আসসালামু আলাইকুম বন্ধুরা,কেমন আছেন?আশাকরি সৃষ্টিকর্তার কৃপায় সবাই ভাল আছেন। আজকে আমি আপনাদের জানাবো চীন-ভারত সীমান্ত উত্তেজনার মধ্য দিয়ে বের হয়ে আসা চাঞ্চল্যকর তথ্য।
কাশ্মীর ইস্যুতে ভারত পাকিস্তানের মধ্যে সবসময় উত্তেজনা বিরাজ করে।কেননা কাশ্মীর অঞ্চলটি ভারত-পাকিস্তান দুই দেশের সীমানা পরে মাঝামাঝি ভাগ হয়ে গেছে। তবে এবার ভারতের সাথে চীনের শত্রুতা দেখা দিয়েছে!এবার কাশ্মীরের লাদাখ অঞ্চল কে নিয়ে এই দুই দেশের মধ্যে চলছে সীমান্ত রাজনীতি।দুই পক্ষের অনেক অালোচনার পর ভারতের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে লাদাখের গানওয়াল সীমান্ত থেকে চীনারা পিছু হটতে বাধ্য হয়েছে।যদিও স্যাটেলাইট থেকে তুলা ছবিতে দেখা যাচ্ছে,গানওয়াল সীমান্তে চীনারা সেনা বাড়িয়েছে।সীমান্ত ঘেঁষে নির্মাণকাজ চালানোর পাশাপাশি অভিযোগ রয়েছে চীনারা গানওয়াল নদীও আটকে দিয়েছে।এছাড়াও আরো চাঞ্চল্যকর তথ্য হচ্ছে,করাচি বন্দরে রাখা হয়েছে চীনের ০৯৩-শ্যাং নিউক্লিয়ার সাবমেরিন,লাহোরে জে-১১ যুদ্ধবিমান মোতায়েন করা হয়েছে।পাকিস্তানের তিনটি বিমানবন্দরে চীনের বিমানাবাহিনীর একঝাঁক ফাইটার জেট রাখা হয়েছে। শুধু তাই নয়, শতাধিক সেনাও পাকিস্তানে ঘাঁটি তৈরি করেছে বলে জানা গেছে।সামরিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন,ভারতের সাথে দফায় দফায় বৈঠকে শান্তি ও শৃঙ্খলার আড়ালে চীন চূড়ান্ত সংঘাতের প্রস্তুতি নিচ্ছে।পাকিস্তানকে চীন তাঁদের সামরিক ঘাঁটিতে পরিণত করেছে বলে অভিমত।যদিও তথ্য বলছে ২০১৭ সাল থেকে করাচি বন্দরে একটি নিউক্লিয়ার সাবমেরিন রেখেছে চীন।গোয়েন্দা সূত্রে পাওয়া পাকিস্তানের মাটিতে চীনের এমন সামরিক তৎপরতা নজরে আসতে নড়েচড়ে বসেছে ভারত। সম্প্রতি লাদাখ সীমান্তে সংঘাতে চীনের নিউক্লিয়ার সাবমেরিনের তৎপরতা দেখা গিয়েছে। তাই ভারতীয় সেনাবাহিনী বিমানবাহিনী জোরেশোরে তৎপরতা শুরু করেছে। বিভিন্ন এয়ারবেসে ভারতীয় বিমান বাহিনী তৎপরতা বাড়িয়ে দিয়েছে। সেনাবাহিনীতেও রেড অ্যালার্ট জারি হয়েছে পাকিস্তান সীমান্তের কাছে সেনা সংখ্যা বাড়িয়ে দিয়েছে। ভারত-পাকিস্তান সেক্টরে সর্বোচ্চ অ্যালার্ট রাখা হয়েছে। সীমান্তে যুদ্ধ বিমান গুলিকে উড়ানো হচ্ছে। যদিও লাইন অব একচুয়াল কন্ট্রোল এর কাছে এখনো উত্তেজনা বিরাজ করছে।চীনের সেনাবাহিনী একটু হালকা হলেও এখনো সরে যাওয়ার কোনো লক্ষণ নেই।এখনো ভারতের সীমান্তের বিভিন্ন জায়গায় চীনের সেনাবাহিনী অবস্থান করছে তারা এমনভাবে গেড়ে বসেছে যে ভারতীয় সেনাবাহিনীর পেট্রলিং পয়েন্টের রাস্তাই বন্ধ হয়ে গিয়েছে। চীন যে ক্রমশ ভারতের উপর আধিপত্যের চাপ বাড়াচ্ছে তাতে কোন সন্দেহ নেই।
আমার পোস্টটি ভালো লেগে থাকলে বেশি বেশি শেয়ার করুন।ধন্যবাদ।