে পারে এবং ত্বকস্তর বা চামড়া পুড়িয়ে ফেলতে পারে যার জন্য ত্বকের সৌন্দর্য চিরতরে নষ্ট হতে পারে।তাই সাবধান!!! দেখে শুনে ব্যবহার করুন, আপনি যা ব্যবহার করছেন তা আপনার জন্য বিষ ও হতে পারে।
অপরদিকে প্রাকৃতিক দ্রব্য ব্যবহার এর প্রভাব :
প্রাকৃতিক পণ্য সামগ্রী ব্যবহারে আদোও কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া লক্ষ করা যায়নি। প্রাকৃতিক নির্যাস ত্বকের উপরে আস্তে আস্তে কাজ করা শুরু করে বিধায় এর কোনো প্রতিক্রিয়া হয়ই না বললেই চলে। ত্বকের ভিতরে প্রবেশ করে এসব নির্যাস ত্বকের সাথে মানানসই হয় এবং এগুলা হালাল পণ্য।
যেমন :হলুদ, মধু, শশা, দুধ ইত্যাদি চুল,ত্বক,পৌষ্টিকনালি সবেতে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া বিহীন ভাবে কাজ করে যায়। এর ফলে যেকোনো সংবেদনশীল ত্বকেও ব্যবহার উপযোগী ও ফলদায়ক। কসমেটিক্স বিশেষজ্ঞের মতে,, কেমিক্যাল পণ্যের চেয়ে প্রাকৃতিক ঔষধি গুণ সম্পন্ন এসব দ্রব্য ব্যবহারই উত্তম।
এতে ত্বকে সংঘটিত ক্যান্সারজনিত রোগ প্রতিরোধ করা যায়। তাই,, কেমিক্যাল জাতীয় সাজসরঞ্জাম অনেকাংশে পরিহার যোগ্য যাতে স্বাস্থ্য ঝুঁকি প্রতিরোধ করা সম্ভব হয়।
ভালো লাগলে অবশ্যই আপনার মতামত জানান,, শেয়ার করুন সচেতনতা বাড়ান।