নব্বইয়ের দশকে একটি অল্প বয়সী ছেলে ক্রিকেট মাঠে নেমে মাত্র 37 বলে ওয়ানডে ক্রিকেটে সেঞ্চুরি করে গড়েছিল বিশ্বরেকর্ড সে আর কেউ নয় শাহিদ আফ্রিদি যিনি বর্তমানে পাকিস্তান ক্রিকেট দলের সাবেক ক্রিকেটার। শুধুমাত্র ওয়ানডে ক্রিকেটে দ্রুততম সেঞ্চুরি নয় সর্বোচ্চ ছক্কা হাঁকানোর রেকর্ড ও আফ্রিদির দখলে। একজন সফল অলরাউন্ডার হিসেবে ক্রিকেট মাঠে আফ্রিদি ছিলেন সবসময় সমাদৃত।
ডানহাতি এই লেগ স্পিনার বুমবুম আফ্রিদি নামে সুপরিচিত ক্রিকেট দুনিয়ায়। তার ক্রিকেট দুনিয়ার অনেক অনেক রেকর্ড এর খবরই হয়তো আমরা জানি অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও রয়েছে শাহীদ আফ্রিদির লাখো ভক্ত। কিন্তু আজকের এই লেখায় আমরা ক্রিকেটার শহীদ আফ্রিদি সম্পর্কে যতটা না জানবো তারচেয়ে বরং জানবো আফ্রিদির আরেক জীবন সম্পর্কে।
হ্যাঁ ,মানবতার পাশে শাহীদ আফ্রীদি বহুদিন ধরে কাজ করে যাচ্ছেন অত্যন্ত যত্নসহকারে, সেই ধারাবাহিকতায় তিনি প্রতিষ্ঠা করেন শহীদ আফ্রিদি ফাউন্ডেশন। বিভিন্ন ধরনের সেবামূলক কর্মকাণ্ডে শহীদ আফ্রিদি ফাউন্ডেশন সব সময় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে দিনের পর দিন যেমন বর্তমান সময়ে সবচেয়ে বড় সমস্যা বিশ্ব অস্থিতিশীল করোনা ভাইরাসের কারণে এবং এই দুঃসময়ে শাহীদ আফ্রিদি ফাউন্ডেশন কাজ করছে মাঠ পর্যায়ে।
শাহীদ আফ্রীদি সশরীরে উপস্থিত হয়েছে বিভিন্ন জায়গায় এবং বিভিন্ন ধরনের সচেতন মূলক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন পাকিস্তানের বিভিন্ন জায়গায়।
এছাড়া বর্তমান সময়ে সবচেয়ে বেশি আলোচিত যে ঘটনা তা হলো বাংলাদেশের জাতীয় ক্রিকেট দলের ক্রিকেটার মুশফিকুর রহিম তার প্রথম ডাবল সেঞ্চুরির ঐতিহাসিক ব্যাটটি নিলামে তুলেন করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের এই সময়ে দুঃস্থদের সহায়তার জন্য। মুশফিকুর রহিমের এই ব্যাটটি কিনে নিয়েছে শাহীদ আফ্রিদি ফাউন্ডেশন। 20 হাজার ডলার বা প্রায় 17 লাখ টাকা দিয়ে শাহীদ আফ্রিদি ফাউন্ডেশন কিনে নেন মুশফিকুর রহিমের ঐতিহাসিক ব্যাটটি যার পুরো অর্থ ব্যয় হবে করোনায় যারা অসহায় দুঃস্থ তাদের জন্য।
ইতিমধ্যে শাহীদ আফ্রিদি ফাউন্ডেশন করনা মোকাবেলায় কাজ করে যাচ্ছিল এবং এরই মধ্যে মুশফিকুর রহিমের পাশে দাঁড়ায় শাহীদ আফ্রিদি ফাউন্ডেশন এবং শাহীদ আফ্রিদি উচ্ছাস প্রকাশ করেন করোনা ভাইরাসের এই দুঃসময়ে মুশফিকুর রহিম এর পাশে দাঁড়াতে পেরে এবং প্রশংসা করেন তার এই মহৎ উদ্যোগের। পাশাপাশি তিনি বাংলাদেশের মানুষের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
মূলত শাহীদ আফ্রিদি ফাউন্ডেশন শিক্ষা, স্বাস্থ্য এবং সুপেয় পানির ব্যবস্থা নিয়ে কাজ করে এবং তাদের প্রধান মিশন। শাহীদ আফ্রীদি বিশ্বাস করেন আশার কখনো মৃত্যু হয় না অর্থাৎ Hope Is not out.
একজন তারকা খেলোয়াড় হয়েও এভাবে অসহায়দের জন্য শাহীদ আফ্রিদি এবং তার এই ফাউন্ডেশন যেভাবে কাজ করে যাচ্ছে তা নিশ্চয়ই এক প্রকৃষ্ট উদাহরণ মানুষের জন্য কাজ করার।
আমরাও তার জীবন থেকে নিতে পারি শিক্ষা এবং অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে পারি নিজ অবস্থান থেকে।
শাহীদ আফ্রিদি:তারকার আড়ালে এক সমাজসেবক
📢 Promoted post: বাংলায় আর্টিকেল লেখালেখি করে ইনকাম করতে চান?
ঠিক আছে, বাট এদের নিয়ে এত মাতামাতির কিছুই নাই।
মাতামাতির কিছু নাই আসলে , ব্যক্তি হিসেবে কাজ ভালো করেছেন সেটাই
আপনার লেখাটা ভালো লেগেছ।
Salute
Nice
অসাধারণ!!
vlo manus
Osadharon
gd
Good person
anek sundor post
মাসায়াল্লাহ
Gd
Good
Gd
gd post
gd
Ok
❤️
Nice
❤️