ঔষধ মানুষের জীবন রক্ষা করে। তবে সেই ঔষধের মাধ্যমেই যদি জীবন নাশের বীজ বপন করা হয় মানব দেহে, তাহলে তাকে কি আর ঔষধ বলা যায়? নিশ্চয়ই জীবননাশক বস্তু!
সম্প্রতি এক গবেষণায় দেখা গেছে যে, গ্যাস্ট্রিক এর প্রতিষেধক হিসেবে বেশ জনপ্রিয় রেনিডিন জাতীয় ঔষধে ক্যান্সার এর জীবানু পাওয়া গিয়েছে। এর ফলশ্রুতি এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে জনপ্রিয় ঔষধ নির্মাতা কোম্পানি অ্যাপোটেক্স, স্যানিস হেলথ, সিভেম ফার্মাসিউটিক্যালস এবং প্রো-ডক লিমিটেড নিজেদের রেনিটিডিন জাতীয় ওষুধ বাজার থেকে উঠিয়ে নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
রেনিটিডিন’ বলতে রেনিটিডিন গ্রুপের সব ওষুধই বুঝায়। যেমন: জেটন্যাক, নিওট্যাক, রেনিটিড, রেনিডিন, ইত্যাদি।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে,গ্ল্যাক্সো স্মিথ ক্লাইন ইতিমধ্যেই তাদের রেনিটিডিন জাতীয় ঔষধ ভারত থেকে প্রত্যাহার করার ঘোষণা দিয়েছে।এমনকি বিশ্ববাজার থেকে তারা তাদের রেনিডিন জাতীয় সকল ট্যাবলেট প্রত্যাহার করে নিতে চায় মানুষের জানমালের কথা বিবেচনা করে।
ইতিমধ্যে একটি গবেষণার মাধ্যমে চলতি মাসের শুরুর দিকেই কানাডার স্বাস্থ্য বিভাগ সতর্ক করে দিয়েছিল রেনিটিডিন জাতীয় ওষুধে ক্যান্সার সৃষ্টিকারী জীবাণুর অস্তিত্ব পাওয়া গিয়েছে। আরো বলা হয়েছে যে পাকস্থলীর প্রদাহ বা গ্যাস্ট্রিক এর সমাধান এসব ঔষধের মাধ্যমে কমে গেলেও, ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়িয়ে দিচ্ছে এসব ঔষধ।
জেনট্যাক ট্যাবলেটে এ ধরনের ঝুঁকি রয়েছে। রেনিটিডিন গ্রুপের রেনট্যাক, রেনট্যাক-ওডি, আর-লক, রেনিটিন গ্যাস্ট্রিক এর ট্যাবলেট হিসেবে অনেক জনপ্রিয়। তবে ক্যান্সার এর ঝুঁকি আছে জেনেও ওই ঔষধ খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন চিকিৎসকরা। বিশ্ব বাজার থেকে ব্রিটিশ ঔষধ কোম্পানি গ্ল্যাক্সো স্মিথ ক্লাইন তাদের রেনিটিডিন জাতীয় ট্যাবলেট প্রত্যাহার করে নিতে চাইলেও অন্য সংস্থার তৈরি এ জাতীয় ঔষধ গুলোর কী হবে-তা এখনো জানা যায়নি। ভারত বেশ তৎপর এ ব্যাপারে। ইতিমধ্যেই ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল অব ইন্ডিয়া; ভারতের সব রাজ্যের ওষুধ বিভাগের কাছে চিঠি দিয়ে জানতে চেয়েছেন রাজ্যের কোথাও রেনিটিডিন উৎপাদন হচ্ছে কি না। সে ব্যাপারে তথ্য সংগ্রহের পর ডিসিজিআইকে জানানোর নির্দেশও দেয়া হয়। ওই ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থার চিঠি ইস্যুর পর গ্ল্যাক্সো স্মিথ ক্লাইন বাজার থেকে রেনিটিডিন তুলে নেয়ার ঘোষণা দিল।বাংলাদেশ সরকারও দেশের মানুষের জানমালের কথা চিন্তা করে এ ব্যাপারে আগ্রহী হবে সেই কামনা ই করছি।
সকলের প্রতি পরামর্শ থাকলো সবাই রেনিডিন জাতীয় ট্যাবলেট বর্জন করুন, ক্যান্সার থেকে বাঁচুন।